রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় গেট ও পাকিং এরিয়া ইজারা দেবার জন্য টেন্ডারে চরম অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে। সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতাকে ইজারা না দিয়ে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে দ্বিতীয় দরপত্র দাখিল কারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এতে করে সরকার ২০ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এদিকে সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতাকে ইজারা না দেয়ায় রংপুর সরকারী বিনোদন উদ্যন ও চিড়িয়াখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কিউরেটর আম্বার আলী তালুকদার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দ্বিতীয় দরপত্র দাতাকে কার্যাদেশ দেয়ার বিরুদ্ধে সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা চৌধুরী ষ্টোর হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করলে গত ২ জুলাই তারিখে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হোসেনের ডিভিশন দ্বিতীয় দরপত্র দাতার উপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারীর আদেশ দেন। যার রীট পিটিশন নম্বর ৮২২১ও ৮২২২/২৪ । এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব সহ রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর সহ সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের উপর রুল নিশি জারি করেন।
আদালতের নির্দ্দেশনা উপেক্ষা করায় সরকারী রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় চরম অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে রংপুর সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শত শত দর্শনার্থি চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন এতে করে তারা যেমন বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অপরদিকে আদালতের ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দ্দেশনা অমান্য করে রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা, মোঃ আম্বার আলী দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দাতাকেই সরকারী চিড়িয়াখানার গেট ও পাকিং এরিয়ার দায়িত্ব গোপনে প্রদান করে দায়িত্ব পালন করতে অলিখিত নির্দ্দেশনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা, আম্বর আলী আদালতের নির্দ্দেশ নাকি যথাযথ হয়নি বলে নিজের কার্যালয়ের কর্মচারী ও দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দাতাদের মাধ্যমে গোপনে চিড়িয়াখানার গেট ও পার্কিং এরিয়ার টাকা উত্তোলন করে পকেটস্থ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে রংপুর চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারী সার্জেনের কার্যালয় ও ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা, আম্বার আলী চলতি মে মাসের ৬ মে তারিখে তার কতার্যালয়ের স্মারক নম্বর ২০৫ অনুয়ায়ী চিড়িয়া খানার গেট , পার্কিং এরিয়া ও শিশু পার্ক ইজারা দেবার টেন্ডার আহবান করেন। টেন্ডার ক্রয় করার শেষ তারিখ ছিলো ২৬/০৫/২৪ইং এবং টেন্ডার পত্র দাখিল করার সর্বশেষ তারিখ ছিলো ২৭/০৫/২৪ইং। টেন্ডারে গেট ইজারা নেবার জন্য ৬টি টেন্ডার দাখিল করা হয়েছিলো। সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা ছিলেন চৌধুরী ষ্টোর তার দাখিল করা দর ছিলো ১ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার , দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা ছিলো সুমনা এন্টারপ্রাইজ তার দেয়া দর ছিলো ১ কোটি ২০ হাজার টাকা। সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চৌধুরী ষ্টোর হওয়ার পরেও কিউরেটর মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠান সুমনা এন্টার প্রাইজ যার দাখিল করা দর ছিলো ১ কোটি ২০ হাজার টাকা দেবার পরেও সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠানের চাইতে ২০ লাখ টাকা কম হবার পরেও তাকে কার্যাদেশ দিয়ে ক্ষমতার চরম অপব্যাবহার করেছেন বলে অভিযোগ সর্ব্বচ্য দরপত্র দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠান চৌধুরী ষ্টোরের।
এ ব্যাপারে চৌধুরী ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী মোঃ জাকির অভিযোগ করেন তিনি সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা হলেও তাকে কার্যাদেশ না দিয়ে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়ে একদিকে সরকারের ২০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে অন্যদিকে হাইকোর্টের ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশকে অমান্য করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপÍ কিউরেটর ডা, আম্বার আলী তালুকদারের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কেন সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ না দেবার কোন কারন বা ব্যাখ্যা তিনি জানাতে পারেন নাই। দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিয়ে সরকারের ২০ লাখ টাকা রাজস্ব ক্ষতি করার বিষয়ে তিনি বলেন তার ক্ষমতা বলে তিনি নাকি করতেই পারেন। হাইকোটের নিষেধাজ্ঞা কেন মানছেননা তার কোন সদুত্তোর তিনি দিতে পারেন নাই।
দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠান সুমনা এন্টার প্রাইজ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় গেট ও পাকিং এরিয়া ইজারা দেবার জন্য টেন্ডারে চরম অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে। সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতাকে ইজারা না দিয়ে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে দ্বিতীয় দরপত্র দাখিল কারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এতে করে সরকার ২০ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এদিকে সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতাকে ইজারা না দেয়ায় রংপুর সরকারী বিনোদন উদ্যন ও চিড়িয়াখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কিউরেটর আম্বার আলী তালুকদার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দ্বিতীয় দরপত্র দাতাকে কার্যাদেশ দেয়ার বিরুদ্ধে সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা চৌধুরী ষ্টোর হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করলে গত ২ জুলাই তারিখে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হোসেনের ডিভিশন দ্বিতীয় দরপত্র দাতার উপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারীর আদেশ দেন। যার রীট পিটিশন নম্বর ৮২২১ও ৮২২২/২৪ । এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব সহ রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর সহ সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের উপর রুল নিশি জারি করেন।
আদালতের নির্দ্দেশনা উপেক্ষা করায় সরকারী রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় চরম অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে রংপুর সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শত শত দর্শনার্থি চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন এতে করে তারা যেমন বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অপরদিকে আদালতের ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দ্দেশনা অমান্য করে রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা, মোঃ আম্বার আলী দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দাতাকেই সরকারী চিড়িয়াখানার গেট ও পাকিং এরিয়ার দায়িত্ব গোপনে প্রদান করে দায়িত্ব পালন করতে অলিখিত নির্দ্দেশনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা, আম্বর আলী আদালতের নির্দ্দেশ নাকি যথাযথ হয়নি বলে নিজের কার্যালয়ের কর্মচারী ও দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দাতাদের মাধ্যমে গোপনে চিড়িয়াখানার গেট ও পার্কিং এরিয়ার টাকা উত্তোলন করে পকেটস্থ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে রংপুর চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারী সার্জেনের কার্যালয় ও ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা, আম্বার আলী চলতি মে মাসের ৬ মে তারিখে তার কতার্যালয়ের স্মারক নম্বর ২০৫ অনুয়ায়ী চিড়িয়া খানার গেট , পার্কিং এরিয়া ও শিশু পার্ক ইজারা দেবার টেন্ডার আহবান করেন। টেন্ডার ক্রয় করার শেষ তারিখ ছিলো ২৬/০৫/২৪ইং এবং টেন্ডার পত্র দাখিল করার সর্বশেষ তারিখ ছিলো ২৭/০৫/২৪ইং। টেন্ডারে গেট ইজারা নেবার জন্য ৬টি টেন্ডার দাখিল করা হয়েছিলো। সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা ছিলেন চৌধুরী ষ্টোর তার দাখিল করা দর ছিলো ১ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার , দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা ছিলো সুমনা এন্টারপ্রাইজ তার দেয়া দর ছিলো ১ কোটি ২০ হাজার টাকা। সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চৌধুরী ষ্টোর হওয়ার পরেও কিউরেটর মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠান সুমনা এন্টার প্রাইজ যার দাখিল করা দর ছিলো ১ কোটি ২০ হাজার টাকা দেবার পরেও সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠানের চাইতে ২০ লাখ টাকা কম হবার পরেও তাকে কার্যাদেশ দিয়ে ক্ষমতার চরম অপব্যাবহার করেছেন বলে অভিযোগ সর্ব্বচ্য দরপত্র দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠান চৌধুরী ষ্টোরের।
এ ব্যাপারে চৌধুরী ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী মোঃ জাকির অভিযোগ করেন তিনি সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা হলেও তাকে কার্যাদেশ না দিয়ে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়ে একদিকে সরকারের ২০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে অন্যদিকে হাইকোর্টের ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশকে অমান্য করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপÍ কিউরেটর ডা, আম্বার আলী তালুকদারের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কেন সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ না দেবার কোন কারন বা ব্যাখ্যা তিনি জানাতে পারেন নাই। দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিয়ে সরকারের ২০ লাখ টাকা রাজস্ব ক্ষতি করার বিষয়ে তিনি বলেন তার ক্ষমতা বলে তিনি নাকি করতেই পারেন। হাইকোটের নিষেধাজ্ঞা কেন মানছেননা তার কোন সদুত্তোর তিনি দিতে পারেন নাই।
দ্বিতীয় সর্ব্বচ্য দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠান সুমনা এন্টার প্রাইজ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।