শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটের সুড়ঙ্গ দিয়ে নিচে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
নিহত হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার মো. জাহিদুল ইসলাম (৪০)। তিনি ওই হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ১০ বছর বয়সী সন্তানের চিকিৎসার করাচ্ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাহিদুল ইসলাম গত তিনদিন তার শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যান। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে হাসপাতালের ১০তলায় শিশু ওয়ার্ডে যান। গতকাল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ১০ তলা থেকে নিচে নামার জন্য লিফট কল করেন। ওই লিফট বিকল ছিল, লিফটমানও ছিলনা। তিনি লিফট কল করলে কিছু সময় পর দরজা খুলে গেলেও লিফ্ট আসেনি। তিনি ভেতরে পা দেয়ার সাথে সাথে লিফটের সুড়ঙ্গ দিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময়ের পাশে দঁাড়িয়ে থাকা তার শ্যালিকাসহ অন্য কয়েকজন রোগীর স্বজন অল্পের জন্য রক্ষা পান।
হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আইয়ুব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরাও এসেছিলাম। পরে লিফটের গাউন্ড ফ্লোর হতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। লিফটের সমস্যা এটা সবাইকে সর্তক করা উচিত ছিল আগে থেকে। তবে এই লিফটের গত কয়েকদিন ধরে সমস্যা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবং কাউকে সর্তকও করেনি। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও লিফট ম্যান উভয়ই দোষী।
হাসপাতালের জররি বিভাগের চিকিৎসক মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, আমরা শুনতে পাই লিফটে একজন পড়ে গেছে। পরে লোকজন লিফট হতে একজনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। পরে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তাজউদ্দীন হাসপাতালের হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, লিফট থেকে পড়ে একজন মারা গেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা জানতে পেরেছি লিফটি সচল ছিল না, কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তদন্ত করে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ১২ মে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ (৫০) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া ৩ মে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী হাসপাতালের ১২ তলায় লিফটের পাশের একটি ফাঁকা দিয়ে পরে গিয়ে জিল্লুর রহমান (৭০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪
গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটের সুড়ঙ্গ দিয়ে নিচে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
নিহত হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার মো. জাহিদুল ইসলাম (৪০)। তিনি ওই হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ১০ বছর বয়সী সন্তানের চিকিৎসার করাচ্ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাহিদুল ইসলাম গত তিনদিন তার শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যান। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে হাসপাতালের ১০তলায় শিশু ওয়ার্ডে যান। গতকাল রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ১০ তলা থেকে নিচে নামার জন্য লিফট কল করেন। ওই লিফট বিকল ছিল, লিফটমানও ছিলনা। তিনি লিফট কল করলে কিছু সময় পর দরজা খুলে গেলেও লিফ্ট আসেনি। তিনি ভেতরে পা দেয়ার সাথে সাথে লিফটের সুড়ঙ্গ দিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময়ের পাশে দঁাড়িয়ে থাকা তার শ্যালিকাসহ অন্য কয়েকজন রোগীর স্বজন অল্পের জন্য রক্ষা পান।
হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আইয়ুব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরাও এসেছিলাম। পরে লিফটের গাউন্ড ফ্লোর হতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। লিফটের সমস্যা এটা সবাইকে সর্তক করা উচিত ছিল আগে থেকে। তবে এই লিফটের গত কয়েকদিন ধরে সমস্যা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবং কাউকে সর্তকও করেনি। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও লিফট ম্যান উভয়ই দোষী।
হাসপাতালের জররি বিভাগের চিকিৎসক মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, আমরা শুনতে পাই লিফটে একজন পড়ে গেছে। পরে লোকজন লিফট হতে একজনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। পরে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তাজউদ্দীন হাসপাতালের হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, লিফট থেকে পড়ে একজন মারা গেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা জানতে পেরেছি লিফটি সচল ছিল না, কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তদন্ত করে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ১২ মে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ (৫০) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া ৩ মে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী হাসপাতালের ১২ তলায় লিফটের পাশের একটি ফাঁকা দিয়ে পরে গিয়ে জিল্লুর রহমান (৭০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়।