টানা চার দিনের ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নাইক্ষ্যছড়ি খালের বেইলী ব্রিজটি তলিয়ে যাওয়ায় বাইশারী ও দোছড়ি ইউনিয়নের সাথে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষ মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি জানান, ব্রিজটি তলিয়ে যাওয়ায় তাদের উপজেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
এদিকে, পাহাড় ধসের কারণে শতাধিক কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে, ৩১ জুলাই বুধবারের অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘুমধুম ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমকূল, ক্যাম্প পাড়া, ঘোনার পাড়া, হিন্দু পাড়া, বাজার পাড়া, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়ায় পাহাড় ধসে আহত হয়েছেন কয়েকজন। রামুর কচ্ছপিয়ার তুলাতলী গ্রামের নুরুল হাকিমের স্ত্রীসহ দুই জন আহত হয়েছেন। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট ও প্রয়োজনীয় খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে পাহাড় ধসের কারণে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে এবং রাস্তার ওপর ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তুমব্রু পশ্চিমকূল গলাছিড়া এলাকায় পাহাড়ের উপর বসবাসরত কয়েকটি পরিবার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক বলেন, রাস্তার দুই পাশে টেকসই গাইডওয়াল দেওয়া হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া, রাস্তা ও দোকান প্লাবিত হয়েছে এবং অনেক স্থানে পাহাড় ধসে রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ জানান, এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে ব্রিজটি পূর্ণ সংস্কারের আবেদন করা হয়েছে। পাহাড়ে বসবাসরত সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। আপাতত শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে এবং পরবর্তী সহায়তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০১ আগস্ট ২০২৪
টানা চার দিনের ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নাইক্ষ্যছড়ি খালের বেইলী ব্রিজটি তলিয়ে যাওয়ায় বাইশারী ও দোছড়ি ইউনিয়নের সাথে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষ মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি জানান, ব্রিজটি তলিয়ে যাওয়ায় তাদের উপজেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
এদিকে, পাহাড় ধসের কারণে শতাধিক কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে, ৩১ জুলাই বুধবারের অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘুমধুম ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমকূল, ক্যাম্প পাড়া, ঘোনার পাড়া, হিন্দু পাড়া, বাজার পাড়া, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়ায় পাহাড় ধসে আহত হয়েছেন কয়েকজন। রামুর কচ্ছপিয়ার তুলাতলী গ্রামের নুরুল হাকিমের স্ত্রীসহ দুই জন আহত হয়েছেন। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট ও প্রয়োজনীয় খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে পাহাড় ধসের কারণে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে এবং রাস্তার ওপর ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তুমব্রু পশ্চিমকূল গলাছিড়া এলাকায় পাহাড়ের উপর বসবাসরত কয়েকটি পরিবার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক বলেন, রাস্তার দুই পাশে টেকসই গাইডওয়াল দেওয়া হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া, রাস্তা ও দোকান প্লাবিত হয়েছে এবং অনেক স্থানে পাহাড় ধসে রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ জানান, এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে ব্রিজটি পূর্ণ সংস্কারের আবেদন করা হয়েছে। পাহাড়ে বসবাসরত সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। আপাতত শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে এবং পরবর্তী সহায়তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।