কক্সবাজারের রামুতে শীতকালীন সবজির আগাম চাষ শুরু করেছে উপজেলার চৌকষ কৃষাণ-কৃষাণীরা। শীতকালীন সবজি চাষে চরাঞ্চলে চলছে কৃষকের নানা ব্যস্ততা। বিভিন্ন জাতের শাক সবজি রোপণ ও ক্ষেতের পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা ।
দিনের আবহাওয়া গরম থাকলেও রাতে আর ভোরে কোথাও কোথাও ইশৎ কুয়াশা নামে এবং হিমেল হাওয়ায় শীতের প্রারম্ভিক আগমনী বার্তা অনুভূত হয়।
শীত মৌসুমকে সামনে রেখে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে সদ্য রোপিত শাক সবজির আগাম উৎপাদনে ব্যস্ত রয়েছেন রামু উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৩০ হাজার কৃষক। তাদের লক্ষ্য শীতের শুরুতেই ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, মুলা, টমেটো, বেগুন, বরবটি, শিম, শসা, গাজর, মিষ্টি কুমড়া,লাউ সহ নানান শাক-সবজি বাজারে তুলে অধিক মুনাফা অর্জন করা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ বীচতলা তৈরী করছে, কেউ জমি প্রস্তত করছে, কেউ চারার পরিচর্যা করছে, কেউ ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ রক্ষায় কীটনাশক ছিটানোর কাজ করছে আর কেউ ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কারে লেগে রয়েছেন। জানা যায়,১৫ অক্টোবরের পর থেকে সবজি চাষের মৌসুম ধরা হলেও এখানকার চাষিরা এক মাস আগেই প্রস্তুতি নিয়ে আগাম চাষ শুরু করে দিয়েছে।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কৃষক নুরুল আমিন কালু বলেন, শীতকালীন শাক-সবজির আগাম চাষ করতে পারলে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। শীতকালীন সবজির বাজার ধরতে তারা ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা রোপণ করেছে। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি কপি ক্ষেতে পাইকারী বিক্রি হবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। পুরো মৌসুমে দুই লাখের বেশী কপি বিক্রি হবে।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের একাধিক কৃষক জানান, প্রতি বছর তারা শীতের সবজি ফলাতে মনোযোগী হন। সারা বছর ধান উৎপাদন করে যে আয় হয়, তার চেয়ে বেশি আয় হয় শীত মৌসুমের চাক-সবজিতে।
উপজেলার ফতেখাঁরকুল, রাজারকুল, কাউয়ারখোপ, কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া, ঈদগড় ইউনিয়ন সহ নদী অববাহিকায় অবস্থিত এসব ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামে উৎপাদিত শীতকালীন সবজি কক্সবাজার জেলার চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম,রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ফলে প্রতি বছর এসব গ্রামের কৃষক শীতকালীন সবজির ওপর সারা বছরের আয়ের ভরসা করেন।
রামু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সুশান্ত দেব নাথ শুভ বলেন, পুরো শীত মৌসুমে সবজি রোপনের পরিকল্পনা আছে ২ হাজার হেক্টর, যার উৎপাদন দাঁড়াবে প্রায় ৫১,১২১ মেট্রিক টন।
রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা রহমান বলেন, সব ইউনিয়নে ইতিমধ্যে কৃষকেরা শীত কালীন আগাম সবজি চাষ শুরু হয়ে দিয়েছেন। কৃষকদের আর্থিক লাভের বিষয়টি মাথায় রেখে মাঠপর্যায়ে তাদের উদ্ধুদ্ধ করণের মাধ্যমে উপ-সহকারি কৃষি অফিসারেরা যথাযথ তদারকি ও উন্নয়নে সহযোগীতা করে আসছেন।
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
কক্সবাজারের রামুতে শীতকালীন সবজির আগাম চাষ শুরু করেছে উপজেলার চৌকষ কৃষাণ-কৃষাণীরা। শীতকালীন সবজি চাষে চরাঞ্চলে চলছে কৃষকের নানা ব্যস্ততা। বিভিন্ন জাতের শাক সবজি রোপণ ও ক্ষেতের পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা ।
দিনের আবহাওয়া গরম থাকলেও রাতে আর ভোরে কোথাও কোথাও ইশৎ কুয়াশা নামে এবং হিমেল হাওয়ায় শীতের প্রারম্ভিক আগমনী বার্তা অনুভূত হয়।
শীত মৌসুমকে সামনে রেখে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে সদ্য রোপিত শাক সবজির আগাম উৎপাদনে ব্যস্ত রয়েছেন রামু উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৩০ হাজার কৃষক। তাদের লক্ষ্য শীতের শুরুতেই ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, মুলা, টমেটো, বেগুন, বরবটি, শিম, শসা, গাজর, মিষ্টি কুমড়া,লাউ সহ নানান শাক-সবজি বাজারে তুলে অধিক মুনাফা অর্জন করা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ বীচতলা তৈরী করছে, কেউ জমি প্রস্তত করছে, কেউ চারার পরিচর্যা করছে, কেউ ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ রক্ষায় কীটনাশক ছিটানোর কাজ করছে আর কেউ ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কারে লেগে রয়েছেন। জানা যায়,১৫ অক্টোবরের পর থেকে সবজি চাষের মৌসুম ধরা হলেও এখানকার চাষিরা এক মাস আগেই প্রস্তুতি নিয়ে আগাম চাষ শুরু করে দিয়েছে।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কৃষক নুরুল আমিন কালু বলেন, শীতকালীন শাক-সবজির আগাম চাষ করতে পারলে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। শীতকালীন সবজির বাজার ধরতে তারা ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা রোপণ করেছে। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি কপি ক্ষেতে পাইকারী বিক্রি হবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। পুরো মৌসুমে দুই লাখের বেশী কপি বিক্রি হবে।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের একাধিক কৃষক জানান, প্রতি বছর তারা শীতের সবজি ফলাতে মনোযোগী হন। সারা বছর ধান উৎপাদন করে যে আয় হয়, তার চেয়ে বেশি আয় হয় শীত মৌসুমের চাক-সবজিতে।
উপজেলার ফতেখাঁরকুল, রাজারকুল, কাউয়ারখোপ, কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া, ঈদগড় ইউনিয়ন সহ নদী অববাহিকায় অবস্থিত এসব ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামে উৎপাদিত শীতকালীন সবজি কক্সবাজার জেলার চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম,রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ফলে প্রতি বছর এসব গ্রামের কৃষক শীতকালীন সবজির ওপর সারা বছরের আয়ের ভরসা করেন।
রামু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সুশান্ত দেব নাথ শুভ বলেন, পুরো শীত মৌসুমে সবজি রোপনের পরিকল্পনা আছে ২ হাজার হেক্টর, যার উৎপাদন দাঁড়াবে প্রায় ৫১,১২১ মেট্রিক টন।
রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা রহমান বলেন, সব ইউনিয়নে ইতিমধ্যে কৃষকেরা শীত কালীন আগাম সবজি চাষ শুরু হয়ে দিয়েছেন। কৃষকদের আর্থিক লাভের বিষয়টি মাথায় রেখে মাঠপর্যায়ে তাদের উদ্ধুদ্ধ করণের মাধ্যমে উপ-সহকারি কৃষি অফিসারেরা যথাযথ তদারকি ও উন্নয়নে সহযোগীতা করে আসছেন।