আশুলিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে কোনো সাধারণ শ্রমিকের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাবেক স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা করা হয়েছে, শ্রমিকরাও সেটির অংশীদার। শ্রমিকরাও এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছিল। এই নতুন বাংলাদেশে সেই শ্রমিকদের উপর মারণাস্ত্রের ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে, সেই আন্দোলনে সমান অংশগ্রহণ ছিল পোশাকখাতের শ্রমিকদেরও। কিন্তু আমরা দেখলাম, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর ন্যাক্কারজনকভাবে গুলি চালিয়ে একজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক, এই দেশের কোনো নাগরিকের ওপর কোনোভাবেই মরণাস্ত্রের ব্যবহার আমরা সমর্থন করি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই যাদের নির্দেশনায় এবং যাদের অস্ত্র থেকে এই গুলি বের হয়ে আমাদের শ্রমিক ভাইদের শরীর ভেদ করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হোক।
পরে দুপুর আড়াইটায় শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ শেষে শ্রমিক হত্যায় অবিলম্বে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেন। এতে মহাসড়কে পুনরায় যান চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪
আশুলিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে কোনো সাধারণ শ্রমিকের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাবেক স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা করা হয়েছে, শ্রমিকরাও সেটির অংশীদার। শ্রমিকরাও এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছিল। এই নতুন বাংলাদেশে সেই শ্রমিকদের উপর মারণাস্ত্রের ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে, সেই আন্দোলনে সমান অংশগ্রহণ ছিল পোশাকখাতের শ্রমিকদেরও। কিন্তু আমরা দেখলাম, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর ন্যাক্কারজনকভাবে গুলি চালিয়ে একজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক, এই দেশের কোনো নাগরিকের ওপর কোনোভাবেই মরণাস্ত্রের ব্যবহার আমরা সমর্থন করি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই যাদের নির্দেশনায় এবং যাদের অস্ত্র থেকে এই গুলি বের হয়ে আমাদের শ্রমিক ভাইদের শরীর ভেদ করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হোক।
পরে দুপুর আড়াইটায় শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ শেষে শ্রমিক হত্যায় অবিলম্বে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেন। এতে মহাসড়কে পুনরায় যান চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।