বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। এতে বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ শনিবার বরগুনার পুরাকাটা ও বড়ইতলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতে পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ ছুঁই ছুঁই করছে। এখন পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ভেতরের এলাকায় পানি প্রবেশ না করলেও বাইরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা আরো বৃদ্ধি পেলে বেড়িবাঁধ টপকে পানি বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করবে এবং এতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বড়ইতলা ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হোসেন আলী বয়াতী বলেন, দুইদিন ধরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় আজকে জোয়ারের উচ্চতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
বগুনার পুরাকাটা এলাকার আ: আলীম নামের এক বাসিন্দা বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুনলেই আতঙ্কে থাকেন তারা। রেমালের নাম শুনেছেন, এখন দেখছেন নদীর পানির উচ্চতাও বাড়ছে। পানি যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে আর যদি দেড় থেকে দুই ফুট পানি বাড়ে তাহলে বাড়িঘরে পানি ঢোকা শুরু করবে।
এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় বরগুনা উপকূলে পানির উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল সতর্কতায় উপকূলে মাইকিং
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় বরগুনায় সচেতনতামূলক মাইকিং করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ প্রচার মাইকিং করা হয়।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম ফিরোজ্জামানের নেতৃত্বে পাথরঘাটা পৌর শহরের লঞ্চঘাট, নিলিমা পয়েন্টসহ উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার মাইকিং করেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে সংকেত বেড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের প্রস্ততি সভা
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় বরগুনায় প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। দুপু ১২ টায় এ প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। সভায় জানান হয় দুয়োগ মোকাবেলায় ৬৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।সেচ্ছাসেবক রয়েছে ৯হাজার ৬শ ১৫ জন।বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা প্রস্তুত রয়েছে।সভায় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। এতে বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ শনিবার বরগুনার পুরাকাটা ও বড়ইতলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতে পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ ছুঁই ছুঁই করছে। এখন পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ভেতরের এলাকায় পানি প্রবেশ না করলেও বাইরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা আরো বৃদ্ধি পেলে বেড়িবাঁধ টপকে পানি বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করবে এবং এতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বড়ইতলা ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হোসেন আলী বয়াতী বলেন, দুইদিন ধরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় আজকে জোয়ারের উচ্চতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
বগুনার পুরাকাটা এলাকার আ: আলীম নামের এক বাসিন্দা বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুনলেই আতঙ্কে থাকেন তারা। রেমালের নাম শুনেছেন, এখন দেখছেন নদীর পানির উচ্চতাও বাড়ছে। পানি যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে আর যদি দেড় থেকে দুই ফুট পানি বাড়ে তাহলে বাড়িঘরে পানি ঢোকা শুরু করবে।
এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় বরগুনা উপকূলে পানির উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল সতর্কতায় উপকূলে মাইকিং
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় বরগুনায় সচেতনতামূলক মাইকিং করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ প্রচার মাইকিং করা হয়।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম ফিরোজ্জামানের নেতৃত্বে পাথরঘাটা পৌর শহরের লঞ্চঘাট, নিলিমা পয়েন্টসহ উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার মাইকিং করেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে সংকেত বেড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের প্রস্ততি সভা
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় বরগুনায় প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। দুপু ১২ টায় এ প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। সভায় জানান হয় দুয়োগ মোকাবেলায় ৬৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।সেচ্ছাসেবক রয়েছে ৯হাজার ৬শ ১৫ জন।বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা প্রস্তুত রয়েছে।সভায় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।