ঝড় ও ভাঙনের কবলে পড়ে সমূদ্রতীরবর্তী বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানের হাজার হাজার ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবুজ বেস্টনী। ফলে একদিকে উপকূলীয় এসব এলাকার মানুষ যেমন ঝুঁকিতে পড়েছে, তেমনি সৌন্দর্য হারাচ্ছে সৈকত।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা কাথারিয়া, বাহারছড়া, কদমরসুল, প্রেমাশিয়া ও খানখানাবাদে সাগরের করাল গ্রাস ও ঝড়ের কবলে পড়ে অধিকাংশ ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে সাগরের বড় বড় ঢেউ সরাসরি আঘাত হানার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, আনোয়ার ও শহীদুল আলম জানান, গত দুই বছরে এসব এলাকায় অন্তত ৩/৪ হাজার ঝাউগাছ বিলীন হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নিধন এবং দখলের কবলেও পড়েছে ঝাউবাগান।
তার ওপর কদমরসুল ও খানখানাবাদ সৈকতের মাটি বাগান উপযোগী না হওয়ায় সেখানে নতুন করে ঝাউবন সৃষ্টি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু সরল, কাথারিয়া ও গন্ডামারা সৈকতের প্যারাবন ও বাইন বাগান সেখানকার উপকূলীয় বেড়িবাঁধকে ধরে রেখেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে সব এলাকায় প্যারাবন, বাইন বাগান ও ঝাউবন রয়েছে সেখানকার বেড়িবাঁধ অনেকটা ভালো আছে। যেসব এলাকায় বাগান নেই সেসব এলাকার বেড়িবাঁধ অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে।
পরিবেশবাদীদের মতে, ঝাউবাগানের ভেতরে এক ধরনের বেসিনের মতো গর্ত তৈরি হয়,
যেখানে পানি জমে থাকে। জমে থাকা এসব পানি ভাঙনকে ত্বরান্বিত করে। তাই ভাঙন রোধে ঝাউবনের পাশাপাশি নারকেলসহ অধিক শেকড়যুক্ত গাছ যেগুলো উপকূলীয় এলাকায় হয়, এ ধরনের গাছ লাগাতে হবে।
কদমরসুল এলাকার বাসিন্দা ও ঝুঁপড়ি দোকানদার হুমায়ূন কবির বলেন, বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতে একসময় দৃষ্টি নন্দন ঝাউবন ছিল। কতিপয় দুষ্কৃতকারী ঝাউগাছ কেটে সাবাড় করেছে। কোনো কোনো অংশে নদী ভাঙনের ফলে ঝাউবন উজাড় হয়ে গেছে। এছাড়াও প্রতিবছর বর্ষায় ভাঙন আরও বেড়ে যায়।
তিনি জানান, ঝাউগাছ নিধনে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সমুদ্র সৈকত এলাকা। খানখানাবাদ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম মেম্বার ও কদমরসুল এলাকার মেম্বার জয়নাল আবেদীন বলেন, উপকূলীয় এলাকার শোভাবর্ধনকারী ঐহিত্যবাহী ঝাউবাগানের যথাযথ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সাগর পাড়ের দৃষ্টি নন্দন ঝাউবন হারিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের শিকারে পরিণত হয়ে প্রতিদিন গাছ নিধন করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
এদিকে বাঁশখালী উপকূলীয় ফরেস্ট রেঞ্জার মাহমুদুল হাসান রাসেল বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সরল, গন্ডামারা ও রতনপুর এলাকায় ৬০ একর জায়গায় বনায়ন করা হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাহারছড়া ও রায়ছটা বেড়িবাঁধে আরও ১০ হাজার চারা রোপণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া বৈরী থাকায় কদমরসুলসহ সাগর সৈকতে ঝড়ের আঘাতে ও প্রচ- ঢেউ-এ ভেঙে পড়া ঝাউগাছগুলো সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া ভালো হলে গাছগুলো সংগ্রহ করা হবে।
