চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি অভয়ারণ্যে ট্রেনের ধাক্কায় একটি মাদি হাতি গুরুতর আহত হয়েছে। হাতিটির বয়স আট থেকে দশ বছর, এবং এর মেরুদণ্ড ও পা ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, রোববার রাতে কয়েকটি হাতির একটি দল সেখানে বিচরণ করছিল। এ সময় কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় একটি হাতি ছিটকে পড়ে এবং গুরুতর আহত হয়। মাথা, মেরুদণ্ড এবং পায়ে আঘাতের কারণে হাতিটি আর দাঁড়াতে পারছে না।
আহত হাতিটির চিকিৎসা করছেন ডুলহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাত মো. জুলকার নাইম। তিনি জানান, হাতিটির পেছনের পা ভেঙে হাড় চামড়া ছিঁড়ে বের হয়ে গেছে এবং মাথার আঘাত থেকে কান দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে।
চুনতি অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে রেললাইন নির্মাণ নিয়ে শুরু থেকেই পরিবেশবিদদের আপত্তি ছিল। উন্নয়নের নামে বন্যপ্রাণীর জীবন এবং পরিবেশের ওপর যে প্রভাব পড়বে, তা আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিবেশবিদরা চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছিলেন, “প্রকৃতি এবং বন্যপ্রাণীর ওপর যে আঘাত করা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। উন্নয়নের নামে এই ধ্বংস প্রতিহত করতে আমাদের সচেতন হতে হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদও রেললাইনের মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংসের উন্মাদনার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “প্রাণ ও প্রকৃতির ক্ষতি করে এ ধরনের উন্নয়ন আত্মঘাতী। চুনতির পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।”
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি অভয়ারণ্যে ট্রেনের ধাক্কায় একটি মাদি হাতি গুরুতর আহত হয়েছে। হাতিটির বয়স আট থেকে দশ বছর, এবং এর মেরুদণ্ড ও পা ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, রোববার রাতে কয়েকটি হাতির একটি দল সেখানে বিচরণ করছিল। এ সময় কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় একটি হাতি ছিটকে পড়ে এবং গুরুতর আহত হয়। মাথা, মেরুদণ্ড এবং পায়ে আঘাতের কারণে হাতিটি আর দাঁড়াতে পারছে না।
আহত হাতিটির চিকিৎসা করছেন ডুলহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাত মো. জুলকার নাইম। তিনি জানান, হাতিটির পেছনের পা ভেঙে হাড় চামড়া ছিঁড়ে বের হয়ে গেছে এবং মাথার আঘাত থেকে কান দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে।
চুনতি অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে রেললাইন নির্মাণ নিয়ে শুরু থেকেই পরিবেশবিদদের আপত্তি ছিল। উন্নয়নের নামে বন্যপ্রাণীর জীবন এবং পরিবেশের ওপর যে প্রভাব পড়বে, তা আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিবেশবিদরা চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছিলেন, “প্রকৃতি এবং বন্যপ্রাণীর ওপর যে আঘাত করা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। উন্নয়নের নামে এই ধ্বংস প্রতিহত করতে আমাদের সচেতন হতে হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদও রেললাইনের মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংসের উন্মাদনার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “প্রাণ ও প্রকৃতির ক্ষতি করে এ ধরনের উন্নয়ন আত্মঘাতী। চুনতির পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।”