শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তের কাছে আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু এসময় বেড়েছে বন্যহাতির হানা। পরিত্রাণ পেতে কৃষকেরা ধানক্ষেতের চারদিকে জেনারেটরের সংযোগ দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। এতে হাতির দল ধানক্ষেতে হানা দিতে ভয় পায়।
এই ক্ষেত রক্ষা করতে গিয়ে গতকাল রাতে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে প্রাণ গিয়েছে এক বন্যহাতির। এ ঘটনায় বৈদ্যুতিক জেনারেটরসহ এক কৃষককে আটক করেছে বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নালিতাবাড়ীর বাতকুচি মৌচাক রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, খাবারের সন্ধানে প্রায়ই সীমান্তের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্যহাতির দল হানা দেয়। আমন ধানের মৌসুমে হাতিদের আনাগোনা আরও বেড়ে যায়। ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে জমির চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে রেখেছিলেন কয়েকজন কৃষক। রাতে হাতির দল খাবারের খোঁজে ধানক্ষেতে গেলে, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায় একটি হাতি।
রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রায় ৩০/৪০টি বন্যহাতির একটি দল বাতকুচি পাহাড়ের মৌচাক রাবার বাগান এলাকায় খাবারের সন্ধানে এসে আমন ধানের খেতে হানা দেয়।এক পর্যায়ে ক্ষেতের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক লাইনের স্পর্শে এলে একটি হাতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা অন্য হাতিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে তাণ্ডবলীলা চালায় ও মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে।
তিনি আরও জানান, মৃত মাদিহাতিটির উচ্চতা সাড়ে ৮ ফুট এবং লম্বা ১০ ফুট। ময়নাতদন্ত শেষে ওই মৃত বন্যহাতিটিকে সেখানে মাটিচাপা দেয়া হবে। বন্যহাতির হত্যার দায়ে আটক কৃষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বন আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তের কাছে আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু এসময় বেড়েছে বন্যহাতির হানা। পরিত্রাণ পেতে কৃষকেরা ধানক্ষেতের চারদিকে জেনারেটরের সংযোগ দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে রাখেন। এতে হাতির দল ধানক্ষেতে হানা দিতে ভয় পায়।
এই ক্ষেত রক্ষা করতে গিয়ে গতকাল রাতে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে প্রাণ গিয়েছে এক বন্যহাতির। এ ঘটনায় বৈদ্যুতিক জেনারেটরসহ এক কৃষককে আটক করেছে বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নালিতাবাড়ীর বাতকুচি মৌচাক রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, খাবারের সন্ধানে প্রায়ই সীমান্তের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্যহাতির দল হানা দেয়। আমন ধানের মৌসুমে হাতিদের আনাগোনা আরও বেড়ে যায়। ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে জমির চারপাশে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে লাইট জ্বালিয়ে রেখেছিলেন কয়েকজন কৃষক। রাতে হাতির দল খাবারের খোঁজে ধানক্ষেতে গেলে, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায় একটি হাতি।
রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রায় ৩০/৪০টি বন্যহাতির একটি দল বাতকুচি পাহাড়ের মৌচাক রাবার বাগান এলাকায় খাবারের সন্ধানে এসে আমন ধানের খেতে হানা দেয়।এক পর্যায়ে ক্ষেতের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক লাইনের স্পর্শে এলে একটি হাতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা অন্য হাতিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে তাণ্ডবলীলা চালায় ও মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে।
তিনি আরও জানান, মৃত মাদিহাতিটির উচ্চতা সাড়ে ৮ ফুট এবং লম্বা ১০ ফুট। ময়নাতদন্ত শেষে ওই মৃত বন্যহাতিটিকে সেখানে মাটিচাপা দেয়া হবে। বন্যহাতির হত্যার দায়ে আটক কৃষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বন আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।