রোববার, ০৪ আগস্ট ২০২৪
ঝড় ও ভাঙনের কবলে পড়ে সমূদ্রতীরবর্তী বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানের হাজার হাজার ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবুজ বেস্টনী। ফলে একদিকে উপকূলীয় এসব এলাকার মানুষ যেমন ঝুঁকিতে পড়েছে, তেমনি সৌন্দর্য হারাচ্ছে সৈকত।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা কাথারিয়া, বাহারছড়া, কদমরসুল, প্রেমাশিয়া ও খানখানাবাদে সাগরের করাল গ্রাস ও ঝড়ের কবলে পড়ে অধিকাংশ ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে সাগরের বড় বড় ঢেউ সরাসরি আঘাত হানার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, আনোয়ার ও শহীদুল আলম জানান, গত দুই বছরে এসব এলাকায় অন্তত ৩/৪ হাজার ঝাউগাছ বিলীন হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নিধন এবং দখলের কবলেও পড়েছে ঝাউবাগান।
তার ওপর কদমরসুল ও খানখানাবাদ সৈকতের মাটি বাগান উপযোগী না হওয়ায় সেখানে নতুন করে ঝাউবন সৃষ্টি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু সরল, কাথারিয়া ও গন্ডামারা সৈকতের প্যারাবন ও বাইন বাগান সেখানকার উপকূলীয় বেড়িবাঁধকে ধরে রেখেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে সব এলাকায় প্যারাবন, বাইন বাগান ও ঝাউবন রয়েছে সেখানকার বেড়িবাঁধ অনেকটা ভালো আছে। যেসব এলাকায় বাগান নেই সেসব এলাকার বেড়িবাঁধ অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে।
পরিবেশবাদীদের মতে, ঝাউবাগানের ভেতরে এক ধরনের বেসিনের মতো গর্ত তৈরি হয়,
যেখানে পানি জমে থাকে। জমে থাকা এসব পানি ভাঙনকে ত্বরান্বিত করে। তাই ভাঙন রোধে ঝাউবনের পাশাপাশি নারকেলসহ অধিক শেকড়যুক্ত গাছ যেগুলো উপকূলীয় এলাকায় হয়, এ ধরনের গাছ লাগাতে হবে।
কদমরসুল এলাকার বাসিন্দা ও ঝুঁপড়ি দোকানদার হুমায়ূন কবির বলেন, বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতে একসময় দৃষ্টি নন্দন ঝাউবন ছিল। কতিপয় দুষ্কৃতকারী ঝাউগাছ কেটে সাবাড় করেছে। কোনো কোনো অংশে নদী ভাঙনের ফলে ঝাউবন উজাড় হয়ে গেছে। এছাড়াও প্রতিবছর বর্ষায় ভাঙন আরও বেড়ে যায়।
তিনি জানান, ঝাউগাছ নিধনে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সমুদ্র সৈকত এলাকা। খানখানাবাদ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম মেম্বার ও কদমরসুল এলাকার মেম্বার জয়নাল আবেদীন বলেন, উপকূলীয় এলাকার শোভাবর্ধনকারী ঐহিত্যবাহী ঝাউবাগানের যথাযথ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সাগর পাড়ের দৃষ্টি নন্দন ঝাউবন হারিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের শিকারে পরিণত হয়ে প্রতিদিন গাছ নিধন করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
এদিকে বাঁশখালী উপকূলীয় ফরেস্ট রেঞ্জার মাহমুদুল হাসান রাসেল বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সরল, গন্ডামারা ও রতনপুর এলাকায় ৬০ একর জায়গায় বনায়ন করা হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাহারছড়া ও রায়ছটা বেড়িবাঁধে আরও ১০ হাজার চারা রোপণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া বৈরী থাকায় কদমরসুলসহ সাগর সৈকতে ঝড়ের আঘাতে ও প্রচ- ঢেউ-এ ভেঙে পড়া ঝাউগাছগুলো সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া ভালো হলে গাছগুলো সংগ্রহ করা হবে।