ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্সরা প্রশাসনিক পরিবর্তনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারণ এবং জ্যেষ্ঠ নার্সদের নিয়োগের দাবিতে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলে।
হাসপাতালের সেবা ও রোগীদের দুর্ভোগ
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ডে নার্সরা উপস্থিত হননি। তবে জরুরি বিভাগ, অস্ত্রোপচার কক্ষ এবং শিশু ওয়ার্ডের স্পেশাল নিউনেটাল কেয়ার ইউনিটে (স্ক্যানো) কিছু নার্স সীমিত সেবা প্রদান করছেন। এতে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
নাসিরনগর উপজেলার আতুকোড়া গ্রামের মো. সালাহউদ্দিন তিন দিন ধরে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, “থেকে চিকিৎসক ও নার্সরা নেই। ডাকাডাকি করেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে আছি।”
আন্দোলনের লক্ষ্যে বিক্ষোভ
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের নার্সরা তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা হাসপাতালের নিচতলার স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি ওয়ার্ডের সামনে বসে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক সেলিনা আক্তার জানান, “আমরা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং অন্যান্য প্রশাসনিক পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারণ করে উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও যোগ্য নার্সদের নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।”
নার্সদের কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা রোগীদের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সমাধানের দাবি উঠছে, অন্যথায় পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠতে পারে।
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্সরা প্রশাসনিক পরিবর্তনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারণ এবং জ্যেষ্ঠ নার্সদের নিয়োগের দাবিতে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলে।
হাসপাতালের সেবা ও রোগীদের দুর্ভোগ
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ডে নার্সরা উপস্থিত হননি। তবে জরুরি বিভাগ, অস্ত্রোপচার কক্ষ এবং শিশু ওয়ার্ডের স্পেশাল নিউনেটাল কেয়ার ইউনিটে (স্ক্যানো) কিছু নার্স সীমিত সেবা প্রদান করছেন। এতে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
নাসিরনগর উপজেলার আতুকোড়া গ্রামের মো. সালাহউদ্দিন তিন দিন ধরে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, “থেকে চিকিৎসক ও নার্সরা নেই। ডাকাডাকি করেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে আছি।”
আন্দোলনের লক্ষ্যে বিক্ষোভ
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের নার্সরা তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা হাসপাতালের নিচতলার স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি ওয়ার্ডের সামনে বসে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক সেলিনা আক্তার জানান, “আমরা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং অন্যান্য প্রশাসনিক পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারণ করে উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও যোগ্য নার্সদের নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে।”
নার্সদের কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা রোগীদের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সমাধানের দাবি উঠছে, অন্যথায় পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠতে পারে।