শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে ফারুক হাওলাদার পেশায় একজন ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী হলেও এর আড়ালে বিভিন্ন দেশে করে যাচ্ছেন মানব পাচার। এছাড়াও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। এর সুবাদে এলাকায় দলাদলি, হানাহানি ও দঙ্গা বাঁধানোতে সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। তিনি যুবলীগের পদপ্রান্তীর জন্য নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ করতেন স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামীলীগের নেতাদের দ্বারেদ্বারে। সর্বশেষ ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আত্মগোপনে চলে যান। এরপর কানাডা পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে এই যুবলীগ নেতাকে।
শুক্রবার(১১ অক্টোবর) মধ্যরাতে বিমানবন্দরে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে তাকে জাজিরা থানায় প্রেরণ করা হয়। আজ (১৩ অক্টোবর) দুপুরে নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে জাজিরা থানা পুলিশ।
বিষয়টি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আল-আমিন।
জাজিরা থানা সূত্রে জানা যায়, আটককৃত ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক, লুটপাট ও মানবপাচারসহ অন্তত ৩০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় অব্যাহতি পেলেও বেশ কিছু মামলায় তিনি পলাতক আসামী ছিলেন। এছাড়াও ফারুক হাওলাদার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে রিয়াজুল তালুকদার নামে শ্রমিকদল কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামী। সেখানেও তিনি পলাতক আসামী ছিলেন।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে দেশত্যাগ করার জন্য ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে সেখানে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা থাকায় তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর জাজিরা থানায় তার আটকের বিষয়টি অবগত করলে তার বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় একাধিক মামলা থাকায় তাকে জাজিরা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আল-আমিন সংবাদকে বলেন, "কানাডা পালিয়ে যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ফারুক হাওলাদারকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের অবগত করলে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে তাকে হেফাজতে নেই। পরে ফারুক হাওলাদারকে নিয়মিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।"
রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে ফারুক হাওলাদার পেশায় একজন ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী হলেও এর আড়ালে বিভিন্ন দেশে করে যাচ্ছেন মানব পাচার। এছাড়াও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। এর সুবাদে এলাকায় দলাদলি, হানাহানি ও দঙ্গা বাঁধানোতে সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। তিনি যুবলীগের পদপ্রান্তীর জন্য নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ করতেন স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামীলীগের নেতাদের দ্বারেদ্বারে। সর্বশেষ ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আত্মগোপনে চলে যান। এরপর কানাডা পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে এই যুবলীগ নেতাকে।
শুক্রবার(১১ অক্টোবর) মধ্যরাতে বিমানবন্দরে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে তাকে জাজিরা থানায় প্রেরণ করা হয়। আজ (১৩ অক্টোবর) দুপুরে নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে জাজিরা থানা পুলিশ।
বিষয়টি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আল-আমিন।
জাজিরা থানা সূত্রে জানা যায়, আটককৃত ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক, লুটপাট ও মানবপাচারসহ অন্তত ৩০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় অব্যাহতি পেলেও বেশ কিছু মামলায় তিনি পলাতক আসামী ছিলেন। এছাড়াও ফারুক হাওলাদার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে রিয়াজুল তালুকদার নামে শ্রমিকদল কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামী। সেখানেও তিনি পলাতক আসামী ছিলেন।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে দেশত্যাগ করার জন্য ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে সেখানে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা থাকায় তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর জাজিরা থানায় তার আটকের বিষয়টি অবগত করলে তার বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় একাধিক মামলা থাকায় তাকে জাজিরা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আল-আমিন সংবাদকে বলেন, "কানাডা পালিয়ে যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ফারুক হাওলাদারকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের অবগত করলে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে তাকে হেফাজতে নেই। পরে ফারুক হাওলাদারকে নিয়মিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।"