ঈদুল আযহা পরবর্তী ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্র। অন্যান্য বছরের ছেয়ে এই বৎসর ঈদে সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের ঢল নেমেছে দৃষ্টি নন্দন এ পর্যটন কেন্দ্রে। বিশেষ করে , ঈদের পর থেকে পর্যটকদের ভিড়ে ঠাঁই নাই। কেউ পাহাড়ের দৃষ্টি নন্দন স্পটে কেউ ঝুলন্ত ব্রিজে আবার কেউ ঘুরছে লেকের শীতল পানিতে কায়াকিং বোটে ভ্রমণ করে নিজেদেরকে প্রকৃতির সাথে বিলীন করে দিচ্ছে। আবার এমন দৃশ্য নিজেদের বহনকৃত স্মার্ট ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করছেন অনেকেই।
এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পর্যটন কেন্দ্র প্রবেশ মুখে ব্যবসায়ী সুলতান আহমদ জানান, উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় দর্শনীয় স্থানগুলো আকর্ষণীয় হওয়ায় এই ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বেড়েছে তিন গুণ।
পরিবার পরিজনসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা এখানে ব্যস্ত সময় পার করছে। ঢাকা থেকে আসা ছাবের হোসেন, শারমিন দম্পতি বলেন, ঈদের ছুটিতে আমরা পরিবারের ১৫ জন কক্সবাজার থেকে ট্যুরিজম এর মাধ্যমে এখানে এসে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ও প্রশাসনের নিরাপত্তা আমাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশেষ করে লেকে ওয়াচ টাওয়ারটি যে কারোই দৃষ্টি কাড়ে। কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক আনোয়ারুল হোসেন বলেন, আমরা সকাল ৮টায় কক্সবাজার কলাতলী থেকে মাত্র ৫০ মিনিটে এখানে আসি। এই প্রথম পাহাড়ি এলাকা দেখে প্রথমে ভয় পেলেও এখানকার পরিবেশ দেখে মনে হয়েছে দেশকে জানতে হলে এই পাহাড়ের দেশে আসতে হবে।
এই উপজেলায় বসবাসে অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মারমা, তংচঙ্গা, চাকমা, হিন্দু, বড়ুয়া, বাঙালিসহ অনেকেই। এসব পর্যটন স্পট গুলোতে রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে উপবন পর্যটন লেখের পাশে জেলা পরিষদের আধুনিক মানের রেস্ট হাউজ, উপজেলা সদরে কবির টাওয়ার আবাসিকসহ নানান সুবিধা। আর বিশাল উঁচু পাহাড়ে সবুজের আড়ালে বাহারি বাগান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।
খুলনা থেকে আসা আনোয়ার, হ্যাপি ও চট্টগ্রামের জীবন চৌধুরীসহ অনেকে প্রতিবেদককে জানান। তারা কক্সবাজার ট্যুরিজমের মাধ্যমে এসেছেন উঁচু পাহাড় দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছেন। কিন্তু উপরে উঠে ভয়ের ছেয়ে আনন্দই পেয়েছেন বেশি। এই পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভ্রমণের জন্য কয়েক প্রকার বোট, শিশুদের জন্য মিনি শিশু পার্ক, বাহারি ডিজাইনের টংঘর ও পিকনিকের রান্না ঘরের ব্যবস্থাসহ রাত্রিযাপনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া সংবাদকে জানান, এটি পার্বত্য এলাকা হলেও কিন্তু সমতলে ঘেরা, তাই নির্ভয়ে ভ্রমণ করা যায়। আর পর্যটকদের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সিসি ক্যামরা স্হাপন আছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।
রোববার, ২৩ জুন ২০২৪
ঈদুল আযহা পরবর্তী ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্র। অন্যান্য বছরের ছেয়ে এই বৎসর ঈদে সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের ঢল নেমেছে দৃষ্টি নন্দন এ পর্যটন কেন্দ্রে। বিশেষ করে , ঈদের পর থেকে পর্যটকদের ভিড়ে ঠাঁই নাই। কেউ পাহাড়ের দৃষ্টি নন্দন স্পটে কেউ ঝুলন্ত ব্রিজে আবার কেউ ঘুরছে লেকের শীতল পানিতে কায়াকিং বোটে ভ্রমণ করে নিজেদেরকে প্রকৃতির সাথে বিলীন করে দিচ্ছে। আবার এমন দৃশ্য নিজেদের বহনকৃত স্মার্ট ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করছেন অনেকেই।
এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পর্যটন কেন্দ্র প্রবেশ মুখে ব্যবসায়ী সুলতান আহমদ জানান, উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় দর্শনীয় স্থানগুলো আকর্ষণীয় হওয়ায় এই ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বেড়েছে তিন গুণ।
পরিবার পরিজনসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা এখানে ব্যস্ত সময় পার করছে। ঢাকা থেকে আসা ছাবের হোসেন, শারমিন দম্পতি বলেন, ঈদের ছুটিতে আমরা পরিবারের ১৫ জন কক্সবাজার থেকে ট্যুরিজম এর মাধ্যমে এখানে এসে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ও প্রশাসনের নিরাপত্তা আমাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশেষ করে লেকে ওয়াচ টাওয়ারটি যে কারোই দৃষ্টি কাড়ে। কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক আনোয়ারুল হোসেন বলেন, আমরা সকাল ৮টায় কক্সবাজার কলাতলী থেকে মাত্র ৫০ মিনিটে এখানে আসি। এই প্রথম পাহাড়ি এলাকা দেখে প্রথমে ভয় পেলেও এখানকার পরিবেশ দেখে মনে হয়েছে দেশকে জানতে হলে এই পাহাড়ের দেশে আসতে হবে।
এই উপজেলায় বসবাসে অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মারমা, তংচঙ্গা, চাকমা, হিন্দু, বড়ুয়া, বাঙালিসহ অনেকেই। এসব পর্যটন স্পট গুলোতে রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে উপবন পর্যটন লেখের পাশে জেলা পরিষদের আধুনিক মানের রেস্ট হাউজ, উপজেলা সদরে কবির টাওয়ার আবাসিকসহ নানান সুবিধা। আর বিশাল উঁচু পাহাড়ে সবুজের আড়ালে বাহারি বাগান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।
খুলনা থেকে আসা আনোয়ার, হ্যাপি ও চট্টগ্রামের জীবন চৌধুরীসহ অনেকে প্রতিবেদককে জানান। তারা কক্সবাজার ট্যুরিজমের মাধ্যমে এসেছেন উঁচু পাহাড় দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছেন। কিন্তু উপরে উঠে ভয়ের ছেয়ে আনন্দই পেয়েছেন বেশি। এই পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভ্রমণের জন্য কয়েক প্রকার বোট, শিশুদের জন্য মিনি শিশু পার্ক, বাহারি ডিজাইনের টংঘর ও পিকনিকের রান্না ঘরের ব্যবস্থাসহ রাত্রিযাপনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া সংবাদকে জানান, এটি পার্বত্য এলাকা হলেও কিন্তু সমতলে ঘেরা, তাই নির্ভয়ে ভ্রমণ করা যায়। আর পর্যটকদের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ স্পটে সিসি ক্যামরা স্হাপন আছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে।