alt

সারাদেশ

রামেকে দুদকের আকস্মিক অভিযান মিলেছে বহু অভিযোগের সত্যতা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর : সোমবার, ২০ মে ২০২৪

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার নামে রোগীদের হয়রানিসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির খবর পেয়ে গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দুদকের একটি ইনফোর্সম্যান্ট টিম হাসপাতালে আকস্মিক অভিযান চালায়। দুদক সম্মানিত রংপুর জেলার উপ-পরিচালক শাওন মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল ৪ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানোর সময় এক দালালকে হাতে নাতে আটক করে।

তারা হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থা, টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপোযোগী, ময়লা যুক্ত টয়লেট, চিকিৎসকদের ওয়ার্ডে অনুপস্থিতি, ওষুধ চুরি, ডায়ালাইসিস বিভাগে রোগীদের ওষুধ দেবার নামে চরম অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখে হতবাক হন।

এর আগে দুদকের দল প্রথমে হাসপাতালে প্রবেশ করেই এক দালালকে হাতে নাতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে আটক করে। এরপর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের সার্জিকাল ওয়ার্ড, গাইনি ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন। এরপর তারা মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে টয়লেটের অবস্থা দেখতে গিয়ে থমকে যান। একমাসেও পরিষ্কার করা হয় না বলে রোগীরা তাদের জানায়। প্রতিটি টয়লেট ময়লা দিয়ে ভরা, কয়েকটি টয়লেটে তালাবদ্ধ দেখতে পান।

এরপর দুদকের দলটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি দেখতে যান সেখানে কর্তব্যরতরা জানান প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে সর্বাধুনিক অটোমেটিক পরীক্ষার সর্বাধুনিক মেশিনগুলো সবই বিকল। বাদ্য হয়ে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছেÑ বলে অভিযোগ করা হয়।

একই অবস্থা কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে। সেখানে ৩০টি মেশিনের ১২টি দীর্ঘদিন ধরে বিকল, ১৮টি চালু থাকলেও ৪-৫টি কখনও সচল কখনও বিকল। সুঁই থেকে শুরু করে সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয় বলে অভিযোগ রোগীদের। রক্ত সঞ্চালন বিভাগে এক রোগীর স্বজন রক্ত দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে সেই রক্তের ব্যাগ হাওয়া হবার ঘটনায় হতবাক সকলে। এমনি নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা দেখতে পান তারা।

এ ব্যাপারে দুদক উপ-পরিচালক শাওন মিয়া সাংবাদিকদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুছ আলী বলেন অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তার পরেও তার দাবি হাসপাতাল ভালোই চলছে।

তিন জেলায় বৃদ্ধাসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার

স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ইন্সট্রাক্টরকে মারধর

স্বামীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর বিষপানে স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

দুই জেলায় অগ্নিকাণ্ডে পানের বরজ ও গো-খাদ্য পুড়ে ছাই

তারাগঞ্জে চুরি অব্যাহত আতঙ্কে এলাকাবাসী

অতিরিক্ত মদ পান করে মাংস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ডিমলায় গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

মা ও সৎ বাবার নির্যাতনে শিশুর মৃত্যু

ছবি

উদ্ধার হওয়া ১১ মুখপোড়া হনুমান এলো সাফারি পার্কে

ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিপর্যয়ের মুখে কৃষি উৎপাদন

ছবি

রংপুরে তুলার কারখানায় ভয়াবহ আগুন

চকরিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ তথ্যে জালিয়াতি

নাজিরপুরে সংখ্যালঘু নারীর মরদেহ উদ্ধার

রাজশাহীতে ধর্ষক তুষার গ্রেপ্তার

সাভারে মরা মুরগি বিক্রির দায়ে জেল জরিমানা

সরাইলে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে মাদ্রাসা শিক্ষা

ছবি

কেশবপুরে ওএমএসের দোকানে দীর্ঘ লাইন, খালি হাতে ফিরছেন অনেকেই

কটিয়াদীতে ৪০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

কালিহাতীতে বাসচাপায় দুই বন্ধুর মৃত্যু

ছবি

মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকের রেস্টুরেন্ট গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ছবি

