কৃষকরা জানেন না তাই কৃষকের অজান্তেই প্রথম দিনে সবজি ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন। ঈশ্বরদীর কৃষকরা বলছেন, কৃষি স্পেশাল ট্রেনের কোনো খবর তারা জানেন না। এ খবর পৌঁছায়নি কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের কাছেও। প্রচার-প্রচারণা না হওয়ার বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেন পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, আমরা মাত্র দুদিন আগে জেনেছি কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চালু হবে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে এ ট্রেন খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। প্রচারণা কম হওয়ায় প্রথমদিন পণ্য কিছুটা কম হলেও আগামীতে পণ্য পরিবহন বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে ঈশ্বরদীতে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা ৩৫ মিনিট বিলম্বে ৩টা ৫০ মিনিটে পৌঁছে। প্রথমদিন কৃষিপণ্য বুকিং না থাকলেও তিন কার্টন ড্রাগন ফল (১৫০ কেজি) ঈশ্বরদীতে ট্রেন থেকে নামানো হয়।জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ বলেন, ‘এ ধরনের কোনে ট্রেন আছে বা সরকার চালু করছে এটিতো ঈশ্বরদীর কৃষকরা কেউ জানেই না। ঈশ্বরদী সবজি উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন এখান থেকে শিম, ঢ্যাঁড়শ, মুলাসহ বিভিন্ন সবজিবোঝাই অর্ধশতাধিক ট্রাক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে যায়। স্বল্প মূল্যে ও কম সময়ে ট্রেনে সবজি পরিবহনের খবর কৃষক ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের জানা থাকলে তারা স্বল্প মূল্যে সবজি পরিবহনের সুযোগ পেয়ে উপকৃত হতেন।
মুলাডুলি আমবাগান কাঁচামাল আড়তের আড়তদার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। বিষয়টি জানা থাকলে স্বল্প খরচে কৃষিপণ্য পরিবহন করা যেতো। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ী সবার সুবিধা হতো।’ কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনে দায়িত্বরত সিনিয়র টিটিই আব্দুল আলিম বিশ্বাস মিঠু বলেন, কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কৃষিপণ্য পরিবহনে ট্রেন চালু করা। মঙ্গলবার থেকে এ ট্রেন চালু হয়েছে। এতে কৃষকরা স্বল্প খরচে ও কম সময়ে তাদের উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় পৌঁছাতে পারবেন।
সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে ৬৪০ কেজি পণ্য নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বলে জানান ট্রেনের গার্ড (পরিচালক) জুলহাস উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রথম দিন প্রচারণা কম থাকায় কৃষিপণ্য তুলনামূলক কম এসেছে। আগামীতে কৃষিপণ্য বাড়বে বলে আশা করছি। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, কৃষিপণ্য পরিবহনে স্পেশাল ট্রেনের খবরটি আমার জানা নেই। এ ট্রেন চালু হলে কৃষকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। তারা স্বল্প খরচে ও দ্রুততম সময়ে তাদের উৎপাদিত কাঁচামাল ঢাকায় নিয়ে যেতে পারবেন। পশ্চিম অঞ্চল রেলের ডিআরএম পাকশী শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি মঙ্গলবার খুলনা-ঢাকা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়-ঢাকা ও শনিবার চাঁপাইনববাগঞ্জ-ঢাকা রুটে কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করবে। এই ট্রেনে প্রতিকেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে ১ টাকা ৮ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৪৭ পয়সা খরচ পড়বে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পশ্চিম) সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, এই ট্রেনে কৃষিপণ্যে গুণগত মান বজায় রাখতে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে। সম্প্রতি চীন থেকে আনা আধুনিক কোচ সংযুক্ত করা হয়েছে। খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
কৃষকরা জানেন না তাই কৃষকের অজান্তেই প্রথম দিনে সবজি ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন। ঈশ্বরদীর কৃষকরা বলছেন, কৃষি স্পেশাল ট্রেনের কোনো খবর তারা জানেন না। এ খবর পৌঁছায়নি কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের কাছেও। প্রচার-প্রচারণা না হওয়ার বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেন পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, আমরা মাত্র দুদিন আগে জেনেছি কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চালু হবে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে এ ট্রেন খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। প্রচারণা কম হওয়ায় প্রথমদিন পণ্য কিছুটা কম হলেও আগামীতে পণ্য পরিবহন বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে ঈশ্বরদীতে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা ৩৫ মিনিট বিলম্বে ৩টা ৫০ মিনিটে পৌঁছে। প্রথমদিন কৃষিপণ্য বুকিং না থাকলেও তিন কার্টন ড্রাগন ফল (১৫০ কেজি) ঈশ্বরদীতে ট্রেন থেকে নামানো হয়।জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ বলেন, ‘এ ধরনের কোনে ট্রেন আছে বা সরকার চালু করছে এটিতো ঈশ্বরদীর কৃষকরা কেউ জানেই না। ঈশ্বরদী সবজি উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন এখান থেকে শিম, ঢ্যাঁড়শ, মুলাসহ বিভিন্ন সবজিবোঝাই অর্ধশতাধিক ট্রাক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে যায়। স্বল্প মূল্যে ও কম সময়ে ট্রেনে সবজি পরিবহনের খবর কৃষক ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের জানা থাকলে তারা স্বল্প মূল্যে সবজি পরিবহনের সুযোগ পেয়ে উপকৃত হতেন।
মুলাডুলি আমবাগান কাঁচামাল আড়তের আড়তদার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। বিষয়টি জানা থাকলে স্বল্প খরচে কৃষিপণ্য পরিবহন করা যেতো। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ী সবার সুবিধা হতো।’ কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেনে দায়িত্বরত সিনিয়র টিটিই আব্দুল আলিম বিশ্বাস মিঠু বলেন, কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কৃষিপণ্য পরিবহনে ট্রেন চালু করা। মঙ্গলবার থেকে এ ট্রেন চালু হয়েছে। এতে কৃষকরা স্বল্প খরচে ও কম সময়ে তাদের উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় পৌঁছাতে পারবেন।
সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে ৬৪০ কেজি পণ্য নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বলে জানান ট্রেনের গার্ড (পরিচালক) জুলহাস উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রথম দিন প্রচারণা কম থাকায় কৃষিপণ্য তুলনামূলক কম এসেছে। আগামীতে কৃষিপণ্য বাড়বে বলে আশা করছি। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, কৃষিপণ্য পরিবহনে স্পেশাল ট্রেনের খবরটি আমার জানা নেই। এ ট্রেন চালু হলে কৃষকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। তারা স্বল্প খরচে ও দ্রুততম সময়ে তাদের উৎপাদিত কাঁচামাল ঢাকায় নিয়ে যেতে পারবেন। পশ্চিম অঞ্চল রেলের ডিআরএম পাকশী শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ জানান, ট্রেনটি মঙ্গলবার খুলনা-ঢাকা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়-ঢাকা ও শনিবার চাঁপাইনববাগঞ্জ-ঢাকা রুটে কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করবে। এই ট্রেনে প্রতিকেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে ১ টাকা ৮ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৪৭ পয়সা খরচ পড়বে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পশ্চিম) সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, এই ট্রেনে কৃষিপণ্যে গুণগত মান বজায় রাখতে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে। সম্প্রতি চীন থেকে আনা আধুনিক কোচ সংযুক্ত করা হয়েছে। খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।