চট্টগ্রাম নগরীতে নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত আরেক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এ রায় দেন।
এর মধ্যে আসামি নেজাম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। অপর আসামি আবদুল হালিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দিয়েছে আদালত। অপর আসামি আবু সিদ্দিক রুবেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে নেজাম উদ্দিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হালিম পলাতক।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ মে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুরাদনগর এলাকায় চতুর্থ তলার একটি বাসা থেকে রেবেকা সুলতান মনি নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ভবনের দারোয়ান আবু ছিদ্দিক রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২০ মে নেজামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে নেজাম জানায়, মুরাদনগরের ওই বাসায় আসামি আবদুল হালিম পতিতার ব্যবসা করতেন। সেখানে মাঝেমধ্যে নেজাম যেতেন। খুনের শিকার মনি হালিমের কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা পেতেন। সে টাকা দিতে হালিমকে চাপ দিতে থাকেন মনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মনিকে খুন করার জন্য নেজামকে জানান হালিম। ওই বছরের ১১ মে নেজাম মনিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন এবং বাসা তালা মেরে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০২২ সালের ১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয় আদালত। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।
অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার ওমর ফুয়াদ বলেন, আসামি নেজাম উদ্দিন ও আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নেজাম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আবদুল হালিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।
আসামিদের মধ্যে নেজাম উদ্দিন আদালতের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন বলেও জানান ওমর ফুয়াদ।
দণ্ডিত নেজাম উদ্দিন (৩০) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের হালিমপুর গ্রামের মৃত জালাল আহাম্মদের ছেলে। নেজাম নগরীর ডবলমুরিং থানার উত্তর আগ্রাবাদের মুহুরি পাড়ার বাসিন্দা।
যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হালিম (৪৫) ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ চর আইচার মো ইউনুছের ছেলে। খালাস পাওয়া আবু সিদ্দিক রুবেল (২৯) নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার মির্দ্দাপাড়ার মো. আলী আকবরের ছেলে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রাম নগরীতে নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত আরেক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এ রায় দেন।
এর মধ্যে আসামি নেজাম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। অপর আসামি আবদুল হালিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দিয়েছে আদালত। অপর আসামি আবু সিদ্দিক রুবেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে নেজাম উদ্দিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হালিম পলাতক।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ মে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুরাদনগর এলাকায় চতুর্থ তলার একটি বাসা থেকে রেবেকা সুলতান মনি নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ভবনের দারোয়ান আবু ছিদ্দিক রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২০ মে নেজামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে নেজাম জানায়, মুরাদনগরের ওই বাসায় আসামি আবদুল হালিম পতিতার ব্যবসা করতেন। সেখানে মাঝেমধ্যে নেজাম যেতেন। খুনের শিকার মনি হালিমের কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা পেতেন। সে টাকা দিতে হালিমকে চাপ দিতে থাকেন মনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মনিকে খুন করার জন্য নেজামকে জানান হালিম। ওই বছরের ১১ মে নেজাম মনিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন এবং বাসা তালা মেরে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০২২ সালের ১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয় আদালত। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।
অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার ওমর ফুয়াদ বলেন, আসামি নেজাম উদ্দিন ও আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নেজাম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আবদুল হালিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।
আসামিদের মধ্যে নেজাম উদ্দিন আদালতের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন বলেও জানান ওমর ফুয়াদ।
দণ্ডিত নেজাম উদ্দিন (৩০) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের হালিমপুর গ্রামের মৃত জালাল আহাম্মদের ছেলে। নেজাম নগরীর ডবলমুরিং থানার উত্তর আগ্রাবাদের মুহুরি পাড়ার বাসিন্দা।
যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হালিম (৪৫) ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ চর আইচার মো ইউনুছের ছেলে। খালাস পাওয়া আবু সিদ্দিক রুবেল (২৯) নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার মির্দ্দাপাড়ার মো. আলী আকবরের ছেলে।