সিরাজগঞ্জে বারোমাসি কাঁচামরিচ চাষে কৃষকরা লাভবান

ছবি

গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

নোয়াখালীতে অটোরিকশা থামিয়ে যুবদল কর্মীকে গুলি

বগুড়ায় ১৩২ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘টাউন ক্লাব’ ভেঙে ফেলেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা

ছবি

গাজীপুরে ছাত্রজনতার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির আশ্বাস

ছবি

ঘুমধুমে স্থল বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা আছে : এম সাখাওয়াত হোসেন

ছবি

ইয়াবাসহ আটক সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

ছবি

যবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর সঙ্গে ধাক্কা,২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৮

ছবি

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ-শ্রমিক লীগের ৩ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ছবি

পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রশ্নে ইরানের ফতোয়া

ছবি

পাবনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় গুঁড়িয়ে টাঙানো হলো মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের সাইনবোর্ড

ছবি

গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

ছবি

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর, স্থানীয়দের মারধরে আহত ১৫

চার জেলায় সড়কে ঝরল স্কুলছাত্রীসহ ৪ প্রাণ

নবীনগরে মালবাহী নৌকা ডুবে শিশুর মৃত্যু

tab

সারাদেশ

রামেকে দুদকের আকস্মিক অভিযান মিলেছে বহু অভিযোগের সত্যতা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

সোমবার, ২০ মে ২০২৪

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার নামে রোগীদের হয়রানিসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির খবর পেয়ে গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দুদকের একটি ইনফোর্সম্যান্ট টিম হাসপাতালে আকস্মিক অভিযান চালায়। দুদক সম্মানিত রংপুর জেলার উপ-পরিচালক শাওন মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল ৪ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানোর সময় এক দালালকে হাতে নাতে আটক করে।

তারা হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থা, টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপোযোগী, ময়লা যুক্ত টয়লেট, চিকিৎসকদের ওয়ার্ডে অনুপস্থিতি, ওষুধ চুরি, ডায়ালাইসিস বিভাগে রোগীদের ওষুধ দেবার নামে চরম অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখে হতবাক হন।

এর আগে দুদকের দল প্রথমে হাসপাতালে প্রবেশ করেই এক দালালকে হাতে নাতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে আটক করে। এরপর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের সার্জিকাল ওয়ার্ড, গাইনি ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন। এরপর তারা মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে টয়লেটের অবস্থা দেখতে গিয়ে থমকে যান। একমাসেও পরিষ্কার করা হয় না বলে রোগীরা তাদের জানায়। প্রতিটি টয়লেট ময়লা দিয়ে ভরা, কয়েকটি টয়লেটে তালাবদ্ধ দেখতে পান।

এরপর দুদকের দলটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি দেখতে যান সেখানে কর্তব্যরতরা জানান প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে সর্বাধুনিক অটোমেটিক পরীক্ষার সর্বাধুনিক মেশিনগুলো সবই বিকল। বাদ্য হয়ে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছেÑ বলে অভিযোগ করা হয়।

একই অবস্থা কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে। সেখানে ৩০টি মেশিনের ১২টি দীর্ঘদিন ধরে বিকল, ১৮টি চালু থাকলেও ৪-৫টি কখনও সচল কখনও বিকল। সুঁই থেকে শুরু করে সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয় বলে অভিযোগ রোগীদের। রক্ত সঞ্চালন বিভাগে এক রোগীর স্বজন রক্ত দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে সেই রক্তের ব্যাগ হাওয়া হবার ঘটনায় হতবাক সকলে। এমনি নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা দেখতে পান তারা।

এ ব্যাপারে দুদক উপ-পরিচালক শাওন মিয়া সাংবাদিকদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুছ আলী বলেন অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তার পরেও তার দাবি হাসপাতাল ভালোই চলছে।

back to top