# জি. আর. ক্যাশ এক কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা # জি. আর. চাল ৫ হাজার ১৫ মে. ট. # শুকনো খাবার ৪৭ হাজার ৬৮৬ প্যাকেট # শিশু ও গো-খাদ্য ৪০ লাখ টাকা
সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় এখনো বন্যা আক্রান্ত ১২ লাখ ৯২ হাজার ১০৮ জন মানুষ। এরমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন মাত্র ২০ হাজার ৭৩৩ জন মানুষ। বিভাগীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যা আক্রান্তদের বিপরীতে জি. আর. চাল, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গো- খাদ্য ছাড়াও জি.আর ক্যাশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। যা মাথাপিছু গড়ে দাঁড়ায় ১০ টাকার কাছাকাছি। এছাড়া বিভাগে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জি. আর. চাল ৫ হাজার পনেরো মেট্রিক টন, শুকনো খাবার ৪৭ হাজার ৬৮৬ প্যাকেট, শিশু ও গো-খাদ্য ৪০ লাখ টাকা করে।
৬ জুলাই রাতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের তৈরি এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভাগে মোট ৩৭৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র চলমান আছে। এর মধ্যে সিলেটে ২১৩ টি, সুনামগঞ্জে ৪৫টি, হবিগঞ্জে ৮টি এবং মৌলভীবাজারে ১০৯ টি কেন্দ্র রয়েছে। আর বন্যা আক্রান্ত জনসংখ্যার মধ্যে সিলেটে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৮৭ জন, সুনামগঞ্জে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩১ জন, হবিগঞ্জের ২ হাজার ৭১৩ জন এবং মৌলভীবাজারে ৩ লাখ ১৪ হাজার ২৭৭ জন রয়েছেন। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সিলেটে ৯ হাজার ৮৩১ জন, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৪৮১ জন, হবিগঞ্জে ১ হাজার ১২০ জন এবং মৌলভীবাজারে ৮ হাজার ৩০১ জন অবস্থান করছেন। জনসংখ্যা ছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ২ হাজার ৪৮৮টি গবাদি পশু রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ১ হাজার ৫৪৫টি, সুনামগঞ্জে ১০৫টি, হবিগঞ্জ ১২৬টি এবং মৌলভীবাজারে ৭১২টি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বিশুদ্ধ পানির সংকট হয়নি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সিলেটে ২টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে এবং কমিউনিটিতে দৈনিক ৫০০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি জ্যারিকেনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এছাড়া ১০ লিটার পানি ধারনক্ষমতাসম্পন্ন ৫ হাজার জ্যারিকেন বিতরন, ১১ হাজার মজুদ, ১ হাজার ৫৩০ টি হাইজিন কিট বিতরন ও ১ হাজার ১৫০ টি হাইজিন কিট মজুদ রয়েছে।
সুনামগঞ্জ : প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে এবং দুইটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রস্তুত রয়েছে যার ক্যাপাসিটি প্রতি ঘন্টায় ৬০০ লিটার।
হবিগঞ্জ: প্রতিটি কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনো বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়নি। জেরিক্যান (১০লিটার)৮০ পিস সরবরাহ করা হয়েছে এবং ৩৮০ পিস হাইজিন কিট দেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার : প্রতিটি কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনো বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়নি।
ইতোমধ্যে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ১১ লাখ ১০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ৫ লাখ ৬৫ হাজার, সুনামগঞ্জে ৩ লাখ, হবিগঞ্জে ১ লাখ ,৭০ হাজার এবং মৌলভীবাজারে ৭৫ হাজার পিস ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়।
এছাড়া ২৯৩টি মেডিকেল টিমের মধ্যে সিলেটে ১১৮ টি, সুনামগঞ্জ ১০১ টি, হবিগঞ্জে ৩৬ টি এবং মৌলভীবাজারে ৩৮ টিম রয়েছে।
ত্রাণ সরবরাহের মধ্যে সিলেটে জি.আর. চাল: ১ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন, জি. আর. ক্যাশ: ৬০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, শুকনো খাবার ১৪ হাজার ৫৫৬ প্যাকেট,
শিশু খাদ্য ২০ লাখ ও গো-খাদ্য ২০ লাখ,
সুনামগঞ্জে জি.আর. চাল: ১ হাজার ৭৩৪ মে. টন, জি. আর. ক্যাশ: ৩৬ লাখ ১০ হাজার, শুকনো খাবার ১৩ হাজার প্যাকেট, গো-খাদ্য ১০ লাখ ও
শিশু খাদ্য ১০ লাখ টাকা,
হবিগঞ্জে জি.আর. চাল ৩৮৬ মেঃ টন, জি. আর. ক্যাশ ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, শুকনো খাবার ৩ হাজার ৭৪০ প্যাকেট, গো-খাদ্য ৫ লাখ ও শিশু খাদ্য ৫ লাখ টাকা এবং মৌলভীবাজারে জি. আর. চাল ১ হাজার ৫০ মে. টন,
নগদ অর্থ- ২০ লাখ টাকা,
শুকনো খাবার ১৬ হাজার ৩৯০ প্যাকেট, গো-খাদ্য ৫ লাখ ও শিশু খাদ্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
