বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডির জিগাতলায় হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ সিদ্দিকি নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথারাইজড অফিসার ও শ্রমীক লীগ নেতা আরঙ্গজেব সিদ্দিক নান্নুকে বাদ দিতে আদালতে হলফনামা দাখিল করে আবেদন করেছেন বাদি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন নিহতের সহযোদ্ধা ফাইয়াজ আহমেদ রাতুল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হলফনামায় তিনি আরঙ্গজেব সিদ্দিক নান্নু মামলা থেকে বাদ দেয়ার আবেদন করেন। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, মামলার পরে জানতে পারেন, আরঙ্গজেব নান্নু এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি নিরিহ ব্যক্তি। সঙ্গত কারণে নিরিহ ব্যক্তি যেন হয়রানীর শিকার হন সেই কারণে তিনি তার নাম মামলা থেকে বাদ দিতে আবেদন জানিয়েছেন।
এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুর-আর রশিদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানসহ ২৪ জন আসামির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, জিগাতলা এলাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালনকালে আসামিদের নির্দেশনা, পরিকল্পনা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সমাবেশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ সিদ্দিকি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। আবদুল্লাহ সিদ্দিকির পরিবারকে চাপ প্রয়োগে কোনোরূপ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়।
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডির জিগাতলায় হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ সিদ্দিকি নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথারাইজড অফিসার ও শ্রমীক লীগ নেতা আরঙ্গজেব সিদ্দিক নান্নুকে বাদ দিতে আদালতে হলফনামা দাখিল করে আবেদন করেছেন বাদি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন নিহতের সহযোদ্ধা ফাইয়াজ আহমেদ রাতুল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হলফনামায় তিনি আরঙ্গজেব সিদ্দিক নান্নু মামলা থেকে বাদ দেয়ার আবেদন করেন। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, মামলার পরে জানতে পারেন, আরঙ্গজেব নান্নু এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি নিরিহ ব্যক্তি। সঙ্গত কারণে নিরিহ ব্যক্তি যেন হয়রানীর শিকার হন সেই কারণে তিনি তার নাম মামলা থেকে বাদ দিতে আবেদন জানিয়েছেন।
এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুর-আর রশিদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানসহ ২৪ জন আসামির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, জিগাতলা এলাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালনকালে আসামিদের নির্দেশনা, পরিকল্পনা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সমাবেশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ সিদ্দিকি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। আবদুল্লাহ সিদ্দিকির পরিবারকে চাপ প্রয়োগে কোনোরূপ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়।