নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জাহিদ হাসানের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী জাহিদ এই হামলার পেছনে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সোমবার রাত আটটার দিকে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একদল যুবক তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন জাহিদ। তাকে মারতে মারতে বঙ্গবন্ধু সড়কের দিকে নিয়ে আসলে পরে দৌঁড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঢুকে নিজেকে রক্ষা করেন তিনি।
সরকারি তোলারাম কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগে স্নাতকের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান (২৭) খেলাফত মজলিসের সদর থানা শাখার প্রচার সম্পাদক এবং হেফাজতে ইসলামের মহানগর শাখার সাবেক প্রচার সম্পাদক।
হামলার ঘটনায় সদর মডেল থানায় রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগে তিনি হেফাজতে ইসলামের মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহানগর কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন দায়েমীসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করেছেন।
জাহিদ বলেন, রাত আনুমানিক আটটার দিকে শহীদ মিনারে তার উপর ১০-১২ জনের একদল যুবক তার উপর হামলা করেন। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে সামনের সড়কে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অবস্থান নেন।
‘আওয়ামী লীগের গডফাদার শামীম ওসমানের দালাল ছিলেন মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও ফেরদাউসুরের ভূমিকা ছিল আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। তার এইসব গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমার উপর হামলা করিয়েছেন উনি। এর আগেও আমাকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছিলেন মাওলানা ফেরদাউস।’
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) হেফাজতের ঢাকা মহানগরের প্রোগ্রামে বারিধারা ছিলাম সারাদিন। রাত পৌনে একটা পর্যন্ত সেখানে ছিলাম। আমি এই বিষয়টি পরে শুনেছি। এই ঘটনার সাথে কেন আমাকে জড়ালো আমি জানি না, এইটা সে নিজেই ভালো বলতে পারবেন।’
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দিয়েছেন ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে এই হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জাহিদ হাসানের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী জাহিদ এই হামলার পেছনে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সোমবার রাত আটটার দিকে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একদল যুবক তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন জাহিদ। তাকে মারতে মারতে বঙ্গবন্ধু সড়কের দিকে নিয়ে আসলে পরে দৌঁড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঢুকে নিজেকে রক্ষা করেন তিনি।
সরকারি তোলারাম কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগে স্নাতকের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান (২৭) খেলাফত মজলিসের সদর থানা শাখার প্রচার সম্পাদক এবং হেফাজতে ইসলামের মহানগর শাখার সাবেক প্রচার সম্পাদক।
হামলার ঘটনায় সদর মডেল থানায় রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগে তিনি হেফাজতে ইসলামের মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহানগর কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন দায়েমীসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করেছেন।
জাহিদ বলেন, রাত আনুমানিক আটটার দিকে শহীদ মিনারে তার উপর ১০-১২ জনের একদল যুবক তার উপর হামলা করেন। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে সামনের সড়কে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অবস্থান নেন।
‘আওয়ামী লীগের গডফাদার শামীম ওসমানের দালাল ছিলেন মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও ফেরদাউসুরের ভূমিকা ছিল আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। তার এইসব গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমার উপর হামলা করিয়েছেন উনি। এর আগেও আমাকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছিলেন মাওলানা ফেরদাউস।’
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) হেফাজতের ঢাকা মহানগরের প্রোগ্রামে বারিধারা ছিলাম সারাদিন। রাত পৌনে একটা পর্যন্ত সেখানে ছিলাম। আমি এই বিষয়টি পরে শুনেছি। এই ঘটনার সাথে কেন আমাকে জড়ালো আমি জানি না, এইটা সে নিজেই ভালো বলতে পারবেন।’
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দিয়েছেন ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে এই হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।