প্রায় মাসব্যাপী বন্যায় নোয়াখালী চাটখিল ও সোনাইমুড়ি লাখ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। বানের পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি বরং বাড়ছে। বিরন্দ্র, মহেন্দ্র, কচুয়া-বটতলি খালে প্রভাবশালীদের খালের উপর অবৈধ স্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণে বন্যার পানি আটকে যায়। দৈনিক সংবাদে একাদিক প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর গত কয়েক দিনে এসব খালে কিছু অংশে বাঁধ কেটে দেয়া হলেও এখন অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তাই পানি চলাচলে বিঘœ ঘটছে। পানিবন্দী এসব মানুষ খাবার সংকট, ডাইরিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বন্যায় এই চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলায় প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। বানের পানি কমতে শুরু করায় অনেকেই নিজের ঘর বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। এসব ঘরে ফিরা মানুষ বন্যার পানিতে ঘর বাড়ি মেরমত করতে হিমশিম খাচ্ছে। এদের মধ্যে গরিব ও অসহায়দের অবস্থা সূচনীয়। ঘরবাড়ি মেরামত করতে না পারায় অনেকেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।
সোনাইমুড়ি প্রকল্প কর্মকর্তা মেশকাতুর রহমান জানান বন্যায় সোনাইমুড়ি ২৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল বানের পানি কমতে শুরু করায় মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। এখনও ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। চাটখিল উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তা পলাশ সমদ্দার জানান চাটখিলে ১৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে ছিল। বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে বাকিরা ঘরে ফিরে গিয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত চাটখিল উপজেলার শাহাপুর কাজী বাড়ির মরিয়ম বেগম (৪০) জানান প্রতিবন্ধী এক মেয়েকে নিয়ে অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন। ঘরে ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবেন চিন্তায় দিশে হারা হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। জানা যায় তার বসত ঘরটি সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ঘরটি সংস্কার না করা হলে বসবাস করা সম্ভব হবে না। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরে গিয়ে এখন খাদ্য সংকটে জীবন কাটাচ্ছেন এমন বহু মানুষ।
বন্যার পানিতে বেসে যাওয়া অসহায়দের পুর্নবাসনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারের উদ্যেগ নেয়া প্রয়োজন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রায় মাসব্যাপী বন্যায় নোয়াখালী চাটখিল ও সোনাইমুড়ি লাখ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। বানের পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি বরং বাড়ছে। বিরন্দ্র, মহেন্দ্র, কচুয়া-বটতলি খালে প্রভাবশালীদের খালের উপর অবৈধ স্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণে বন্যার পানি আটকে যায়। দৈনিক সংবাদে একাদিক প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর গত কয়েক দিনে এসব খালে কিছু অংশে বাঁধ কেটে দেয়া হলেও এখন অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তাই পানি চলাচলে বিঘœ ঘটছে। পানিবন্দী এসব মানুষ খাবার সংকট, ডাইরিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বন্যায় এই চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলায় প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। বানের পানি কমতে শুরু করায় অনেকেই নিজের ঘর বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। এসব ঘরে ফিরা মানুষ বন্যার পানিতে ঘর বাড়ি মেরমত করতে হিমশিম খাচ্ছে। এদের মধ্যে গরিব ও অসহায়দের অবস্থা সূচনীয়। ঘরবাড়ি মেরামত করতে না পারায় অনেকেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।
সোনাইমুড়ি প্রকল্প কর্মকর্তা মেশকাতুর রহমান জানান বন্যায় সোনাইমুড়ি ২৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল বানের পানি কমতে শুরু করায় মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। এখনও ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। চাটখিল উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তা পলাশ সমদ্দার জানান চাটখিলে ১৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে ছিল। বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে বাকিরা ঘরে ফিরে গিয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত চাটখিল উপজেলার শাহাপুর কাজী বাড়ির মরিয়ম বেগম (৪০) জানান প্রতিবন্ধী এক মেয়েকে নিয়ে অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন। ঘরে ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবেন চিন্তায় দিশে হারা হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। জানা যায় তার বসত ঘরটি সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ঘরটি সংস্কার না করা হলে বসবাস করা সম্ভব হবে না। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরে গিয়ে এখন খাদ্য সংকটে জীবন কাটাচ্ছেন এমন বহু মানুষ।
বন্যার পানিতে বেসে যাওয়া অসহায়দের পুর্নবাসনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারের উদ্যেগ নেয়া প্রয়োজন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।