বোনের বিয়ের বাজারে করতে যাওয়ার সময় জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় মো:আব্দুল্লাহ নামের এক স্কুল শিক্ষক ও তার ছোট ভাইকে অপহরণ করে মারধর ও সাদা স্ট্যাম্পে জোর পুর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির
যুগ্ম আহবায়ক আ: মান্নানের ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৩ অক্টোবর ) সকাল নয়টায় উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত স্কুল শিক্ষক ও তার ভাই মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত স্কুল শিক্ষক আব্দুল্লাহ মাদারগঞ্জ চর নয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, ২০১৩ সালে বেকার থাকা অবস্থায় গুনারীতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আঃ মান্নান সাহেবের এপিএস ও তার বাইরার ছেলে চরপাকেরদহ দিকপাড়ার সুরুজ মোল্লার ছেলে সুমনকে চাকুরী জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে ধার দেনা করে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করে স্কুল শিক্ষক আব্দুল্লাহ ।
দীর্ঘদিন অপেক্ষা থাকার পর চাকুরী না হওয়ায় সুমনের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সুমন ২০১৩ সালের ১৪ জুন টাকা দিয়ে দিবে বলে জানায়। সুমনের আত্মীয় হওয়ার
সুবাদে ২০১৩ সালের ১৩ জুন আব্দুল্লাহর থেকে গুনারীতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল
মান্নান বিষয়টি সমাধান করার জন্য দায়িত্ব নেন টাকা তিনি দিবে এই শর্ত দিয়ে ১ লাখ টাকা বালিজুড়ী বাজার থেকে এবং তার পর তিন কিস্তিতে ৮০ হাজার টাকা প্রদান করে সাবেক চেয়ারম্যান মান্নান।
এরপর থেকে অবশিষ্ট টাকা দিতে
সময় কাল ক্ষেপণ করতে থাকে সাবেক চেয়ারম্যান মান্নান। দীর্ঘ ১১ বছরের এৎঝামেলা নিযে প্রতিকার চেয়ে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও
প্রতিকার পায়নি আব্দুল্লাহ পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে জামালপুর জেলা বিএনপি বরাবর মিমাংসা চেয়ে আবেদন পত্র জমা দেন তিনি।
এ বিষয়ে আহত স্কুল শিক্ষক আব্দুল্লাহ জানান, বোনের বিয়ের বাজার করতে যাচ্ছিলাম আমি এমন সময় বিএনপি নেতার আব্দুল মান্নানের নির্দেশে তার চাচাত ভাই ও তার আত্মীয়রা আমাকে দেখে অশ্লীল গালাগালি করতে থাকে পরে আমি ও আমার ভাই সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মোটর সাইকেল দিয়ে অপহরণ করে মোতালেবের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে আমাকে মারধুর করে এবং আমার ও আমার ভাইকে
হত্যার হুমকি দিলে সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর গ্রহণ করে ১১ টায় আমাকে ছেড়ে দেয়। মুলত বিষয় ১১ বছর পুর্বে আমি আ: মান্নানের বাইরার ছেলে সুমনকে বেকার থাকা অবস্থায় চাকুরির জন্য ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান
করি। পরে ২০১৩ সালের ১৩ জুন মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আ: মান্নান আমাকে ফোন দিয়ে টাকা তিনি দিবেন এটা বলে দায়িত্ব গ্রহণ
করে পরের দিন বালিজুড়ী বাজার থেকে ১ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপর টাকা না দিয়ে সময় কাল ক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ
দিয়েছিলাম। গত বৃহস্পতিবার জামালপুর জেলা বিএনপি বরাবর মিমাংসা চেয়ে আবেদন পত্র জমা দিয়েছি।
এটা শুনে আজ আমাকে অপহরণ করে মারধুর করে ও জোর
করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এদিকে কথা হলে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আ: মান্নানকে কল দেওয়া হলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জামালপুর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী জানান, একটি আবেদন গত বৃহস্পতিবার পেয়েছি।
মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা:সাব্বির আহমেদ জানান, আল আমিন এবং আব্দুল্লাহ নামের ২ জন ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
মাদারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহেনুর আলম সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
