রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার নামে রোগীদের হয়রানিসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির খবর পেয়ে গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দুদকের একটি ইনফোর্সম্যান্ট টিম হাসপাতালে আকস্মিক অভিযান চালায়। দুদক সম্মানিত রংপুর জেলার উপ-পরিচালক শাওন মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল ৪ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানোর সময় এক দালালকে হাতে নাতে আটক করে।
তারা হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থা, টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপোযোগী, ময়লা যুক্ত টয়লেট, চিকিৎসকদের ওয়ার্ডে অনুপস্থিতি, ওষুধ চুরি, ডায়ালাইসিস বিভাগে রোগীদের ওষুধ দেবার নামে চরম অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখে হতবাক হন।
এর আগে দুদকের দল প্রথমে হাসপাতালে প্রবেশ করেই এক দালালকে হাতে নাতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে আটক করে। এরপর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের সার্জিকাল ওয়ার্ড, গাইনি ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন। এরপর তারা মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে টয়লেটের অবস্থা দেখতে গিয়ে থমকে যান। একমাসেও পরিষ্কার করা হয় না বলে রোগীরা তাদের জানায়। প্রতিটি টয়লেট ময়লা দিয়ে ভরা, কয়েকটি টয়লেটে তালাবদ্ধ দেখতে পান।
এরপর দুদকের দলটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি দেখতে যান সেখানে কর্তব্যরতরা জানান প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে সর্বাধুনিক অটোমেটিক পরীক্ষার সর্বাধুনিক মেশিনগুলো সবই বিকল। বাদ্য হয়ে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছেÑ বলে অভিযোগ করা হয়।
একই অবস্থা কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে। সেখানে ৩০টি মেশিনের ১২টি দীর্ঘদিন ধরে বিকল, ১৮টি চালু থাকলেও ৪-৫টি কখনও সচল কখনও বিকল। সুঁই থেকে শুরু করে সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয় বলে অভিযোগ রোগীদের। রক্ত সঞ্চালন বিভাগে এক রোগীর স্বজন রক্ত দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে সেই রক্তের ব্যাগ হাওয়া হবার ঘটনায় হতবাক সকলে। এমনি নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা দেখতে পান তারা।
এ ব্যাপারে দুদক উপ-পরিচালক শাওন মিয়া সাংবাদিকদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুছ আলী বলেন অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তার পরেও তার দাবি হাসপাতাল ভালোই চলছে।
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার নামে রোগীদের হয়রানিসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির খবর পেয়ে গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দুদকের একটি ইনফোর্সম্যান্ট টিম হাসপাতালে আকস্মিক অভিযান চালায়। দুদক সম্মানিত রংপুর জেলার উপ-পরিচালক শাওন মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল ৪ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানোর সময় এক দালালকে হাতে নাতে আটক করে।
তারা হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থা, টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপোযোগী, ময়লা যুক্ত টয়লেট, চিকিৎসকদের ওয়ার্ডে অনুপস্থিতি, ওষুধ চুরি, ডায়ালাইসিস বিভাগে রোগীদের ওষুধ দেবার নামে চরম অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখে হতবাক হন।
এর আগে দুদকের দল প্রথমে হাসপাতালে প্রবেশ করেই এক দালালকে হাতে নাতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে আটক করে। এরপর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের সার্জিকাল ওয়ার্ড, গাইনি ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন। এরপর তারা মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে টয়লেটের অবস্থা দেখতে গিয়ে থমকে যান। একমাসেও পরিষ্কার করা হয় না বলে রোগীরা তাদের জানায়। প্রতিটি টয়লেট ময়লা দিয়ে ভরা, কয়েকটি টয়লেটে তালাবদ্ধ দেখতে পান।
এরপর দুদকের দলটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি দেখতে যান সেখানে কর্তব্যরতরা জানান প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে সর্বাধুনিক অটোমেটিক পরীক্ষার সর্বাধুনিক মেশিনগুলো সবই বিকল। বাদ্য হয়ে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছেÑ বলে অভিযোগ করা হয়।
একই অবস্থা কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে। সেখানে ৩০টি মেশিনের ১২টি দীর্ঘদিন ধরে বিকল, ১৮টি চালু থাকলেও ৪-৫টি কখনও সচল কখনও বিকল। সুঁই থেকে শুরু করে সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয় বলে অভিযোগ রোগীদের। রক্ত সঞ্চালন বিভাগে এক রোগীর স্বজন রক্ত দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে সেই রক্তের ব্যাগ হাওয়া হবার ঘটনায় হতবাক সকলে। এমনি নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা দেখতে পান তারা।
এ ব্যাপারে দুদক উপ-পরিচালক শাওন মিয়া সাংবাদিকদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুছ আলী বলেন অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তার পরেও তার দাবি হাসপাতাল ভালোই চলছে।