রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলমের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ ১১টি অভিযোগ এনছেন ৯ জন ইউপি সদস্য।
অভিযোগকারিরা হলেন- আখতারুজ্জামান, মশিউর রহমান, নূরুজ্জামান, মাবিয়া খাতুন, মাহমুদা খাতুন, শাকি আহমেদ, রেজাউল ইসলাম, নাজমিন নাহার ও বেলাল হোসেন। তারা স্থানীয় সরকার রংপুরের উপপরিচালক বরাবর ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ভিজিএফ’র ১২০ বস্তা চাল হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি কোন প্রকার সভা না করে ইউপি সদস্যদের ফাঁকা রেজুলেশনে সাক্ষর করতে বাধ্য করেন। তিনি সরকারি বরাদ্দ সম্পর্কে ইউপি সদস্যদের অবহিত করেননা।
এছাড়া এলজিএসপি’র আওতায় দু’টি প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তিনি তা’ বাস্তবায়ন না করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রতিমাসে ইউপি সদস্যদের নিয়ে সভা করার নিয়ম থাকলেও আজ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এছাড়া ভূমি উন্নয়ন করের ১% অর্থ কোন কাজে ব্যয় হয় এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ইউপি সদস্যদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। নির্বাচনের পর ইউপি সদস্যদের ইউপি অংশের মাত্র ৬ মাসের সম্মানী ভাতা দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত অন্যান্য মাসের সম্মানী ভাতা কোন ইউপি সদস্যকে প্রদান করা হয়নি। এর পাশাপাশি হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত কম্বলের গুটি কয়েক বিতরণ করার ছবি ফেসবুকে ছাড়লেও বাকী কম্বল কি করা হয়েছে তা’ সবারই অজানা।
গোপালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বিভিন্ন কল-কারখানা ও ইটভাটা হতে আদায়কৃত ট্যাক্সের অর্থ আংশিক জমা করে বাকী অর্থ তিনি আত্মসাৎ করে থাকেন। এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত অর্থের ৫০% ইউপি কমপ্লেক্স সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে তা’ বাস্তবায়ন না করে সমুদয় অর্থ তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এর বাইরে কখনো কোন ইউপি সদস্যকে কাজ দেয়া হলে তিনি ওই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে জোর করে ২৫% অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগকারি ইউপি সদস্যরা এসব অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেছেন।
এনিয়ে ইউপি সচিব মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, প্রকল্প নিয়ে দু’ ইউপি সদস্যের দ্বন্দ্ব থাকায় সুযোগ নিয়েছেন অন্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনেছেন ৯ ইউপি সদস্য।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, আমি এক ইউপি সদস্যের কাজের স্কিম পরিবর্তন করে আরেক ইউপি সদস্যকে দিয়েছি বলেই আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই তারা বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলমের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ ১১টি অভিযোগ এনছেন ৯ জন ইউপি সদস্য।
অভিযোগকারিরা হলেন- আখতারুজ্জামান, মশিউর রহমান, নূরুজ্জামান, মাবিয়া খাতুন, মাহমুদা খাতুন, শাকি আহমেদ, রেজাউল ইসলাম, নাজমিন নাহার ও বেলাল হোসেন। তারা স্থানীয় সরকার রংপুরের উপপরিচালক বরাবর ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ভিজিএফ’র ১২০ বস্তা চাল হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি কোন প্রকার সভা না করে ইউপি সদস্যদের ফাঁকা রেজুলেশনে সাক্ষর করতে বাধ্য করেন। তিনি সরকারি বরাদ্দ সম্পর্কে ইউপি সদস্যদের অবহিত করেননা।
এছাড়া এলজিএসপি’র আওতায় দু’টি প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তিনি তা’ বাস্তবায়ন না করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রতিমাসে ইউপি সদস্যদের নিয়ে সভা করার নিয়ম থাকলেও আজ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এছাড়া ভূমি উন্নয়ন করের ১% অর্থ কোন কাজে ব্যয় হয় এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ইউপি সদস্যদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। নির্বাচনের পর ইউপি সদস্যদের ইউপি অংশের মাত্র ৬ মাসের সম্মানী ভাতা দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত অন্যান্য মাসের সম্মানী ভাতা কোন ইউপি সদস্যকে প্রদান করা হয়নি। এর পাশাপাশি হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত কম্বলের গুটি কয়েক বিতরণ করার ছবি ফেসবুকে ছাড়লেও বাকী কম্বল কি করা হয়েছে তা’ সবারই অজানা।
গোপালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বিভিন্ন কল-কারখানা ও ইটভাটা হতে আদায়কৃত ট্যাক্সের অর্থ আংশিক জমা করে বাকী অর্থ তিনি আত্মসাৎ করে থাকেন। এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত অর্থের ৫০% ইউপি কমপ্লেক্স সংস্কারসহ বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে তা’ বাস্তবায়ন না করে সমুদয় অর্থ তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এর বাইরে কখনো কোন ইউপি সদস্যকে কাজ দেয়া হলে তিনি ওই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে জোর করে ২৫% অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগকারি ইউপি সদস্যরা এসব অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেছেন।
এনিয়ে ইউপি সচিব মোস্তাক আহমেদ বলেছেন, প্রকল্প নিয়ে দু’ ইউপি সদস্যের দ্বন্দ্ব থাকায় সুযোগ নিয়েছেন অন্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনেছেন ৯ ইউপি সদস্য।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, আমি এক ইউপি সদস্যের কাজের স্কিম পরিবর্তন করে আরেক ইউপি সদস্যকে দিয়েছি বলেই আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই তারা বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।