সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে ‘গ্যাস বাবু’র পুকুরে ফেলে দেওয়া মোবাইল উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে পুকুরে কোনো ফোন পাওয়া যায়নি।
বুধবার দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি দল ঝিনাইদহে যায়। উদ্ধার অভিযানের সময় ঝিনাইদহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারুক আযম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আদালতের আদেশে মঙ্গলবার বিকালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবুকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে ‘গ্যাস বাবুকে’ জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শহরের পায়রা চত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে একটি পুকুরে জেলে নামিয়ে জাল ফেলে মোবাইল ফোন উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হয়।
এরপর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় অরেকটি পুকুরে তল্লাশি চালানো হয়। তবে তিনটি মোবাইল ফোনের একটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ তিনটি মোবাইল ফোনো মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত রয়েছে বলে ভাষ্য পুলিশের।
ঝিনাইদহে মোবাইল ফোন উদ্ধারে পুকুরে তল্লাশিসহ অভিযানের এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন হারুন অর রশীদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আনার হত্যাকাণ্ডে মোট সাতজন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা সাগরে বা মাটির নিচে যেখানেই থাকুক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
“কোনো ভালো মানুষকে হয়রানি করা হবে না। তবে হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্তে বাঘা বাঘা ব্যক্তির নামও বেরিয়ে আসছে।”
এ সময় আনার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ডিএমপির ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান এবং সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনার। তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস কলকাতায় জিডি করার পর দুই দেশে তদন্ত শুরু হয়।
এরপর ২২ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এমপি আনারকে কলকাতার এক বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলা করেন।
পরে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বাবুকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে ‘গ্যাস বাবু’র পুকুরে ফেলে দেওয়া মোবাইল উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে পুকুরে কোনো ফোন পাওয়া যায়নি।
বুধবার দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি দল ঝিনাইদহে যায়। উদ্ধার অভিযানের সময় ঝিনাইদহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারুক আযম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আদালতের আদেশে মঙ্গলবার বিকালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবুকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে ‘গ্যাস বাবুকে’ জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শহরের পায়রা চত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে একটি পুকুরে জেলে নামিয়ে জাল ফেলে মোবাইল ফোন উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হয়।
এরপর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় অরেকটি পুকুরে তল্লাশি চালানো হয়। তবে তিনটি মোবাইল ফোনের একটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ তিনটি মোবাইল ফোনো মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত রয়েছে বলে ভাষ্য পুলিশের।
ঝিনাইদহে মোবাইল ফোন উদ্ধারে পুকুরে তল্লাশিসহ অভিযানের এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন হারুন অর রশীদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আনার হত্যাকাণ্ডে মোট সাতজন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা সাগরে বা মাটির নিচে যেখানেই থাকুক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
“কোনো ভালো মানুষকে হয়রানি করা হবে না। তবে হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্তে বাঘা বাঘা ব্যক্তির নামও বেরিয়ে আসছে।”
এ সময় আনার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ডিএমপির ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান এবং সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনার। তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস কলকাতায় জিডি করার পর দুই দেশে তদন্ত শুরু হয়।
এরপর ২২ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এমপি আনারকে কলকাতার এক বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলা করেন।
পরে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বাবুকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।