অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল
রংপুরের মিঠাপুকুর থানার এসআই মিন্টু চন্দ্রকে মামলা নেয়া ও তদন্ত করার অপরাধে তাকে প্রচন্ডভাবে শাসিয়েছেন এবং নানান হুমকি দেবার অভিযোগ উঠেছে জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ানের বিরুদ্ধে। টেলিফোনে ওই জামায়াত নেতার হুমকি আর শাসানোর ৫ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি জিডি হয়েছে বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এস আই মিন্টু চন্দ্র এবং থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।
অপরদিকে হুমকি দাতা জামায়াত নেতা বলে দাবি কারী শেখ রেজওয়ান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন মাথা গরম ছিলো বলে কিছু কটু কথা বলেছি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পুর্ব মুরাদপুর নয়াপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম গত ৪ অক্টোবর তার বাসায় হামলা চালিয়ে মালামাল ভাংচুর পিটিয়ে আহত করে দিন দুপুরে তার বাড়ি থেকে গরু জোর লুট করে নিয়ে যাবার ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ১১ তারিখ ৪.১০.২৪ইং। এ ঘটনায় মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেন এস আই মিন্টু চন্দ্রকে ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।
এসআই মিন্টু চন্দ্র জানান মামলার তদন্তকারী কর্ম কর্তা হিসেবে তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হবার পর মামলার এজাহার নামী আসামী পারুল বেগম ওরফে সাদারানীকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেন।
এ ঘটনার পর শেখ রেজওয়ান নিজেকে মিঠাপুকুর উপজেলার লতিফপুরের অধিবাসি ও জামায়াত নেতা পরিচয় দিয়ে মিঠাপুকুর থানার এস আই মিন্টু চন্দ্রকে তার মোবাইল ফোনে ফোন করে তার অবস্থান কোথায় জানতে চাইলে এস আই মিন্টু ছুটিতে আছেন জানালে জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ান তাকে শাসাতে থাকেন এবং কেন মামলা করেছেন তা জানতে চান। তাকে এখনই তার সাথে প্রেসক্লাবে দেখা করতে বলেন না হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন। ৫ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড ধরে ওই জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ানের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে শাসান। তার ক্ষমতা কি তা দেখিয়ে দেবেন সহ বিভিন্ন কথা বার্তা বলেন। এ ঘটনায় এস আই মিন্টু চন্দ্র মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন তার নিরাপত্তা নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় তিনি মিঠাপুকুর থানায় পুরো ঘটনা টেলিফোনের হুমকি ধামকি দেবার বিস্তারিত ঘটনা উল্লেখ করে জিডি করেন।
এদিকে জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ান কর্তৃক মোবাইল ফোনে এস আই মিন্টু চন্দ্রকে দেয়া হুমকি ধামকি আর শাসানোর অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে মিঠাপুকুর উপজেলা সহ পুরো জেলায় তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝেও আতংকের সৃষ্টি হয়।
সেই আলোচিত অডিওটি এ প্রতিনিধির কাছে এসেছে এবং সংরক্ষিত আছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ানের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির রংপুর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দাবি করে বলেন তিনি এস আই মিন্টুকে মোবাইল ফোনে ফোন করার কথা স্বীকার করে বলেন ওই সময় তার মাথা গরম ছিলো ফলে একটু উচ্চ বাচ্চ্য হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন পুরো বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে বলেও জানান।
অপরদিকে এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন শেখ রেজওয়ান নামে জামায়াতের কোন নেতা কর্মী বা সংগঠক মিঠাপুকুরে নেই বিষয়টি পুলিশ কর্তৃক অবহিত হয়েছি। ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবার কথা বলেন তিনি।
অন্যদিকে মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শেখ রেজওয়ান নামে এক ব্যাক্তি জামায়াত নেতার পরিচয় দিয়ে এস আই মিন্টু চন্দ্র নানান ভাবে শাসিয়েছেন। তাকে বিভিন্ন হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে শেখ রেজওয়ান নামে ব্যাক্তিটি থানায় এসে লিখিত ভাবে হুমকি দেবার কথা বলে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি ক্ষমা চাইলেই তো সব শেষ হয়ে যায়না। আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল
রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
রংপুরের মিঠাপুকুর থানার এসআই মিন্টু চন্দ্রকে মামলা নেয়া ও তদন্ত করার অপরাধে তাকে প্রচন্ডভাবে শাসিয়েছেন এবং নানান হুমকি দেবার অভিযোগ উঠেছে জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ানের বিরুদ্ধে। টেলিফোনে ওই জামায়াত নেতার হুমকি আর শাসানোর ৫ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি জিডি হয়েছে বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এস আই মিন্টু চন্দ্র এবং থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।
অপরদিকে হুমকি দাতা জামায়াত নেতা বলে দাবি কারী শেখ রেজওয়ান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন মাথা গরম ছিলো বলে কিছু কটু কথা বলেছি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পুর্ব মুরাদপুর নয়াপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম গত ৪ অক্টোবর তার বাসায় হামলা চালিয়ে মালামাল ভাংচুর পিটিয়ে আহত করে দিন দুপুরে তার বাড়ি থেকে গরু জোর লুট করে নিয়ে যাবার ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ১১ তারিখ ৪.১০.২৪ইং। এ ঘটনায় মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেন এস আই মিন্টু চন্দ্রকে ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।
এসআই মিন্টু চন্দ্র জানান মামলার তদন্তকারী কর্ম কর্তা হিসেবে তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হবার পর মামলার এজাহার নামী আসামী পারুল বেগম ওরফে সাদারানীকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেন।
এ ঘটনার পর শেখ রেজওয়ান নিজেকে মিঠাপুকুর উপজেলার লতিফপুরের অধিবাসি ও জামায়াত নেতা পরিচয় দিয়ে মিঠাপুকুর থানার এস আই মিন্টু চন্দ্রকে তার মোবাইল ফোনে ফোন করে তার অবস্থান কোথায় জানতে চাইলে এস আই মিন্টু ছুটিতে আছেন জানালে জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ান তাকে শাসাতে থাকেন এবং কেন মামলা করেছেন তা জানতে চান। তাকে এখনই তার সাথে প্রেসক্লাবে দেখা করতে বলেন না হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন। ৫ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড ধরে ওই জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ানের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে শাসান। তার ক্ষমতা কি তা দেখিয়ে দেবেন সহ বিভিন্ন কথা বার্তা বলেন। এ ঘটনায় এস আই মিন্টু চন্দ্র মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন তার নিরাপত্তা নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় তিনি মিঠাপুকুর থানায় পুরো ঘটনা টেলিফোনের হুমকি ধামকি দেবার বিস্তারিত ঘটনা উল্লেখ করে জিডি করেন।
এদিকে জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ান কর্তৃক মোবাইল ফোনে এস আই মিন্টু চন্দ্রকে দেয়া হুমকি ধামকি আর শাসানোর অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে মিঠাপুকুর উপজেলা সহ পুরো জেলায় তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝেও আতংকের সৃষ্টি হয়।
সেই আলোচিত অডিওটি এ প্রতিনিধির কাছে এসেছে এবং সংরক্ষিত আছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা শেখ রেজওয়ানের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির রংপুর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দাবি করে বলেন তিনি এস আই মিন্টুকে মোবাইল ফোনে ফোন করার কথা স্বীকার করে বলেন ওই সময় তার মাথা গরম ছিলো ফলে একটু উচ্চ বাচ্চ্য হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন পুরো বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে বলেও জানান।
অপরদিকে এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন শেখ রেজওয়ান নামে জামায়াতের কোন নেতা কর্মী বা সংগঠক মিঠাপুকুরে নেই বিষয়টি পুলিশ কর্তৃক অবহিত হয়েছি। ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবার কথা বলেন তিনি।
অন্যদিকে মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শেখ রেজওয়ান নামে এক ব্যাক্তি জামায়াত নেতার পরিচয় দিয়ে এস আই মিন্টু চন্দ্র নানান ভাবে শাসিয়েছেন। তাকে বিভিন্ন হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে শেখ রেজওয়ান নামে ব্যাক্তিটি থানায় এসে লিখিত ভাবে হুমকি দেবার কথা বলে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি ক্ষমা চাইলেই তো সব শেষ হয়ে যায়না। আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।