আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং তাদের সহযোগী সংস্থা এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে ছাঁটাই হওয়ার প্রতিবাদে
উখিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সোমবার (২৫ নভেম্বর) মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। কর্মীরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ বৈষম্যমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত আন্দোলনকারীরা জানান, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করা স্থানীয় কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সেবায় নিয়োজিত থাকলেও তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আট বছর ধরে একই বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অন্যদিকে কাজের চাপ দিন দিন বাড়ছে, অথচ ছুটির সুযোগ কমে আসছে। কর্মীরা সপ্তাহে দুই দিনের ছুটির দাবি জানালেও তাদের মাত্র একদিনের ছুটি দেওয়া হয়।
কর্মীরা আরও জানান, টানা এক মাস ধরে শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি ও ই-মেইলের মাধ্যমে দাবি জানানো সত্ত্বেও সংস্থা দুটি তাদের সমস্যার কোনো সমাধান করেনি। বরং কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়ার কারণে গত রোববার সন্ধ্যায় বিনা নোটিশে ২০০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা জানান, ছাঁটাইয়ের এই ঘটনা শুধু নিয়মবহির্ভূত নয়, এটি স্থানীয় কর্মীদের প্রতি চরম বৈষম্যের উদাহরণ।
তারা বলেন, "আমরা যারা এতদিন ধরে রোহিঙ্গাদের সেবায় কাজ করছি, আমাদের সঙ্গে এই ধরনের অন্যায় আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং কর্মপরিবেশে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে।"
মানববন্ধনে উপস্থিত আন্দোলনকারীরা সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, যেন দ্রুত তাদের পুনর্বহাল করা হয় এবং কর্মপরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তারা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, উখিয়া ও টেকনাফের ১৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছয় শতাধিক স্থানীয় কর্মী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তবে টানা এক সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি পালন করার পর আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মীদের শাস্তিমূলকভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান এবং চার দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং তাদের সহযোগী সংস্থা এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে ছাঁটাই হওয়ার প্রতিবাদে
উখিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সোমবার (২৫ নভেম্বর) মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। কর্মীরা তাদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ বৈষম্যমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত আন্দোলনকারীরা জানান, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করা স্থানীয় কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সেবায় নিয়োজিত থাকলেও তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আট বছর ধরে একই বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অন্যদিকে কাজের চাপ দিন দিন বাড়ছে, অথচ ছুটির সুযোগ কমে আসছে। কর্মীরা সপ্তাহে দুই দিনের ছুটির দাবি জানালেও তাদের মাত্র একদিনের ছুটি দেওয়া হয়।
কর্মীরা আরও জানান, টানা এক মাস ধরে শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি ও ই-মেইলের মাধ্যমে দাবি জানানো সত্ত্বেও সংস্থা দুটি তাদের সমস্যার কোনো সমাধান করেনি। বরং কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়ার কারণে গত রোববার সন্ধ্যায় বিনা নোটিশে ২০০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা জানান, ছাঁটাইয়ের এই ঘটনা শুধু নিয়মবহির্ভূত নয়, এটি স্থানীয় কর্মীদের প্রতি চরম বৈষম্যের উদাহরণ।
তারা বলেন, "আমরা যারা এতদিন ধরে রোহিঙ্গাদের সেবায় কাজ করছি, আমাদের সঙ্গে এই ধরনের অন্যায় আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং কর্মপরিবেশে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে।"
মানববন্ধনে উপস্থিত আন্দোলনকারীরা সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, যেন দ্রুত তাদের পুনর্বহাল করা হয় এবং কর্মপরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তারা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, উখিয়া ও টেকনাফের ১৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছয় শতাধিক স্থানীয় কর্মী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তবে টানা এক সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি পালন করার পর আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মীদের শাস্তিমূলকভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান এবং চার দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।