সরকার পতনের পর সিলেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালাচ্ছেন শিক্ষার্থী নামধারীরা। তারা বিভিন্ন হোটেলের রিসেপশনে গিয়ে চাবি নিয়ে কক্ষগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
কি কারণে বা কার নির্দেশে তারা তল্লাশি চালাচ্ছে তা স্পষ্ট না হলেও শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে অনেকের ভাষ্য, হোটেলগুলোতে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চলার অভিযোগে তারা তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে হোটেল সংশ্লিষ্ট অনেকের মন্তব্য, প্রকৃতপক্ষে তল্লাশিকারীরা শিক্ষার্থী নাকি অন্য কেউ তা বোঝার উপায় নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের জিজ্ঞেস করার সাহসও পাচ্ছেন না কেউ। এতে করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন বিভিন্ন শহর থেকে আসা অতিথিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরবাজার এলাকার একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে দুইজন আনসার সদস্যকে নিয়ে ছাত্র পরিচয় দানকারী চারজন তার হোটেলে গিয়ে তল্লাশি করতে চায়। এ সময় ব্যবস্থাপক কারণ জিজ্ঞেস করতে চাইলে তারা জানায় ‘আমরা কক্ষগুলো দেখবো’।
নিরুপায় হয়ে ওই ব্যবস্থাপক তাদের হাতে চাবি তুলে দেন। পরে তারা কয়েকটি কক্ষ দেখে চলে যান। এ সময় তারা একটি কক্ষে বয়স্ক স্বামী-স্ত্রীকে দেখতে পান।
জানা গেছে, সোমবার বিকেলে দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট এলাকার সিতারা আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে ৩ নারী ও একজন পুরুষকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে রোববার দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকার হোটেল মার্টিন থেকে ১ নারী ও ৫ পুরুষকে আটক করেন।
সিলেটের বর্ডার গার্ড স্কুল ও কলেজ, পাইলট স্কুল ও এমসি কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রোববার রাত ৯টার দিকে হোটেলটিতে তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ।
তার আগে শনিবার সন্ধ্যায় মহানগরের সুরমা মার্কেটে অবস্থিত ‘সুরমা আবাসিক হোটেল’ তল্লাশি চালায় শিক্ষার্থীরা। তবে এসময় কাউকে আটক করা হয়নি।
তল্লাশিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশ নেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানের মত সিলেটও বিভিন্ন জায়গায় অরাজকতা এবং লুটপাট হচ্ছে। হোটেলগুলোতে যারা তল্লাশি চালাচ্ছে তারা প্রকৃতপক্ষে কারা এবং তাদের আসল উদ্দেশ্য কি তা বলতে পারছেন না হোটেল সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪
সরকার পতনের পর সিলেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালাচ্ছেন শিক্ষার্থী নামধারীরা। তারা বিভিন্ন হোটেলের রিসেপশনে গিয়ে চাবি নিয়ে কক্ষগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
কি কারণে বা কার নির্দেশে তারা তল্লাশি চালাচ্ছে তা স্পষ্ট না হলেও শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে অনেকের ভাষ্য, হোটেলগুলোতে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চলার অভিযোগে তারা তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে হোটেল সংশ্লিষ্ট অনেকের মন্তব্য, প্রকৃতপক্ষে তল্লাশিকারীরা শিক্ষার্থী নাকি অন্য কেউ তা বোঝার উপায় নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের জিজ্ঞেস করার সাহসও পাচ্ছেন না কেউ। এতে করে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন বিভিন্ন শহর থেকে আসা অতিথিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরবাজার এলাকার একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে দুইজন আনসার সদস্যকে নিয়ে ছাত্র পরিচয় দানকারী চারজন তার হোটেলে গিয়ে তল্লাশি করতে চায়। এ সময় ব্যবস্থাপক কারণ জিজ্ঞেস করতে চাইলে তারা জানায় ‘আমরা কক্ষগুলো দেখবো’।
নিরুপায় হয়ে ওই ব্যবস্থাপক তাদের হাতে চাবি তুলে দেন। পরে তারা কয়েকটি কক্ষ দেখে চলে যান। এ সময় তারা একটি কক্ষে বয়স্ক স্বামী-স্ত্রীকে দেখতে পান।
জানা গেছে, সোমবার বিকেলে দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট এলাকার সিতারা আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে ৩ নারী ও একজন পুরুষকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে রোববার দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকার হোটেল মার্টিন থেকে ১ নারী ও ৫ পুরুষকে আটক করেন।
সিলেটের বর্ডার গার্ড স্কুল ও কলেজ, পাইলট স্কুল ও এমসি কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রোববার রাত ৯টার দিকে হোটেলটিতে তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ।
তার আগে শনিবার সন্ধ্যায় মহানগরের সুরমা মার্কেটে অবস্থিত ‘সুরমা আবাসিক হোটেল’ তল্লাশি চালায় শিক্ষার্থীরা। তবে এসময় কাউকে আটক করা হয়নি।
তল্লাশিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশ নেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানের মত সিলেটও বিভিন্ন জায়গায় অরাজকতা এবং লুটপাট হচ্ছে। হোটেলগুলোতে যারা তল্লাশি চালাচ্ছে তারা প্রকৃতপক্ষে কারা এবং তাদের আসল উদ্দেশ্য কি তা বলতে পারছেন না হোটেল সংশ্লিষ্টরা।