কুমিল্লার চান্দিনায় বেতন-বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এতে মহাসড়কের প্রায় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চান্দিনার বেলাশহর এলাকায় ‘ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট’ কারখানার শ্রমিকরা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। কারখানাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। শ্রমিকদের অবরোধের কারণে মহাসড়কের অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র গাড়ির জট তৈরি হয়।
আবরোধ চলাকালে ডেনিম প্রসেসিং প্লান্টের শ্রমিকরা বলেন, তাদের কারখানায় প্রায়ই শ্রমিকদের বেতন আটকে রাখা হয়। ঈদের আগেও শ্রমিকরা দুমাসের বেতন আর ঈদ বোনাস পায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শ্রমিকরা অবরোধ শুরু করলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কাবিলা থেকে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত যানজট লেগে যায়। সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার যানবাহন আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষদের। বেশি বিপাকে পড়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশগামী যাত্রী ও হাটের উদ্দেশে যাওয়া গরুবাহী ট্রাকের চালকরা।
অবরোধ চলাকালে আনোয়ার হোসেন নামে এক শ্রমিক বলেন, আমরা পেটের দায়ে পোশাক কারখানায় চাকরি করি। এখানে সবসময়ই বেতন আটকে রাখা হয়। মাসে ৯০ ঘণ্টা ওভারটাইম করলে অর্ধেক টাকা দেয়; বাকি ওভার টাইমের টাকা কেটে নেয় তারা।ঈদের মাত্র দুইদিন বাকি, এখনও আমাদের দুই মাসের বেতন বকেয়া। এমনকি বোনাসও দেয় নাই। আমরা ঈদ করবো কিভাবে।?
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব জানান, শুক্রবারের মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দিয়ে দেওয়া হবে বলে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক চেষ্টার পর শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়েছি। এ কাজে চান্দিনা থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
কুমিল্লার চান্দিনায় বেতন-বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এতে মহাসড়কের প্রায় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চান্দিনার বেলাশহর এলাকায় ‘ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট’ কারখানার শ্রমিকরা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। কারখানাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। শ্রমিকদের অবরোধের কারণে মহাসড়কের অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র গাড়ির জট তৈরি হয়।
আবরোধ চলাকালে ডেনিম প্রসেসিং প্লান্টের শ্রমিকরা বলেন, তাদের কারখানায় প্রায়ই শ্রমিকদের বেতন আটকে রাখা হয়। ঈদের আগেও শ্রমিকরা দুমাসের বেতন আর ঈদ বোনাস পায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শ্রমিকরা অবরোধ শুরু করলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কাবিলা থেকে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত যানজট লেগে যায়। সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার যানবাহন আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষদের। বেশি বিপাকে পড়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশগামী যাত্রী ও হাটের উদ্দেশে যাওয়া গরুবাহী ট্রাকের চালকরা।
অবরোধ চলাকালে আনোয়ার হোসেন নামে এক শ্রমিক বলেন, আমরা পেটের দায়ে পোশাক কারখানায় চাকরি করি। এখানে সবসময়ই বেতন আটকে রাখা হয়। মাসে ৯০ ঘণ্টা ওভারটাইম করলে অর্ধেক টাকা দেয়; বাকি ওভার টাইমের টাকা কেটে নেয় তারা।ঈদের মাত্র দুইদিন বাকি, এখনও আমাদের দুই মাসের বেতন বকেয়া। এমনকি বোনাসও দেয় নাই। আমরা ঈদ করবো কিভাবে।?
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব জানান, শুক্রবারের মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দিয়ে দেওয়া হবে বলে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক চেষ্টার পর শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়েছি। এ কাজে চান্দিনা থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।