সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। দেশের অধিকাংশ জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হিন্দু মা-বোন-ভাইদের নির্যাতন এবং হত্যার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় উপজেলার বিজয় চত্ত্বর হতে শুরু করে পোস্ট অফিস মোড়, মেডিকেল মোড়, ইসলামিয়া কলেজ মোড়, উপজেলা পরিষদ হয়ে আবারও বিজয় চত্বরে এসে সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
এসময় সমাবেশে আন্দোলনকারীরা ‘আমার মাটি আমার মা, বাংলাদেশ ছাড়বো না’, ‘আমার বাড়িতে হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস জাস্টিস’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’— ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। সনাতন সম্প্রদায়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা, হিন্দু মা–বোনদের লাঞ্ছিত করা এবং দেশছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।
এসময় সাগর রায় নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষমীবিরোধী গনঅভ্যুত্থানে প্রধান লক্ষ্য ছিলো বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে যে সারাদেশে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আরেক শিক্ষার্থী সূর্যকান্ত রায় বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা চাই। কোনো রকমের সহিংসতা ও নিপীড়ন আমরা চাই না।
এসময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষে চার দফা দাবি তুলে ধরেন সনজিৎ রায়। তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে; সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে; সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে; সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে।
শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। দেশের অধিকাংশ জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হিন্দু মা-বোন-ভাইদের নির্যাতন এবং হত্যার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
আজ শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় উপজেলার বিজয় চত্ত্বর হতে শুরু করে পোস্ট অফিস মোড়, মেডিকেল মোড়, ইসলামিয়া কলেজ মোড়, উপজেলা পরিষদ হয়ে আবারও বিজয় চত্বরে এসে সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
এসময় সমাবেশে আন্দোলনকারীরা ‘আমার মাটি আমার মা, বাংলাদেশ ছাড়বো না’, ‘আমার বাড়িতে হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জাস্টিস জাস্টিস’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’— ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। সনাতন সম্প্রদায়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা, হিন্দু মা–বোনদের লাঞ্ছিত করা এবং দেশছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।
এসময় সাগর রায় নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষমীবিরোধী গনঅভ্যুত্থানে প্রধান লক্ষ্য ছিলো বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে যে সারাদেশে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আরেক শিক্ষার্থী সূর্যকান্ত রায় বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা চাই। কোনো রকমের সহিংসতা ও নিপীড়ন আমরা চাই না।
এসময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষে চার দফা দাবি তুলে ধরেন সনজিৎ রায়। তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে; সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে; সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে; সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে।