alt

সারাদেশ

যৌথ অভিযানে আটকের পর দুইজনের মৃত্যু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যৌথবাহিনীর অভিযানে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ যে পাঁচজনকে সোমবার রাতে আটকের পর দুজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলছেন পরিবারের সদস্য ও অন্য আটককৃতরা।

আটকরা হলেন- সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন সুইট (৫০), তার ভাতিজা গোবিন্দী গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫), চেয়ারম্যানের গৃহকর্মী ও উত্তর সাথালিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫), চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেলের চালক ও ভরতখালী বাঁশহাটি এলাকার রিয়াজুল ইসলাম রকি (২৮) এবং চেয়ারম্যানের প্রতিবেশী শাহাদৎ হোসেন।

গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দি ও বাঁশহাটি এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইটসহ পাঁচজনকে আটক করে। এর পর অসুস্থ হওয়ায় তাদের মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ও আপেল নামের দুইজনের মৃত্যু হয়।

তাদের মধ্যে মৃত সোহরাব হোসেন আপেল গোবিন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকরি করতেন। তিনি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মারা যান। আর শফিকুল ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

আটক ও নিহতদের স্বজনরা বলছেন, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। এরপর তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে দাবি করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালায়। কিন্তু কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।

স্বজনদের অভিযোগ, আটকদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তাতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম ও রিয়াজুল ইসলাম রকিকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকি তিনজনকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ,হাসপাতালে ভর্তির সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো। তবে, সেগুলোই মৃত্যুর কারণ কি না তা নিয়ে সন্দিহান তারা।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন ইউপি চেয়ারম্যান সুইট জানান, সোমবার রাত ১২ টার দিকে তাদের বাড়িতে অভিযানে যায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে অভিযানকারীরা কিছু পায়নি। যদিও গ্রেফতারের পর তোলা ছবিতে কয়েকটি দেশি অস্ত্র দেখা যায়।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সাহাদত হোসেন। তিনি জানান, স্থানীয় বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। নিয়ে আসা হয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে। পেছনে থেকে বাড়ি শুরু করছে। বলে, তোরা চেয়ারম্যানের ক্যাডার... পাঁচ মিনিট যদি রেস্ট দেয়, দশ মিনিট পিটায়।

নিহত সোহরাব হোসেন আপেলের স্ত্রীর দাবি, পরিবারের সবাইকে একটা রুমে আটকে রেখে আপেলকে মারধোর করা হয়। আমার স্বামীর কাছে কোন অস্ত্র ছিল না। সে দাপাচ্ছিল।

আপেলের স্ত্রীর চাচাতো ভাই মো. বিপ্লব বলেন, প্রশাসন যে একটা লোককে মারতে মারতে মাইরে ফেলায় দিবে, এটা আমাদের জানা ছিল না।

সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিয়াদ আহম্মেদ বলেন, যৌথ বাহিনীর হাতে আটক পাঁচজনকে মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু এখানে তাদের সবার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া এবং গাইবান্ধায় স্থানান্তর করা হয়।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও মোহাম্মদ আসিফ বলেন, সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার মধ্যে আপেলের শরীরে মারধরের আঘাতের চিহ্ন ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি মারা যান। লাশের ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, অসুস্থ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে তিনজন ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকে তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলেও আপেল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ও আহতদের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ রাতে বলেন, গাইবান্ধার শফিকুল ইসলাম হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক দুইজন অসুস্থজনিত কারণে মারা যান।

ছবি

রামুতে ডেঙ্গু আক্রান্ত অব্যাহত আক্রান্তের চেয়েও বেশি আতঙ্ক।

ছবি

শীতকালীন সবজির আগাম চাষে ব্যস্ত রামুর কৃষাণ-কৃষাণী

ছবি

বাকেরগঞ্জে দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর, দায়িত্বে অবহেলায় ওসিকে প্রত্যাহার

খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় টিএসসি’র শিক্ষার্থীসহ ১০জনের নামে মামলা, ভয়ে ক্লাশ বন্ধ

ছবি

খাগড়াছড়ির দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনা জোনের শুভেচ্ছা উপহার, প্রস্তুুতি দেখলেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার

ছবি

পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ চক্রের সদস্য আলাউদ্দিন গ্রেফতার

ছবি

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

ছবি

ফরিদপুরে ডিমের মূল্য নিয়ন্ত্রনে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ও জরিমানা

ছবি

আখাউড়া সীমা‌ন্তে বিজিবি অভিযান,‌কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার

ছবি

সোনারগাঁয়ে মুক্তিপণ দাবীতে আটক অপহৃত ছাত্র উদ্ধার গ্রেফতার ৩ অপহরণকারী

চাঁদপুরে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, হাসপাতালে ভর্তি অর্ধশত রোগী

ছবি

নদীর ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরি করছে ভিজুয়াল রিভার অ্যাটলাস

ছবি

আট মাসে বজ্রপাতে মৃত্যু ২৯৭, বেশিরভাগই পুরুষ

ছবি

তিন উপজেলায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম

ছবি

জাহাজে আগুনের পর সমুদ্রে লাফ, এক নাবিকের মৃত্যু

ছবি

লঘুচাপে উত্তাল সমুদ্র, সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় টাঙ্গাইল ও জামালপুরে ৭ জনের মৃত্যু