# জি. আর. ক্যাশ এক কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা # জি. আর. চাল ৫ হাজার ১৫ মে. ট. # শুকনো খাবার ৪৭ হাজার ৬৮৬ প্যাকেট # শিশু ও গো-খাদ্য ৪০ লাখ টাকা
সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় এখনো বন্যা আক্রান্ত ১২ লাখ ৯২ হাজার ১০৮ জন মানুষ। এরমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন মাত্র ২০ হাজার ৭৩৩ জন মানুষ। বিভাগীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যা আক্রান্তদের বিপরীতে জি. আর. চাল, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গো- খাদ্য ছাড়াও জি.আর ক্যাশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। যা মাথাপিছু গড়ে দাঁড়ায় ১০ টাকার কাছাকাছি। এছাড়া বিভাগে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জি. আর. চাল ৫ হাজার পনেরো মেট্রিক টন, শুকনো খাবার ৪৭ হাজার ৬৮৬ প্যাকেট, শিশু ও গো-খাদ্য ৪০ লাখ টাকা করে।
৬ জুলাই রাতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের তৈরি এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভাগে মোট ৩৭৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র চলমান আছে। এর মধ্যে সিলেটে ২১৩ টি, সুনামগঞ্জে ৪৫টি, হবিগঞ্জে ৮টি এবং মৌলভীবাজারে ১০৯ টি কেন্দ্র রয়েছে। আর বন্যা আক্রান্ত জনসংখ্যার মধ্যে সিলেটে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৮৭ জন, সুনামগঞ্জে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩১ জন, হবিগঞ্জের ২ হাজার ৭১৩ জন এবং মৌলভীবাজারে ৩ লাখ ১৪ হাজার ২৭৭ জন রয়েছেন। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সিলেটে ৯ হাজার ৮৩১ জন, সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৪৮১ জন, হবিগঞ্জে ১ হাজার ১২০ জন এবং মৌলভীবাজারে ৮ হাজার ৩০১ জন অবস্থান করছেন। জনসংখ্যা ছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ২ হাজার ৪৮৮টি গবাদি পশু রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ১ হাজার ৫৪৫টি, সুনামগঞ্জে ১০৫টি, হবিগঞ্জ ১২৬টি এবং মৌলভীবাজারে ৭১২টি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বিশুদ্ধ পানির সংকট হয়নি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সিলেটে ২টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে এবং কমিউনিটিতে দৈনিক ৫০০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি জ্যারিকেনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এছাড়া ১০ লিটার পানি ধারনক্ষমতাসম্পন্ন ৫ হাজার জ্যারিকেন বিতরন, ১১ হাজার মজুদ, ১ হাজার ৫৩০ টি হাইজিন কিট বিতরন ও ১ হাজার ১৫০ টি হাইজিন কিট মজুদ রয়েছে।
সুনামগঞ্জ : প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে এবং দুইটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রস্তুত রয়েছে যার ক্যাপাসিটি প্রতি ঘন্টায় ৬০০ লিটার।
হবিগঞ্জ: প্রতিটি কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনো বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়নি। জেরিক্যান (১০লিটার)৮০ পিস সরবরাহ করা হয়েছে এবং ৩৮০ পিস হাইজিন কিট দেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার : প্রতিটি কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনো বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়নি।
ইতোমধ্যে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ১১ লাখ ১০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ৫ লাখ ৬৫ হাজার, সুনামগঞ্জে ৩ লাখ, হবিগঞ্জে ১ লাখ ,৭০ হাজার এবং মৌলভীবাজারে ৭৫ হাজার পিস ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়।
এছাড়া ২৯৩টি মেডিকেল টিমের মধ্যে সিলেটে ১১৮ টি, সুনামগঞ্জ ১০১ টি, হবিগঞ্জে ৩৬ টি এবং মৌলভীবাজারে ৩৮ টিম রয়েছে।
ত্রাণ সরবরাহের মধ্যে সিলেটে জি.আর. চাল: ১ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন, জি. আর. ক্যাশ: ৬০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, শুকনো খাবার ১৪ হাজার ৫৫৬ প্যাকেট,
শিশু খাদ্য ২০ লাখ ও গো-খাদ্য ২০ লাখ,
সুনামগঞ্জে জি.আর. চাল: ১ হাজার ৭৩৪ মে. টন, জি. আর. ক্যাশ: ৩৬ লাখ ১০ হাজার, শুকনো খাবার ১৩ হাজার প্যাকেট, গো-খাদ্য ১০ লাখ ও
শিশু খাদ্য ১০ লাখ টাকা,
হবিগঞ্জে জি.আর. চাল ৩৮৬ মেঃ টন, জি. আর. ক্যাশ ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, শুকনো খাবার ৩ হাজার ৭৪০ প্যাকেট, গো-খাদ্য ৫ লাখ ও শিশু খাদ্য ৫ লাখ টাকা এবং মৌলভীবাজারে জি. আর. চাল ১ হাজার ৫০ মে. টন,
নগদ অর্থ- ২০ লাখ টাকা,
শুকনো খাবার ১৬ হাজার ৩৯০ প্যাকেট, গো-খাদ্য ৫ লাখ ও শিশু খাদ্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।