alt

সারাদেশ

ক্যাম্প থেকে ৫ আরসা সন্ত্রাসী অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেফতার

জেলা বার্তা পরিবেশেক কক্সবাজার : শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/July/12Jul24/news/5a6405ac-757b-4f4e-9ba5-47a022117fc8.jpg

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মোছারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা করে ৫ আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব৷ এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোর রাতে ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোছারখোলা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়৷

গ্রেফতাররা হলো উখিয়া ক্যাম্প-১৫ এর বাসিন্দা মৃত আব্দুল মোতালেব এর ছেলে মোঃ নেছার (৩০),একই ক্যাম্পের আব্দুল জব্বারের ছেলে রবি আলম (১৮), মোঃ শাকের আহমেদ এর ছেলে মোঃ আবুল কালাম (২৮), বাশার এর ছেলে মোঃ আইয়ুব (২২) এবং উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দু রহমানের ছেলে আবুল হোসেন (২০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব -১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবুল কালাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, র‍্যাব-১৫ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার একদল সদস্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ক্যাম্পে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ১১ জুলাই ভোরে ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোছারখোলা নামক স্থানে একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে র‌্যাবের আভিযানিক দল কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার ৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার এবং ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু বিভিন্ন অস্ত্রের অ্যামুনিশন জব্দ করা হয়।

https://sangbad.net.bd/images/2024/July/12Jul24/news/ddba6d51-79ea-4d7f-b5b4-363d43690547.jpg

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ইউনুস মাঝি, মৌলভী ইব্রাহিম ও আরাফাতের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের আরসার একটি গ্রুপ ক্যাম্প-১৫ এ অবস্থান করে। তারা উখিয়া ও হ্নীলার পাহাড়ী এলাকায় স্থানীয় কৃষকসহ নিরীহ লোকদের অপহরণপূর্বক মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। যে সকল স্থানীয় কৃষক পাহাড়ী এলাকায় কৃষিক্ষেতে কাজ করতে বা গরু চড়াতে অথবা বনে কাঠ সংগ্রহ করতে যায় ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সুযোগ বুঝে এ সকল নিরীহ কৃষকদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের ভিডিও ভিকটিমের চিৎকার তার পরিবারের সদস্যদের ফোনের মাধ্যমে শুনিয়ে মুক্তিপণের টাকা আদায় করে থাকে। গ্রেফতারকৃতরা আরও জানায় যে, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা ও ব্যবহৃত অস্ত্রের অর্থের যোগানের জন্য মূলত তারা এই অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত ৫ আসামীর মধ্যে আবুল হোসেন স্থানীয় বাঙ্গালী। সে মূলত আরসা সন্ত্রাসীদের অপহরণ সংক্রান্তে তথ্যদাতা। কোন কৃষকের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, কাকে অপহরণ করলে মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই সংক্রান্তে তথ্য আরসা সন্ত্রাসীদের নিকট প্রদান করতো। তাছাড়া টেকনাফ, মহেশখালীসহ অন্যান্য জায়গা থেকে লোকাল অস্ত্র সংগ্রহে সে আরসার সদস্যদের সহযোগিতা করতো বলে জানায়।

র‍্যাব সুত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিশেষ করে আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক সৃষ্টি, হামলা, খুন, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৫ গত ২০২৩ সালে ৯৪ জন এবং ২০২৪ সালে ২৪ জন আরসা সদস্য মোট ১১৮ জন আরসা সন্ত্রাসীকে ৭১টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি মোছারখোলা, উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকাগুলোতে অপহরণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাছাড়া বিভিন্ন ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাও বাড়তে থাকে ফলে ক্যাম্পসমূহে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।

ছবি

তিস্তা-যমুনা চরের দারিদ্র্যতার ঝুঁকিতে ১৫ লাখ মানুষ

ছবি

বোয়ালখালীতে নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস

নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেল স্বামী

নিজ ঘরে স্টিলের বাক্সে গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী পুলিশ হেফাজতে

যাত্রাবাড়ীতে কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ, মারা গেলেন ইতি আক্তার

বোরকা পরে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকশ্রমিক নিহত

ছবি

মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার আলো ছড়ানোর ৩৭ বছর

হত্যার হুমকি দিয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ

লালমাইয়ে চার মাদকসেবী দণ্ডিত

ছবি

যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে ভাঙন দিশাহারা নদীপাড়ের মানুষ

ছবি

চকরিয়ায় সওজের জমি থেকে অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ অভিযান

স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা পরিষ্কার করলো যুবসমাজ

বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ

ছবি

৪০ টাকার কাঁচা মরিচ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁয় ২৪০ টাকা

শ্রীমঙ্গলে অবৈধ ভারতীয় চা পাতা উদ্ধার, জরিমানা

নিখোঁজ তানজিদের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

অবশেষে কাশিমপুর ক্রসবাঁধ অপসারিত

জীবন্ত গাছের নীরব কান্না পেরেক ঢুকিয়ে ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা

