কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে দুই হাজার ৩০৩টি পরিবারের মধ্যে সরকারি সহায়তার চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞায় জেলেপ্রতি সরকারি চাল বিতরণের জন্য বরাদ্দ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ৭৯৯ জেলেকে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
ভিজিডির চাল ৭৭২ জন জনপ্রতি পাচ্ছেন ৩০ কেজি করে এবং ভিজিএফের চাল ৫৩২ জন পাচ্ছেন ১০ কেজি করে।
আর ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় জেলা প্রশাসনের বরাদ্দ করা চাল থেকে ২০০ জনকে ১০ কেজি করে দেওয়া হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, “কয়েকদিন ধরে সেন্ট মার্টিনে খাদ্যপণ্যের সংকট চলছিল; চাল পেয়ে মানুষ স্বস্তি বোধ করছেন। বিতরণ শুরু হয়েছে। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে।”
সম্প্রতি টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের নৌপথে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রলারে টানা কয়েকদিন গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওইসব ট্রলারের চালক ও যাত্রীদের ধারণা, মায়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে এসব গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। এ কারণে টানা আট দিন এ নৌপথে যানচলাচল বন্ধ ছিল।
পরে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগর দিয়ে বিকল্প পথে সেন্ট মার্টিনে আটকাপড়াদের টেকনাফে নিয়ে আসা হয়।
শুক্রবার কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজে খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়। সেখানে এসব চালও ছিল। রাত সাড়ে ১১টায় জাহাজটি সেন্ট মার্টিনে গিয়ে পৌঁছায়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, “মায়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত এবং সেন্ট মার্টিন নৌপথে ট্রলারের ওপর মায়ানমার থেকে তিন দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দার খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকট দেখা দেয়।
“বুধবার জেলা প্রশাসনের বিশেষ সভায় বিকল্প পথে সেন্ট মার্টিনের যাতায়াতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আলোকে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের সাবরাং মুন্ডারডেইল উপকূল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজে খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়।”
এই অবস্থার মধ্যেই নাফ নদীর মায়ানমারের জলসীমায় বুধবার থেকে একটি যুদ্ধজাহাজের দেখা মেলে। এরপর সেখান থেকে প্রতিদিন গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনতে পায় টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। যদিও শনিবার সকাল থেকে সেই জাহাজ আর দেখা যাচ্ছে না, গোলাগুলির শব্দও আর আসছে না।
শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে দুই হাজার ৩০৩টি পরিবারের মধ্যে সরকারি সহায়তার চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞায় জেলেপ্রতি সরকারি চাল বিতরণের জন্য বরাদ্দ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ৭৯৯ জেলেকে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
ভিজিডির চাল ৭৭২ জন জনপ্রতি পাচ্ছেন ৩০ কেজি করে এবং ভিজিএফের চাল ৫৩২ জন পাচ্ছেন ১০ কেজি করে।
আর ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় জেলা প্রশাসনের বরাদ্দ করা চাল থেকে ২০০ জনকে ১০ কেজি করে দেওয়া হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, “কয়েকদিন ধরে সেন্ট মার্টিনে খাদ্যপণ্যের সংকট চলছিল; চাল পেয়ে মানুষ স্বস্তি বোধ করছেন। বিতরণ শুরু হয়েছে। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে।”
সম্প্রতি টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের নৌপথে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রলারে টানা কয়েকদিন গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওইসব ট্রলারের চালক ও যাত্রীদের ধারণা, মায়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে এসব গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। এ কারণে টানা আট দিন এ নৌপথে যানচলাচল বন্ধ ছিল।
পরে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগর দিয়ে বিকল্প পথে সেন্ট মার্টিনে আটকাপড়াদের টেকনাফে নিয়ে আসা হয়।
শুক্রবার কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজে খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়। সেখানে এসব চালও ছিল। রাত সাড়ে ১১টায় জাহাজটি সেন্ট মার্টিনে গিয়ে পৌঁছায়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, “মায়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত এবং সেন্ট মার্টিন নৌপথে ট্রলারের ওপর মায়ানমার থেকে তিন দফায় গুলি বর্ষণের ঘটনায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দার খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকট দেখা দেয়।
“বুধবার জেলা প্রশাসনের বিশেষ সভায় বিকল্প পথে সেন্ট মার্টিনের যাতায়াতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আলোকে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের সাবরাং মুন্ডারডেইল উপকূল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজে খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়।”
এই অবস্থার মধ্যেই নাফ নদীর মায়ানমারের জলসীমায় বুধবার থেকে একটি যুদ্ধজাহাজের দেখা মেলে। এরপর সেখান থেকে প্রতিদিন গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনতে পায় টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। যদিও শনিবার সকাল থেকে সেই জাহাজ আর দেখা যাচ্ছে না, গোলাগুলির শব্দও আর আসছে না।