চাঁদপুর মেঘনা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
চাঁদপুর মেঘনার প্রাকৃতি খনিজ সম্পদ নদীর তলদেশের বালু উত্তোলন এবং বিক্রি থামছে না। নানা প্রক্রিয়ায় নদীতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য চলছে বালু খেকোদের। অথচ চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ থেকে বালু মহাল ইজারা নেই প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়।কিন্তু চাঁদপুর মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু কাটা এবং বাল্কহেড জাহাজ ভর্তি বালু বিক্রি কার্যক্রম ঠিকই চলছে।
চাঁদপুরে জনশ্রুতি রয়েছে, অবৈধভাবে রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদ এই নদীর বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে চিহ্নিত কিছু লোক আঙ্গুল ফুলে বটগাছ বণে গেছে।
সচেতন মহলের জিজ্ঞাসা চাঁদপুরে জেলা প্রশাসন, রেভিনিউ অফিসার, ইউএনও এ্যাসিলেন্ড, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ জেলা উপজেলা পর্যায় রাষ্ট্রের সকল প্রশাসন রয়েছে। কিন্তু নদীর বালুকাটা ও বিক্রি কেন? বন্ধ হচ্ছে না। মাঝে মাঝে নদীতে সাঁড়াশি অভিযান করে কিছু বালুর জাহাজ এবং জাহাজ শ্রমিক ও স্টাফদের ধরা হয়। এসব কি লোক দেখানো। আবার যেই লাউ সেই কদু। কিছুদিন পর পুনরায় শুরু হয় বালুকাটা এবং বিক্রি। বালু বেচার বিপুল অবৈধ অর্থ কার কাছে যায়।এই টাকায় সন্ত্রাসী চক্রও গড়ে তোলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে । এখন জনমনে প্রশ্ন চাঁদপুরের অবৈধ বালুকাটা কি আদৌ বন্ধ হবে না।
আবারো প্রশাসন অভিযান করে বালু তাটার ১০টি ড্রেজার ও ৪৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৬ জুলাই চাঁদপুরের মতলব উত্তরের নাসিরাকান্দি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দশটি ড্রেজার, একটি বাল্বহেড ও দুইটি স্পিডবোটসহ ৪৩ শ্রমিককে আটক করেছে প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন মতলব উত্তরের সহকারী কমিশনার ভূমি হিল্লোল চাকমা।
এ বিষয়ে মোহনপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ কামরুজ্জামান জানান, মেঘনা নদীর নাসিরাকান্দি এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ১০টি ড্রেজার, ১টি বাল্কহেড, ২টি স্পিডবোটসহ ৪৩ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওই সময় তাদের কাছে অবৈধ বালু বিক্রয় বাবদ ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা, মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান, চিফ পেটি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
ছবি ক্যাপশন ঃ চাঁদপুর মেঘনজ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানে ড্রেজার স্পিড বোট,বাল্কহেড জব্দসহ আটকদের দেখা যাচ্ছে।
চাঁদপুর মেঘনা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
চাঁদপুর মেঘনার প্রাকৃতি খনিজ সম্পদ নদীর তলদেশের বালু উত্তোলন এবং বিক্রি থামছে না। নানা প্রক্রিয়ায় নদীতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য চলছে বালু খেকোদের। অথচ চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ থেকে বালু মহাল ইজারা নেই প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়।কিন্তু চাঁদপুর মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু কাটা এবং বাল্কহেড জাহাজ ভর্তি বালু বিক্রি কার্যক্রম ঠিকই চলছে।
চাঁদপুরে জনশ্রুতি রয়েছে, অবৈধভাবে রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদ এই নদীর বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে চিহ্নিত কিছু লোক আঙ্গুল ফুলে বটগাছ বণে গেছে।
সচেতন মহলের জিজ্ঞাসা চাঁদপুরে জেলা প্রশাসন, রেভিনিউ অফিসার, ইউএনও এ্যাসিলেন্ড, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ জেলা উপজেলা পর্যায় রাষ্ট্রের সকল প্রশাসন রয়েছে। কিন্তু নদীর বালুকাটা ও বিক্রি কেন? বন্ধ হচ্ছে না। মাঝে মাঝে নদীতে সাঁড়াশি অভিযান করে কিছু বালুর জাহাজ এবং জাহাজ শ্রমিক ও স্টাফদের ধরা হয়। এসব কি লোক দেখানো। আবার যেই লাউ সেই কদু। কিছুদিন পর পুনরায় শুরু হয় বালুকাটা এবং বিক্রি। বালু বেচার বিপুল অবৈধ অর্থ কার কাছে যায়।এই টাকায় সন্ত্রাসী চক্রও গড়ে তোলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে । এখন জনমনে প্রশ্ন চাঁদপুরের অবৈধ বালুকাটা কি আদৌ বন্ধ হবে না।
আবারো প্রশাসন অভিযান করে বালু তাটার ১০টি ড্রেজার ও ৪৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৬ জুলাই চাঁদপুরের মতলব উত্তরের নাসিরাকান্দি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দশটি ড্রেজার, একটি বাল্বহেড ও দুইটি স্পিডবোটসহ ৪৩ শ্রমিককে আটক করেছে প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন মতলব উত্তরের সহকারী কমিশনার ভূমি হিল্লোল চাকমা।
এ বিষয়ে মোহনপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ কামরুজ্জামান জানান, মেঘনা নদীর নাসিরাকান্দি এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ১০টি ড্রেজার, ১টি বাল্কহেড, ২টি স্পিডবোটসহ ৪৩ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওই সময় তাদের কাছে অবৈধ বালু বিক্রয় বাবদ ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা, মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান, চিফ পেটি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
ছবি ক্যাপশন ঃ চাঁদপুর মেঘনজ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় স্থানীয় প্রশাসনের অভিযানে ড্রেজার স্পিড বোট,বাল্কহেড জব্দসহ আটকদের দেখা যাচ্ছে।