জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নে, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এন্টারপ্রাইজ (আইডিই) এনজিওর লোকজন ঘর ও শিশু কার্ড দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার ভুক্তভোগীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে ঘরের নামে টাকা জমা দেওয়া ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের নিমাইমারী গ্রামে সাজেদুল ইসলামের বাড়িতে দুটি রুম সাত মাস আগে ভাড়া নেয় এবং ঘরের দেওয়ালে এনজিওর সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এতে ফিল্ড অফিসার রেজাউল করিম রেজা, অ্যাকাউন্টস অফিসার সাজু আহমেদ, ম্যানেজার রনি আহমেদ ও অডিট ম্যানেজার হিসেবে কামরুজ্জামান বন্ধন অফিসটি পরিচালনা করতেন।
পরে ইউনিয়নের মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১৩ জন কর্মী নিয়োগ দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করেন। ঘর ও শিশু কার্ড দেয়ার প্রলোভনে প্রত্যেক সদস্যের কাছে থ্রি কোয়ার্টার ঘরের জন্য ৪৫-৫০ হাজার টাকা ও শিশু কার্ডের নামে ৭৭৫ টাকা করে নেওয়া হয়। এতে চর আমখাওয়া ও ডাংধরা ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন লাপাত্তা ভুয়া এনজিওটি। এতে দিশেহারা ভুক্তভোগীরা।
ওই অফিসে কর্মরত আসমাউল হুসনা নামে এক কর্মী বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আমাদের ১৩ জন কর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাত হাজার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যেই আমাদের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল।আমাদের মূল কাজ ছিল, গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে ঘর ও শিশু ভাতার কার্ডের নাম দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে অফিসে জমা দেওয়া। বিশ হাত ঘরের জন্য অফিস নির্ধারিত ৪৫-৫০ হাজার টাকা ও শিশু ভাতার জন্য ৭৭৫ টাকা করে অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। হুসনা আরো বলেন, অফিসের নির্ধারিত টাকার চেয়েও অনেক কর্মীরা মানুষের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বখতিয়ার বলেন, আমার দুই মেয়ে ওই অফিসের কর্মী হিসেবে কাজ করতো। ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ও চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ওই অফিসের একটি কাগজে সই করে দিয়েছেন। যেটি আমরা দেখে বিষয়টি সত্যি ভেবে মানুষের কাছ থেকে টাকা এনে অফিসে জমা দিয়েছি।
ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে আমার কাছে কিছু মানুষ অভিযোগ করেছেন, ঘর দেওয়ার নামে ৪৫-৫০ হাজার করে টাকা নিচ্ছে। আমি ওই এনজিওর পরিচালকদেরকে ডেকেছিলাম তাদের কাজ সঠিক আছে কিনা জানার জন্য। পরে আমি এবং চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া তাদের কাছ থেকে জানতে পারি, স্থানীয় হতদরিদ্রদেরকে ২০ হাত করে ঘর দেওয়া হবে। তাই হতদরিদ্রদের উপকারের জন্য আমরা তাদের কাগজে সই করে দেই। পরে শুনতে পাই, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এনজিওটি পালিয়ে গিয়েছে।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, একটি এনজিও গ্রাহকদের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। এই ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী এই ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নে, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এন্টারপ্রাইজ (আইডিই) এনজিওর লোকজন ঘর ও শিশু কার্ড দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার ভুক্তভোগীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে ঘরের নামে টাকা জমা দেওয়া ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের নিমাইমারী গ্রামে সাজেদুল ইসলামের বাড়িতে দুটি রুম সাত মাস আগে ভাড়া নেয় এবং ঘরের দেওয়ালে এনজিওর সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এতে ফিল্ড অফিসার রেজাউল করিম রেজা, অ্যাকাউন্টস অফিসার সাজু আহমেদ, ম্যানেজার রনি আহমেদ ও অডিট ম্যানেজার হিসেবে কামরুজ্জামান বন্ধন অফিসটি পরিচালনা করতেন।
পরে ইউনিয়নের মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১৩ জন কর্মী নিয়োগ দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করেন। ঘর ও শিশু কার্ড দেয়ার প্রলোভনে প্রত্যেক সদস্যের কাছে থ্রি কোয়ার্টার ঘরের জন্য ৪৫-৫০ হাজার টাকা ও শিশু কার্ডের নামে ৭৭৫ টাকা করে নেওয়া হয়। এতে চর আমখাওয়া ও ডাংধরা ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন লাপাত্তা ভুয়া এনজিওটি। এতে দিশেহারা ভুক্তভোগীরা।
ওই অফিসে কর্মরত আসমাউল হুসনা নামে এক কর্মী বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আমাদের ১৩ জন কর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাত হাজার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যেই আমাদের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল।আমাদের মূল কাজ ছিল, গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে ঘর ও শিশু ভাতার কার্ডের নাম দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে অফিসে জমা দেওয়া। বিশ হাত ঘরের জন্য অফিস নির্ধারিত ৪৫-৫০ হাজার টাকা ও শিশু ভাতার জন্য ৭৭৫ টাকা করে অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। হুসনা আরো বলেন, অফিসের নির্ধারিত টাকার চেয়েও অনেক কর্মীরা মানুষের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বখতিয়ার বলেন, আমার দুই মেয়ে ওই অফিসের কর্মী হিসেবে কাজ করতো। ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ও চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ওই অফিসের একটি কাগজে সই করে দিয়েছেন। যেটি আমরা দেখে বিষয়টি সত্যি ভেবে মানুষের কাছ থেকে টাকা এনে অফিসে জমা দিয়েছি।
ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে আমার কাছে কিছু মানুষ অভিযোগ করেছেন, ঘর দেওয়ার নামে ৪৫-৫০ হাজার করে টাকা নিচ্ছে। আমি ওই এনজিওর পরিচালকদেরকে ডেকেছিলাম তাদের কাজ সঠিক আছে কিনা জানার জন্য। পরে আমি এবং চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া তাদের কাছ থেকে জানতে পারি, স্থানীয় হতদরিদ্রদেরকে ২০ হাত করে ঘর দেওয়া হবে। তাই হতদরিদ্রদের উপকারের জন্য আমরা তাদের কাগজে সই করে দেই। পরে শুনতে পাই, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এনজিওটি পালিয়ে গিয়েছে।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, একটি এনজিও গ্রাহকদের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। এই ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী এই ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।