বছরের পর বছর নদী ভাঙন ! গোয়ালন্দের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন! রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় নদী ভাঙনে গৃহহীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ভাঙন আতংকে রয়েছে তিন শতাধিক পরিবার, শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১ ও ২নং ফেরি ঘাটের মাঝে এবং ৬ ও ৭ নং ফরি ঘাটের মাঝে নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে ১৫টি পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন আতংকে রয়েছে আরো শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ৩শতাধিক বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ভাঙন সংশ্লিষ্টদের নিকট থেকে জানা যায়, গত এক মাস যাবৎ নদী ভাঙন শুরু হয়েছে কিন্তু ভাঙন শুরু হলেও খোঁজ নেই রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের বলে অভিযোগ। জানা যায়, শুধুমাত্র বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের ঘাট রক্ষার্থে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে গুরু দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিন ভাঙন এলাকা ঘুরে এবং ভাঙন সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বললে দৌলতদিয়া ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য উজ্জল হোসেন বাবু বলেন, কিছু বলার ভাষা নেই, আমার নিজের বাড়িও নদী ভাঙনের কবলে গত এক মাস পূর্ব থেকে নদী ভাঙন শুরু হলেও ভাঙন রোধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেই কোনো কর্তৃৃপক্ষের।
এদিকে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত কোনো সদস্য ভাঙন এলাকায় আসেননি এতে এলাকার সাধারণ মানুষ হতাশ। ভাঙন আতংকে থাকা ব্যবসায়ী মো. বারেক মৃধা বলেন, নদী পারে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ী, ভাঙন রোধ না হলে যে কোনো মুহূর্তে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে চলে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এক মাস আগে থেকে নদীতে ভাঙন শুরু হয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের ঘাট রক্ষায় শুধু কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেছে। কিন্তু রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ এখনও পর্যন্তু আসেনি বলে অভিযোগ করেন।
এছাড়া ব্যবসায়ী শাহীন খান বলেন,দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ডে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে কিছু বাড়ীর বসতভিটা ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে অনেকে বিভিন্ন এলাকা ছেড়ে চলে গেছে ভাঙন আতংকে। এছাড়া আরিফ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, একাধিকবার নদী ভাঙনের কবলে পড়েছি, আমি যা দেখি নদী ভাঙনে ভাঙন রোধে নামে শুধু জনপ্রতিনিেিদর জিও ব্যাগ ফেলানোর নামের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলা হচ্ছে নদী ভাঙন রোধে যে পরিমাণ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো প্রয়োজন সেই তুলনায় কিছু হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘুমিয়ে রয়েছে গত এক মাস যাবৎ নদী ভাঙন শুরু হলেও কোন কাজ হচ্ছে না। শুধু বিআইডব্লিউটিএ শুধু লোক দেখানো দায়িত্ব পালন করছে আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেখা মিলছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এটা প্রত্যাশা করি না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট গুলো সচল রাখার জন্য ভাঙন রোধে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেরানো হয়েছে তবে সেটা খুবই কম ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন রোধ করতে আরও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো লাগবে বলেন। এদিকে ভাঙন রোধের বিস্তারিত জানতে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমীন এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন যোগযোগে চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
বছরের পর বছর নদী ভাঙন ! গোয়ালন্দের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন! রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় নদী ভাঙনে গৃহহীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ভাঙন আতংকে রয়েছে তিন শতাধিক পরিবার, শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১ ও ২নং ফেরি ঘাটের মাঝে এবং ৬ ও ৭ নং ফরি ঘাটের মাঝে নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে ১৫টি পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন আতংকে রয়েছে আরো শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ৩শতাধিক বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ভাঙন সংশ্লিষ্টদের নিকট থেকে জানা যায়, গত এক মাস যাবৎ নদী ভাঙন শুরু হয়েছে কিন্তু ভাঙন শুরু হলেও খোঁজ নেই রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের বলে অভিযোগ। জানা যায়, শুধুমাত্র বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের ঘাট রক্ষার্থে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে গুরু দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিন ভাঙন এলাকা ঘুরে এবং ভাঙন সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বললে দৌলতদিয়া ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য উজ্জল হোসেন বাবু বলেন, কিছু বলার ভাষা নেই, আমার নিজের বাড়িও নদী ভাঙনের কবলে গত এক মাস পূর্ব থেকে নদী ভাঙন শুরু হলেও ভাঙন রোধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেই কোনো কর্তৃৃপক্ষের।
এদিকে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত কোনো সদস্য ভাঙন এলাকায় আসেননি এতে এলাকার সাধারণ মানুষ হতাশ। ভাঙন আতংকে থাকা ব্যবসায়ী মো. বারেক মৃধা বলেন, নদী পারে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ী, ভাঙন রোধ না হলে যে কোনো মুহূর্তে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে চলে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এক মাস আগে থেকে নদীতে ভাঙন শুরু হয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের ঘাট রক্ষায় শুধু কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেছে। কিন্তু রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ এখনও পর্যন্তু আসেনি বলে অভিযোগ করেন।
এছাড়া ব্যবসায়ী শাহীন খান বলেন,দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ডে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে কিছু বাড়ীর বসতভিটা ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে অনেকে বিভিন্ন এলাকা ছেড়ে চলে গেছে ভাঙন আতংকে। এছাড়া আরিফ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, একাধিকবার নদী ভাঙনের কবলে পড়েছি, আমি যা দেখি নদী ভাঙনে ভাঙন রোধে নামে শুধু জনপ্রতিনিেিদর জিও ব্যাগ ফেলানোর নামের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলা হচ্ছে নদী ভাঙন রোধে যে পরিমাণ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো প্রয়োজন সেই তুলনায় কিছু হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘুমিয়ে রয়েছে গত এক মাস যাবৎ নদী ভাঙন শুরু হলেও কোন কাজ হচ্ছে না। শুধু বিআইডব্লিউটিএ শুধু লোক দেখানো দায়িত্ব পালন করছে আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেখা মিলছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা এটা প্রত্যাশা করি না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট গুলো সচল রাখার জন্য ভাঙন রোধে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেরানো হয়েছে তবে সেটা খুবই কম ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন রোধ করতে আরও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো লাগবে বলেন। এদিকে ভাঙন রোধের বিস্তারিত জানতে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমীন এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন যোগযোগে চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।