৯ মাস পর লিবিয়া থেকে ফিরলেন সাগর, মানবপাচারের ফাঁদ থেকে মুক্ত

সুন্দরবনে ৩টি ট্রলারসহ ২৭ জেলে আটক

১১ বছর পরে ফরিদপুরে রাজন হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাচ্ছে মধুপুর শালবন

শেরপুরে নবম শ্রেণীর ছাত্রকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল

দৌলতপুরের সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

ছবি

দশমিনার সবুজবাগে সরকারি খালটি মৃতপ্রায় জলাবদ্ধ শত শত পরিবার

চা শ্রমিক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার

চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস থেকে দেশকে মুক্তি দিতে চাই নড়াইলে পথসভায় নাহিদ

ফল জালিয়াতি রাজশাহীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত

ছবি

মাদারীপুরে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, সড়ক জলাবদ্ধ

মোরেলগঞ্জে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

মধুপুর শহীদস্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ পাশ, জিপিএ-৫ ২২৬

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ পাশ করেনি

ছবি

কচুয়ার অবহেলিত গ্রাম জয়নগর ও কদমতলী

tab

সারাদেশ

ক্যাম্প থেকে ৫ আরসা সন্ত্রাসী অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রেফতার

জেলা বার্তা পরিবেশেক কক্সবাজার

শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

https://sangbad.net.bd/images/2024/July/12Jul24/news/5a6405ac-757b-4f4e-9ba5-47a022117fc8.jpg

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মোছারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা করে ৫ আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব৷ এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোর রাতে ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোছারখোলা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়৷

গ্রেফতাররা হলো উখিয়া ক্যাম্প-১৫ এর বাসিন্দা মৃত আব্দুল মোতালেব এর ছেলে মোঃ নেছার (৩০),একই ক্যাম্পের আব্দুল জব্বারের ছেলে রবি আলম (১৮), মোঃ শাকের আহমেদ এর ছেলে মোঃ আবুল কালাম (২৮), বাশার এর ছেলে মোঃ আইয়ুব (২২) এবং উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দু রহমানের ছেলে আবুল হোসেন (২০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব -১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবুল কালাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, র‍্যাব-১৫ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার একদল সদস্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ক্যাম্পে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ১১ জুলাই ভোরে ১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোছারখোলা নামক স্থানে একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে র‌্যাবের আভিযানিক দল কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার ৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার এবং ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু বিভিন্ন অস্ত্রের অ্যামুনিশন জব্দ করা হয়।

https://sangbad.net.bd/images/2024/July/12Jul24/news/ddba6d51-79ea-4d7f-b5b4-363d43690547.jpg

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ইউনুস মাঝি, মৌলভী ইব্রাহিম ও আরাফাতের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের আরসার একটি গ্রুপ ক্যাম্প-১৫ এ অবস্থান করে। তারা উখিয়া ও হ্নীলার পাহাড়ী এলাকায় স্থানীয় কৃষকসহ নিরীহ লোকদের অপহরণপূর্বক মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। যে সকল স্থানীয় কৃষক পাহাড়ী এলাকায় কৃষিক্ষেতে কাজ করতে বা গরু চড়াতে অথবা বনে কাঠ সংগ্রহ করতে যায় ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সুযোগ বুঝে এ সকল নিরীহ কৃষকদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের ভিডিও ভিকটিমের চিৎকার তার পরিবারের সদস্যদের ফোনের মাধ্যমে শুনিয়ে মুক্তিপণের টাকা আদায় করে থাকে। গ্রেফতারকৃতরা আরও জানায় যে, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা ও ব্যবহৃত অস্ত্রের অর্থের যোগানের জন্য মূলত তারা এই অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত ৫ আসামীর মধ্যে আবুল হোসেন স্থানীয় বাঙ্গালী। সে মূলত আরসা সন্ত্রাসীদের অপহরণ সংক্রান্তে তথ্যদাতা। কোন কৃষকের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, কাকে অপহরণ করলে মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই সংক্রান্তে তথ্য আরসা সন্ত্রাসীদের নিকট প্রদান করতো। তাছাড়া টেকনাফ, মহেশখালীসহ অন্যান্য জায়গা থেকে লোকাল অস্ত্র সংগ্রহে সে আরসার সদস্যদের সহযোগিতা করতো বলে জানায়।

র‍্যাব সুত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিশেষ করে আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক সৃষ্টি, হামলা, খুন, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৫ গত ২০২৩ সালে ৯৪ জন এবং ২০২৪ সালে ২৪ জন আরসা সদস্য মোট ১১৮ জন আরসা সন্ত্রাসীকে ৭১টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি মোছারখোলা, উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকাগুলোতে অপহরণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাছাড়া বিভিন্ন ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাও বাড়তে থাকে ফলে ক্যাম্পসমূহে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।

back to top