ছবি

ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোষরদের শাস্তির আওতায় আনা হবে, নাইক্ষ্যংছড়িতে জাবেদ রেজা

ছবি

সমাজের মূল বৈষম্য দূর না হলে গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম হবে না- আনু মুহাম্মদ

ছবি

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তাল সাগর, সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনা না পরিকল্পিত হত্যা: গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

ছবি

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত পোশাক শ্রমিকের লাশ উত্তোলন

ছবি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২২ কিলোমিটার যানজট

ছবি

শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ৭ ইউনিয়নের হাজারো মানুষ

ছবি

টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪

ছবি

বিজিবি মহাপরিচালক: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘সঠিক ছিল’

ছবি

আশুলিয়ায় পরিত্যক্ত কার্টন থেকে মিলল অজ্ঞাত নারীর খণ্ডিত লাশ

নাইক্ষ্যংছড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে এক নারী বিষপানে আত্মহত্যা

ছবি

চকরিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় পরিচয়হীন বৃদ্ধ নিহত

ছবি

গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে বেশির ভাগ পোশাক কারখানা, ৮টি বন্ধ

ছবি

নোয়াখালীতে বজ্রপাতের শব্দে প্রাণ গেল বৃদ্ধার

ছবি

সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার

ছবি

আগুনে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু, সেই ঘরে ছিল ১০ লিটার ডিজেল

ছবি

খাগড়াছড়িতে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

সিলেটে নিহত সাংবাদিক তোরাবের পরিবারের সাথে দেখা করলেন ফয়জুল করীম

শাহপরাণ (রহ.) মাজারে সিজদা ও অ সা মা জি ক কাজ থেকে বিরত থাকতে কর্তৃপক্ষের নোটিশ

tab

সারাদেশ

যৌথ অভিযানে আটকের পর দুইজনের মৃত্যু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যৌথবাহিনীর অভিযানে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ যে পাঁচজনকে সোমবার রাতে আটকের পর দুজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলছেন পরিবারের সদস্য ও অন্য আটককৃতরা।

আটকরা হলেন- সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন সুইট (৫০), তার ভাতিজা গোবিন্দী গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫), চেয়ারম্যানের গৃহকর্মী ও উত্তর সাথালিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫), চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেলের চালক ও ভরতখালী বাঁশহাটি এলাকার রিয়াজুল ইসলাম রকি (২৮) এবং চেয়ারম্যানের প্রতিবেশী শাহাদৎ হোসেন।

গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দি ও বাঁশহাটি এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইটসহ পাঁচজনকে আটক করে। এর পর অসুস্থ হওয়ায় তাদের মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ও আপেল নামের দুইজনের মৃত্যু হয়।

তাদের মধ্যে মৃত সোহরাব হোসেন আপেল গোবিন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকরি করতেন। তিনি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মারা যান। আর শফিকুল ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

আটক ও নিহতদের স্বজনরা বলছেন, যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। এরপর তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে দাবি করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালায়। কিন্তু কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।

স্বজনদের অভিযোগ, আটকদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তাতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম ও রিয়াজুল ইসলাম রকিকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকি তিনজনকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ,হাসপাতালে ভর্তির সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো। তবে, সেগুলোই মৃত্যুর কারণ কি না তা নিয়ে সন্দিহান তারা।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন ইউপি চেয়ারম্যান সুইট জানান, সোমবার রাত ১২ টার দিকে তাদের বাড়িতে অভিযানে যায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে অভিযানকারীরা কিছু পায়নি। যদিও গ্রেফতারের পর তোলা ছবিতে কয়েকটি দেশি অস্ত্র দেখা যায়।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সাহাদত হোসেন। তিনি জানান, স্থানীয় বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। নিয়ে আসা হয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে। পেছনে থেকে বাড়ি শুরু করছে। বলে, তোরা চেয়ারম্যানের ক্যাডার... পাঁচ মিনিট যদি রেস্ট দেয়, দশ মিনিট পিটায়।

নিহত সোহরাব হোসেন আপেলের স্ত্রীর দাবি, পরিবারের সবাইকে একটা রুমে আটকে রেখে আপেলকে মারধোর করা হয়। আমার স্বামীর কাছে কোন অস্ত্র ছিল না। সে দাপাচ্ছিল।

আপেলের স্ত্রীর চাচাতো ভাই মো. বিপ্লব বলেন, প্রশাসন যে একটা লোককে মারতে মারতে মাইরে ফেলায় দিবে, এটা আমাদের জানা ছিল না।

সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিয়াদ আহম্মেদ বলেন, যৌথ বাহিনীর হাতে আটক পাঁচজনকে মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু এখানে তাদের সবার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া এবং গাইবান্ধায় স্থানান্তর করা হয়।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও মোহাম্মদ আসিফ বলেন, সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার মধ্যে আপেলের শরীরে মারধরের আঘাতের চিহ্ন ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি মারা যান। লাশের ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, অসুস্থ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে তিনজন ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকে তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলেও আপেল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ও আহতদের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ রাতে বলেন, গাইবান্ধার শফিকুল ইসলাম হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক দুইজন অসুস্থজনিত কারণে মারা যান।

back to top