স্থল নিস্নচাপের প্রভাবে ভোর থেকেই রাজধানীজুড়ে ঝরছে বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে একটুআধটু বিরতি নিলেও দিনের অধিকাংশ সময়ই ছিল বর্ষণমুখর। কয়েক দিন ধরে চলা টানা বৃষ্টিতে ‘বিপর্যস্ত’ ঢাকার জনজীবন।
তবে গতকালের বৃষ্টি গত কয়েক দিনকে ছাড়িয়ে গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক ঘুরে দেখা যায়, এদিন যারই রাস্তায় বের হয়েছেন পড়েছেন বৃষ্টিতে সৃষ্ট দুর্ভোগ। এদিন সকাল থেকে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের। অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগও অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। টানা বৃষ্টির কারণে অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও শ্রমজীবীদের পেটের দায়ে বের হতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, দুপুরে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, নিউমার্কেট, নীলক্ষেতসহ আশপাশের পুরো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে।
মিরপুর সড়কে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজটের। বিকেলের আগেই যানচলাচল শুরু হলেও যানজট অব্যাহত ছিল রাত পর্যন্ত।
রাজধানীর আরেক প্রান্ত উত্তরা, রাজলক্ষ্মী ও এয়ারপোর্টেও গাড়ির দীর্ঘ সারি এবং যানচলাচলে ধীরগতি চলে। একই অবস্থা রাজধানীর বাড্ডা, নতুন বাজার, নর্দা এবং কুড়িল এলাকারও। নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত গাড়ির ধীরগতি এবং যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে মানুষজনকে।
স্থল গভীর নি¤œচাপের প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জায়গায় ঝরছে বৃষ্টি। এর মধ্যে কোথাও ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাত হলেও অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণও হয়েছে। এমন অবস্থা আজ সারারাত অব্যাহত থেকে আগামীকাল দুপুর নাগাদ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত বৃষ্টির কথা বলছে আবহাওয়া অফিস
শিগগিরই আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো ‘পরিবর্তনের’ সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল স্থল গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জায়গায় ঝরছে বৃষ্টি। এর মধ্যে কোথাও ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাত হলেও অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণও হয়েছে। এমন অবস্থা সারারাত অব্যাহত থেকে আজ দুপুর নাগাদ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কথা বলছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রাত ১টার মধ্যে দেশের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে
এতে বলা হয়- রাজশাহী, পাবনা, টাংগাইল, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০- ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রাতভর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ধারণা করছি, আগামীকাল দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। তবে এখনও বাংলাদেশের সমুদ্রগুলোর জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আজ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। তবে ওইদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমবে আগামীকাল। ওই দিন বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও বাড়তে পারে ঢাকা-বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি
গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে। তবে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি স্থল গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে, যার প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি কমছে এবং মুহুরি, হালদা ও গোমতী নদীর পানির স্তর অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশ ও উজানে ভারী বর্ষণের প্রবণতা কমে আসায় আগামী ৩ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীর পানির স্তর নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও কমছে এবং যমুনা নদীর পানি অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী পাঁচ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির স্তর ধীর গতিতে নামতে থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে এফএফডব্লিউসি। অন্যদিকে গঙ্গা নদীর পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়ছে পদ্মার পানি। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির স্তর আগামী দুই দিন অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং আরও তিন দিন পানি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বিপৎসীমার নিচেই থাকবে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়েনি তবে আগামী তিন দিন পানি ধীরগতিতে কমতে পারে। সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে এবং মনু ও খোয়াইয়ের পানির স্তর অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
আগামী তিন দিন সিলেট বিভাগের প্রধান নদ-নদীর পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
স্থল নিস্নচাপের প্রভাবে ভোর থেকেই রাজধানীজুড়ে ঝরছে বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে একটুআধটু বিরতি নিলেও দিনের অধিকাংশ সময়ই ছিল বর্ষণমুখর। কয়েক দিন ধরে চলা টানা বৃষ্টিতে ‘বিপর্যস্ত’ ঢাকার জনজীবন।
তবে গতকালের বৃষ্টি গত কয়েক দিনকে ছাড়িয়ে গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক ঘুরে দেখা যায়, এদিন যারই রাস্তায় বের হয়েছেন পড়েছেন বৃষ্টিতে সৃষ্ট দুর্ভোগ। এদিন সকাল থেকে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের। অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগও অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। টানা বৃষ্টির কারণে অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও শ্রমজীবীদের পেটের দায়ে বের হতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, দুপুরে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, নিউমার্কেট, নীলক্ষেতসহ আশপাশের পুরো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে।
মিরপুর সড়কে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজটের। বিকেলের আগেই যানচলাচল শুরু হলেও যানজট অব্যাহত ছিল রাত পর্যন্ত।
রাজধানীর আরেক প্রান্ত উত্তরা, রাজলক্ষ্মী ও এয়ারপোর্টেও গাড়ির দীর্ঘ সারি এবং যানচলাচলে ধীরগতি চলে। একই অবস্থা রাজধানীর বাড্ডা, নতুন বাজার, নর্দা এবং কুড়িল এলাকারও। নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত গাড়ির ধীরগতি এবং যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে মানুষজনকে।
স্থল গভীর নি¤œচাপের প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জায়গায় ঝরছে বৃষ্টি। এর মধ্যে কোথাও ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাত হলেও অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণও হয়েছে। এমন অবস্থা আজ সারারাত অব্যাহত থেকে আগামীকাল দুপুর নাগাদ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত বৃষ্টির কথা বলছে আবহাওয়া অফিস
শিগগিরই আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো ‘পরিবর্তনের’ সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল স্থল গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জায়গায় ঝরছে বৃষ্টি। এর মধ্যে কোথাও ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাত হলেও অনেক জায়গায় ভারী বর্ষণও হয়েছে। এমন অবস্থা সারারাত অব্যাহত থেকে আজ দুপুর নাগাদ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কথা বলছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রাত ১টার মধ্যে দেশের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে
এতে বলা হয়- রাজশাহী, পাবনা, টাংগাইল, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০- ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রাতভর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ধারণা করছি, আগামীকাল দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। তবে এখনও বাংলাদেশের সমুদ্রগুলোর জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আজ রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। তবে ওইদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমবে আগামীকাল। ওই দিন বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও বাড়তে পারে ঢাকা-বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি
গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে। তবে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি স্থল গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে, যার প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি কমছে এবং মুহুরি, হালদা ও গোমতী নদীর পানির স্তর অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশ ও উজানে ভারী বর্ষণের প্রবণতা কমে আসায় আগামী ৩ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীর পানির স্তর নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও কমছে এবং যমুনা নদীর পানি অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী পাঁচ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির স্তর ধীর গতিতে নামতে থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে এফএফডব্লিউসি। অন্যদিকে গঙ্গা নদীর পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়ছে পদ্মার পানি। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির স্তর আগামী দুই দিন অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং আরও তিন দিন পানি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বিপৎসীমার নিচেই থাকবে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়েনি তবে আগামী তিন দিন পানি ধীরগতিতে কমতে পারে। সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে এবং মনু ও খোয়াইয়ের পানির স্তর অপরিবর্তিত ও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
আগামী তিন দিন সিলেট বিভাগের প্রধান নদ-নদীর পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।