কয়লা আমদানিতে অনিশ্চয়তায় মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাপানের ঋণসহায়তায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে। কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন কমবেশী এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
কেন্দ্রটির পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করার জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা আনা হয়। চুক্তি অনুযায়ী জাপানি প্রতিষ্ঠানটি আগস্টের মাঝামাঝি কয়লার সর্বশেষ সরবরাহ দেয়। প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ করা কয়লা থেকে বর্তমানে অবশিষ্ট আছে ২ লাখ ৮০ হাজার টন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দিয়ে উৎপাদন চালু রাখা যাবে আর ১৫ দিনের মতো।
তাদের অভিযোগ, সুমিতমোর সরবরাহ করা কয়লা শেষ হওয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী কয়লা কেনার কথা থাকলেও শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে তা ক্রয় আটকে যায়।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। তবে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে সুবিধা দিতে ১০ মাস দেরি করেন। শেষ পর্যন্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কনসোর্টিয়াম অব বসুন্ধরা, ইকুইন্টিয়া ও অথ্রোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় গত জুলাই মাসে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে কয়লা আমদানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, আইনগত বিষয়গুলো তাদের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি জানেন না।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আছে। দ্বিতীয় ইউনিটটি গত ডিসেম্বর থেকে এখনো পরীক্ষামূলক উৎপাদনে রয়েছে।
কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ১০ আগস্ট বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। প্রথম ইউনিট গত ১৭ আগস্ট এবং দ্বিতীয় ইউনিট গত ১৯ আগস্ট চালু করা হয়।
এরপর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটে থেকে গড়ে ১ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি গড়ে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে দেওয়া হচ্ছে। কয়লার মজুদ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কম করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত না করা গেলে শিগগিরই উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিকানা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) হাতে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে কটি মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়, সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কয়লা আমদানিতে অনিশ্চয়তায় মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাপানের ঋণসহায়তায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে। কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন কমবেশী এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
কেন্দ্রটির পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করার জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা আনা হয়। চুক্তি অনুযায়ী জাপানি প্রতিষ্ঠানটি আগস্টের মাঝামাঝি কয়লার সর্বশেষ সরবরাহ দেয়। প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ করা কয়লা থেকে বর্তমানে অবশিষ্ট আছে ২ লাখ ৮০ হাজার টন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দিয়ে উৎপাদন চালু রাখা যাবে আর ১৫ দিনের মতো।
তাদের অভিযোগ, সুমিতমোর সরবরাহ করা কয়লা শেষ হওয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী কয়লা কেনার কথা থাকলেও শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে তা ক্রয় আটকে যায়।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তিন বছরের কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। তবে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মেঘনা গ্রুপের ইউনিক সিমেন্ট কনসোর্টিয়ামকে সুবিধা দিতে ১০ মাস দেরি করেন। শেষ পর্যন্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কনসোর্টিয়াম অব বসুন্ধরা, ইকুইন্টিয়া ও অথ্রোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়লা আমদানিতে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় গত জুলাই মাসে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে কয়লা আমদানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, আইনগত বিষয়গুলো তাদের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি জানেন না।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে আছে। দ্বিতীয় ইউনিটটি গত ডিসেম্বর থেকে এখনো পরীক্ষামূলক উৎপাদনে রয়েছে।
কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ১০ আগস্ট বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। প্রথম ইউনিট গত ১৭ আগস্ট এবং দ্বিতীয় ইউনিট গত ১৯ আগস্ট চালু করা হয়।
এরপর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটে থেকে গড়ে ১ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি গড়ে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে দেওয়া হচ্ছে। কয়লার মজুদ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কম করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত না করা গেলে শিগগিরই উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মালিকানা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) হাতে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে কটি মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়, সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।