পিরোজপুরের নাজিরপুরে ছেলের হাতের বাংলা দায়ের কোপে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নিহতের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুতিকা বালা (৫৫) ওই এলাকার নারায়ন বালার স্ত্রী এবং খুনি যতিশ বালা (৩২) নিহত যুথিকা বালার বড় ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: রবিউল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, নিহত যুতিকা বালা ও তার স্বামী নারায়ন বালার চার ছেলের দুই ছেলে ভারতে থাকে এবং দুই ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় কালিবাড়ী বাজারে নারায়ন বাল চায়ের দোকান চালান। প্রতিদিন রাতে নারায়ণ বালা কেনা-বেচা শেষ করে দোকান বন্ধ করে ১১-১২ টার দিকে ছেলেদের সাথে নিয়ে বাড়িতে যান। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় খুনি যতিশ বালা তার শিশু মেয়েকেও তাদের বাড়ি থেকে দোকানে নিয়ে আসে। মেয়েকে দোকানে রেখে যতিশ আবার বাড়ি ফিরে গিয়ে তাদের ব্যবহৃত বাংলা দা দিয়ে তার মা যুথিকা বালাকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে ঘরে ফেলে রেখে পুনরায় কালিবাড়ী চায়ের দোকানে ফিরে আসে এবং দোকানে রেখে যাওয়া তার শিশু মেয়েকে নিয়ে আবার বাড়ীতে ফিরে গিয়ে যতিশ ডাক চিৎকার দিয়ে পাশের বাড়ীর লোকজনকে ডেকে বলে কে যেন তার মাকে কুপিয়ে যখম করেছে, তার ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন আসলে তাদের সহযোগীতায় তার মা যুতিকা বালাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ নিয়ে আসলে র্কতব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকা জনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরন করে। খুলনা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত যুতিকা বালার স্বামী নারায়ন বালা বাদী হয়ে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও খুনি নিহতের ছেলে যতিশ বালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৮ টায় নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ আলম হাওলাদার এর অফিসকক্ষে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং-এ জানান,চাঞ্চাল্যকর এই হত্যার মূল রহস্য উন্মোচনে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো:শরীফুল ইসলাম এর সার্বিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর র্সাকেল) মো:রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম হাওলাদার ও ডিবি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম রাজিব-এর যৌথ অভিযানে মামলা রুজুর ৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও মূল আসামী ছেলে যতিশ বালাকে গ্রেফতার করা হয়।খুনের আলামত হিসেবে এই ঘটনায় আসামির কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় দা খুনির স্বীকারোক্তীমূলে গতকাল বিকাল ৫ টায় বাড়ীর পাশের ডোবা থেকে খুনি নিজেই উদ্ধার করে পুলিশের কাছে দেয়। এছাড়া রক্তমাখা জামা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে খুনি যতিশ বালা স্বীকারোক্তিতে বলেন, আমার মাকে আমি দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলছি। আমার মা আমাকে সবসময় জালাতন করত, আমার স্ত্রী- সন্তানকেও জালাতন করতো।আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে চলে যায়। এই ক্ষোভে আমি মাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেই। তাই আমি আমার মাকে দাও দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছি।
এসময় প্রেস ব্রিফিং-এ আরও উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ আলম হাওলাদার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রাজিব,উপ পুলিশ পরিদর্শক নুরুল আমিন সহ নাজিরপুর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ছেলের হাতের বাংলা দায়ের কোপে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নিহতের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুতিকা বালা (৫৫) ওই এলাকার নারায়ন বালার স্ত্রী এবং খুনি যতিশ বালা (৩২) নিহত যুথিকা বালার বড় ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: রবিউল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, নিহত যুতিকা বালা ও তার স্বামী নারায়ন বালার চার ছেলের দুই ছেলে ভারতে থাকে এবং দুই ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় কালিবাড়ী বাজারে নারায়ন বাল চায়ের দোকান চালান। প্রতিদিন রাতে নারায়ণ বালা কেনা-বেচা শেষ করে দোকান বন্ধ করে ১১-১২ টার দিকে ছেলেদের সাথে নিয়ে বাড়িতে যান। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় খুনি যতিশ বালা তার শিশু মেয়েকেও তাদের বাড়ি থেকে দোকানে নিয়ে আসে। মেয়েকে দোকানে রেখে যতিশ আবার বাড়ি ফিরে গিয়ে তাদের ব্যবহৃত বাংলা দা দিয়ে তার মা যুথিকা বালাকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে ঘরে ফেলে রেখে পুনরায় কালিবাড়ী চায়ের দোকানে ফিরে আসে এবং দোকানে রেখে যাওয়া তার শিশু মেয়েকে নিয়ে আবার বাড়ীতে ফিরে গিয়ে যতিশ ডাক চিৎকার দিয়ে পাশের বাড়ীর লোকজনকে ডেকে বলে কে যেন তার মাকে কুপিয়ে যখম করেছে, তার ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন আসলে তাদের সহযোগীতায় তার মা যুতিকা বালাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ নিয়ে আসলে র্কতব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকা জনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরন করে। খুলনা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত যুতিকা বালার স্বামী নারায়ন বালা বাদী হয়ে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও খুনি নিহতের ছেলে যতিশ বালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৮ টায় নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ আলম হাওলাদার এর অফিসকক্ষে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং-এ জানান,চাঞ্চাল্যকর এই হত্যার মূল রহস্য উন্মোচনে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো:শরীফুল ইসলাম এর সার্বিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর র্সাকেল) মো:রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম হাওলাদার ও ডিবি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম রাজিব-এর যৌথ অভিযানে মামলা রুজুর ৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচন ও মূল আসামী ছেলে যতিশ বালাকে গ্রেফতার করা হয়।খুনের আলামত হিসেবে এই ঘটনায় আসামির কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় দা খুনির স্বীকারোক্তীমূলে গতকাল বিকাল ৫ টায় বাড়ীর পাশের ডোবা থেকে খুনি নিজেই উদ্ধার করে পুলিশের কাছে দেয়। এছাড়া রক্তমাখা জামা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে খুনি যতিশ বালা স্বীকারোক্তিতে বলেন, আমার মাকে আমি দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলছি। আমার মা আমাকে সবসময় জালাতন করত, আমার স্ত্রী- সন্তানকেও জালাতন করতো।আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে চলে যায়। এই ক্ষোভে আমি মাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেই। তাই আমি আমার মাকে দাও দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছি।
এসময় প্রেস ব্রিফিং-এ আরও উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ আলম হাওলাদার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রাজিব,উপ পুলিশ পরিদর্শক নুরুল আমিন সহ নাজিরপুর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।