রাজধানীর গুলশানে কলেজছাত্রী মোশারত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কুমিল্লা টাউন হল গেটের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র-জনতা বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। মোসারাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বলেন, ‘আনভীর আমার ছোট বোনটাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে খুন করেছে। আনভীর তাঁর টাকা দিয়ে সব কিনে ফেলেছে। আমরা গরিব, তাই শাস্তির দাবি করা ছাড়া আমাদের আর কী করার আছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাবারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, আর আমরা তাঁদের মেয়ে হয়ে বিচার পাচ্ছি না।’
নুসরাত জাহান দাবি করেন, তাঁর বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিগত সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এখন সময় এসেছে খুনিকে বিচারের মুখোমুখি করার। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন নুসরাত। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবেন বলে সেই সঙ্গে আশা তাঁর।
নুসরাত জাহান বলেন, ‘অনেকে মনে করে আমি আপস করেছি। না, আমি আপস করিনি। আমার বোনের জীবন নিয়ে আপস করব না। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার যত দূর যাওয়া যায়, আমি তত দূর গিয়েছি। কিন্তু পিবিআই ভিত্তিহীন রিপোর্ট দিয়েছে। তদন্তের নামে তামাশা করেছে। নিম্ন আদালত প্রথমে ন্যায়ের পক্ষে থাকলেও পরে আমাদের মামলা খারিজ করে দেন। তবে উচ্চ আদালত নিরাশ করেননি। মামলা এখন উচ্চ আদালতে।’
এত দিন সোবহান আনভীর টাকা উড়িয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে রেখেছিলেন দাবি করে নুসরাত আরও বলেন, ‘বিগত সরকারও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বারবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ার পরও কেন আমার বোন মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামিকে একবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? তাই আমরা এখন প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চাই, খুনিদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য।’
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার, গণমাধ্যমকর্মী ওমর ফারুকী তাপস, স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদ মিয়া, জাকির আহমেদ, মনু মিয়া, রাশিদা বেগম প্রমুখ।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন থেকে তাঁর বোন নুসরাত জাহান অভিযোগ করে আসছেন, মোসারাতকে খুন করা হয়েছে। এর সঙ্গে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর জড়িত। মোসারাত জাহানের বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে। গুলশানে ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর গুলশানে কলেজছাত্রী মোশারত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কুমিল্লা টাউন হল গেটের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র-জনতা বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। মোসারাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বলেন, ‘আনভীর আমার ছোট বোনটাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে খুন করেছে। আনভীর তাঁর টাকা দিয়ে সব কিনে ফেলেছে। আমরা গরিব, তাই শাস্তির দাবি করা ছাড়া আমাদের আর কী করার আছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাবারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, আর আমরা তাঁদের মেয়ে হয়ে বিচার পাচ্ছি না।’
নুসরাত জাহান দাবি করেন, তাঁর বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিগত সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এখন সময় এসেছে খুনিকে বিচারের মুখোমুখি করার। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন নুসরাত। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবেন বলে সেই সঙ্গে আশা তাঁর।
নুসরাত জাহান বলেন, ‘অনেকে মনে করে আমি আপস করেছি। না, আমি আপস করিনি। আমার বোনের জীবন নিয়ে আপস করব না। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার যত দূর যাওয়া যায়, আমি তত দূর গিয়েছি। কিন্তু পিবিআই ভিত্তিহীন রিপোর্ট দিয়েছে। তদন্তের নামে তামাশা করেছে। নিম্ন আদালত প্রথমে ন্যায়ের পক্ষে থাকলেও পরে আমাদের মামলা খারিজ করে দেন। তবে উচ্চ আদালত নিরাশ করেননি। মামলা এখন উচ্চ আদালতে।’
এত দিন সোবহান আনভীর টাকা উড়িয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে রেখেছিলেন দাবি করে নুসরাত আরও বলেন, ‘বিগত সরকারও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বারবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ার পরও কেন আমার বোন মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামিকে একবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? তাই আমরা এখন প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চাই, খুনিদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য।’
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার, গণমাধ্যমকর্মী ওমর ফারুকী তাপস, স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদ মিয়া, জাকির আহমেদ, মনু মিয়া, রাশিদা বেগম প্রমুখ।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন থেকে তাঁর বোন নুসরাত জাহান অভিযোগ করে আসছেন, মোসারাতকে খুন করা হয়েছে। এর সঙ্গে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর জড়িত। মোসারাত জাহানের বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে। গুলশানে ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।