মায়ানমার থেকে গুলি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে মায়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনায় ছয় দিন ধরে দ্বীপটিতে যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফলে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপের ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে পড়েছেন।
এই দ্বীপের যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। প্রতিদিনই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে এই দ্বীপের বাসিন্দারা আসা- যাওয়া করেন ট্রলারে। একই সঙ্গে খাদ্য পণ্য পরিবহনেও ব্যবহৃত হয় ট্রলার।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে যারা দিন এনে দিন খায় আপাতত তারাই বেশি কষ্টে পড়েছেন। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে মজুদ করা খাদ্যপণ্য প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
তরিতরকারি, ডিম ও কাঁচা বাজারের বেশি সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্রুত সমাধান না হলে এই দ্বীপবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
সেন্টমার্টিনের টেকনাফ সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল সকাল ১০টায় আমার ডিগ্রি ফাইনাল বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা। কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিন পথে নৌযান চলাচল বন্ধ। এই অবস্থা পরীক্ষা দিতে যেতে না পারলে আমার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, ‘মায়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত চলছে। এই সংঘাতের জেরে এখন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশি নৌযানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে।’
এরই মধ্যে গেল ৫ জুন সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের বহনকারী নৌযানে গুলিবর্ষণ করা হয় মায়ানমার সীমান্ত থেকে। এতে ট্রলারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি। এরপর গত শনিবারও পণ্যবাহী ট্রলারে আবারও গুলি করে। এতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটিতে গুলি লাগে সাতটি।’
মায়ানমার থেকে গুলি
মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে মায়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনায় ছয় দিন ধরে দ্বীপটিতে যাত্রী ও পণ্যবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফলে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপের ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে পড়েছেন।
এই দ্বীপের যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। প্রতিদিনই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে এই দ্বীপের বাসিন্দারা আসা- যাওয়া করেন ট্রলারে। একই সঙ্গে খাদ্য পণ্য পরিবহনেও ব্যবহৃত হয় ট্রলার।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে যারা দিন এনে দিন খায় আপাতত তারাই বেশি কষ্টে পড়েছেন। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে মজুদ করা খাদ্যপণ্য প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
তরিতরকারি, ডিম ও কাঁচা বাজারের বেশি সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্রুত সমাধান না হলে এই দ্বীপবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
সেন্টমার্টিনের টেকনাফ সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল সকাল ১০টায় আমার ডিগ্রি ফাইনাল বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা। কয়েকদিন ধরে সেন্টমার্টিন পথে নৌযান চলাচল বন্ধ। এই অবস্থা পরীক্ষা দিতে যেতে না পারলে আমার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, ‘মায়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত চলছে। এই সংঘাতের জেরে এখন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশি নৌযানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে।’
এরই মধ্যে গেল ৫ জুন সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের বহনকারী নৌযানে গুলিবর্ষণ করা হয় মায়ানমার সীমান্ত থেকে। এতে ট্রলারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি। এরপর গত শনিবারও পণ্যবাহী ট্রলারে আবারও গুলি করে। এতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটিতে গুলি লাগে সাতটি।’