বোনের বিয়ের বাজারে করতে যাওয়ার সময় জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় মো:আব্দুল্লাহ নামের এক স্কুল শিক্ষক ও তার ছোট ভাইকে অপহরণ করে মারধর ও সাদা স্ট্যাম্পে জোর পুর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির
যুগ্ম আহবায়ক আ: মান্নানের ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৩ অক্টোবর ) সকাল নয়টায় উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত স্কুল শিক্ষক ও তার ভাই মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত স্কুল শিক্ষক আব্দুল্লাহ মাদারগঞ্জ চর নয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, ২০১৩ সালে বেকার থাকা অবস্থায় গুনারীতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আঃ মান্নান সাহেবের এপিএস ও তার বাইরার ছেলে চরপাকেরদহ দিকপাড়ার সুরুজ মোল্লার ছেলে সুমনকে চাকুরী জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে ধার দেনা করে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করে স্কুল শিক্ষক আব্দুল্লাহ ।
দীর্ঘদিন অপেক্ষা থাকার পর চাকুরী না হওয়ায় সুমনের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সুমন ২০১৩ সালের ১৪ জুন টাকা দিয়ে দিবে বলে জানায়। সুমনের আত্মীয় হওয়ার
সুবাদে ২০১৩ সালের ১৩ জুন আব্দুল্লাহর থেকে গুনারীতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল
মান্নান বিষয়টি সমাধান করার জন্য দায়িত্ব নেন টাকা তিনি দিবে এই শর্ত দিয়ে ১ লাখ টাকা বালিজুড়ী বাজার থেকে এবং তার পর তিন কিস্তিতে ৮০ হাজার টাকা প্রদান করে সাবেক চেয়ারম্যান মান্নান।
এরপর থেকে অবশিষ্ট টাকা দিতে
সময় কাল ক্ষেপণ করতে থাকে সাবেক চেয়ারম্যান মান্নান। দীর্ঘ ১১ বছরের এৎঝামেলা নিযে প্রতিকার চেয়ে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও
প্রতিকার পায়নি আব্দুল্লাহ পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে জামালপুর জেলা বিএনপি বরাবর মিমাংসা চেয়ে আবেদন পত্র জমা দেন তিনি।
এ বিষয়ে আহত স্কুল শিক্ষক আব্দুল্লাহ জানান, বোনের বিয়ের বাজার করতে যাচ্ছিলাম আমি এমন সময় বিএনপি নেতার আব্দুল মান্নানের নির্দেশে তার চাচাত ভাই ও তার আত্মীয়রা আমাকে দেখে অশ্লীল গালাগালি করতে থাকে পরে আমি ও আমার ভাই সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মোটর সাইকেল দিয়ে অপহরণ করে মোতালেবের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে আমাকে মারধুর করে এবং আমার ও আমার ভাইকে
হত্যার হুমকি দিলে সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর গ্রহণ করে ১১ টায় আমাকে ছেড়ে দেয়। মুলত বিষয় ১১ বছর পুর্বে আমি আ: মান্নানের বাইরার ছেলে সুমনকে বেকার থাকা অবস্থায় চাকুরির জন্য ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান
করি। পরে ২০১৩ সালের ১৩ জুন মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আ: মান্নান আমাকে ফোন দিয়ে টাকা তিনি দিবেন এটা বলে দায়িত্ব গ্রহণ
করে পরের দিন বালিজুড়ী বাজার থেকে ১ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপর টাকা না দিয়ে সময় কাল ক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ
দিয়েছিলাম। গত বৃহস্পতিবার জামালপুর জেলা বিএনপি বরাবর মিমাংসা চেয়ে আবেদন পত্র জমা দিয়েছি।
এটা শুনে আজ আমাকে অপহরণ করে মারধুর করে ও জোর
করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এদিকে কথা হলে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আ: মান্নানকে কল দেওয়া হলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জামালপুর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী জানান, একটি আবেদন গত বৃহস্পতিবার পেয়েছি।
মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা:সাব্বির আহমেদ জানান, আল আমিন এবং আব্দুল্লাহ নামের ২ জন ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
মাদারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহেনুর আলম সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।