বরুড়ায় নিজেদের উদ্যোগে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে ফসলি মাঠের মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছেন পৌর শহরের দেওড়া নামক গ্রামের বাসিন্দারা। উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর নামক গ্রাম থেকে বরুড়া পৌরসভার দেওড়া নামক গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বরুড়া পৌরশহরের দেওড়া নামক গ্রামের উত্তর পাশে বিশাল আয়তনের একটি ফসলি মাঠ রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এটি জলা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।
এখানে প্রায় অর্ধশত জমির মালিক রয়েছেন। আর এ মাঠে সারাবছরই ধানসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন করে থাকেন এখানকার কৃষকেরা। এ মাঠের উত্তর অংশে পার্শ¦বর্তী উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর নামক গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরের সংযোগ অন্য সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করতে অনেক পথ ঘুরে আসতে হয় ওই এলাকার প্রায় ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের।
এছাড়া সড়ক না থাকায় ওই মাঠের জমি চাষাবাদের জন্য হালচাষের ট্রাক্টর নেওয়া, ফসল ঘরে তুলতে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ভোগান্তি নিরসনে ওই মাঠে একটি সড়ক নির্মাণের জন্য এখানকার বাসিন্দারা গত প্রায় ৫ বছর আগে তৎকালীন পৌর মেয়রকে অবহিত করেও কোন ফল পাননি।
এমন অভিযোগ ওই গ্রামের বাসিন্দাদের। অবশেষে উপায়ান্তার না দেখে গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই ঐক্য বদ্ধ হয়ে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেন। গত ১৩ই মে সোমবার সকাল থেকে গ্রামবাসীদের মধ্যে ৬০ জন লোক জমি থেকে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে এ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর প্রায় ১টা পর্যন্ত এ নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকবে।
গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে মোশারফ হোসেন বাবলু, আবু জাফর মো. নুরউদ্দিন খন্দকার স্বপন, মো. সেলিম, মমতাজ, মো. জাহাঙ্গীর, আবু তাহের, মো. আমির হোসেনসহ অনেকে জানান, এ মাঠটির মাঝে কোন সড়ক না থাকায় এখানে হালচাষের ট্রাক্টর ব্যবহার করা যেত না, উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে বেকায়দায় পড়তে হত তাদেরকে। সব মিলে সীমাহীন ভোগান্তিসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হত তাদেরকে।
এছাড়া এ সড়কটি নির্মাণের ফলে পার্শ¦বর্তী খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের চালিয়া, সুরিচো, জয়নগর, কালামুড়িসহ ১০টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ সহজে উপজেলা সদরে সহজে যাতায়াতে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া আরোও জানান আরো প্রায় দশ দিনের মধ্যে এ সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভা মেয়র মো. বকতার হোসেন জানান দেওড়া গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং এ নির্মাণ কাজে পৌরসভা থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেছি।
বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
বরুড়ায় নিজেদের উদ্যোগে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে ফসলি মাঠের মাঝখান দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছেন পৌর শহরের দেওড়া নামক গ্রামের বাসিন্দারা। উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর নামক গ্রাম থেকে বরুড়া পৌরসভার দেওড়া নামক গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বরুড়া পৌরশহরের দেওড়া নামক গ্রামের উত্তর পাশে বিশাল আয়তনের একটি ফসলি মাঠ রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এটি জলা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।
এখানে প্রায় অর্ধশত জমির মালিক রয়েছেন। আর এ মাঠে সারাবছরই ধানসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন করে থাকেন এখানকার কৃষকেরা। এ মাঠের উত্তর অংশে পার্শ¦বর্তী উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর নামক গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরের সংযোগ অন্য সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করতে অনেক পথ ঘুরে আসতে হয় ওই এলাকার প্রায় ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের।
এছাড়া সড়ক না থাকায় ওই মাঠের জমি চাষাবাদের জন্য হালচাষের ট্রাক্টর নেওয়া, ফসল ঘরে তুলতে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ভোগান্তি নিরসনে ওই মাঠে একটি সড়ক নির্মাণের জন্য এখানকার বাসিন্দারা গত প্রায় ৫ বছর আগে তৎকালীন পৌর মেয়রকে অবহিত করেও কোন ফল পাননি।
এমন অভিযোগ ওই গ্রামের বাসিন্দাদের। অবশেষে উপায়ান্তার না দেখে গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই ঐক্য বদ্ধ হয়ে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেন। গত ১৩ই মে সোমবার সকাল থেকে গ্রামবাসীদের মধ্যে ৬০ জন লোক জমি থেকে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে এ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর প্রায় ১টা পর্যন্ত এ নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকবে।
গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে মোশারফ হোসেন বাবলু, আবু জাফর মো. নুরউদ্দিন খন্দকার স্বপন, মো. সেলিম, মমতাজ, মো. জাহাঙ্গীর, আবু তাহের, মো. আমির হোসেনসহ অনেকে জানান, এ মাঠটির মাঝে কোন সড়ক না থাকায় এখানে হালচাষের ট্রাক্টর ব্যবহার করা যেত না, উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে বেকায়দায় পড়তে হত তাদেরকে। সব মিলে সীমাহীন ভোগান্তিসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হত তাদেরকে।
এছাড়া এ সড়কটি নির্মাণের ফলে পার্শ¦বর্তী খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের চালিয়া, সুরিচো, জয়নগর, কালামুড়িসহ ১০টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ সহজে উপজেলা সদরে সহজে যাতায়াতে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া আরোও জানান আরো প্রায় দশ দিনের মধ্যে এ সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভা মেয়র মো. বকতার হোসেন জানান দেওড়া গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং এ নির্মাণ কাজে পৌরসভা থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেছি।