বগুড়ায় দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়কের দোতলা ভবনে এ হামলা চালানো হয়।
হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়ে এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশকে জানানো হলেও তারা নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন প্রথম আলোর বগুড়ার নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার পারভেজ।
আনোয়ার পারভেজ বলেন, তারা রোববার থেকেই হামলার আশঙ্কায় ছিলেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করেছিলেন তারা। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে তারা কাঙ্খিত সহযোগিতা পাননি।
তিনি আরও বলেন, তিনি সচরাচর রাত ১১টা পর্যন্ত অফিসে থাকেন। কিন্তু সোমবার হামলা আশঙ্কায় পৌনে ৯টার দিকেই বাসাতে চলে যান। পরে জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির এক নেতা ফোন করে তাকে জানান তাদের অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিল ৷ তারা পাথর নিক্ষেপ করে ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও কাঁচের দেয়াল ভেঙে ফেলেছে। এ ব্যাপারে তারা প্রথম আলোর হেড অফিসে অবগত করেছেন। অফিসের নির্দেশনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন তারা।
হামলাকারীদের শনাক্ত করতে রাতেই সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেখানে দেখা গেছে, সোমবার রাত ১০টা ৩৩ মিনিটে আটটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় ২২-২৪ জন ব্যক্তি প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে এসে থামেন। মোটরসাইকেল থেকে নেমেই তারা কার্যালয় লক্ষ্য করে বড় বড় পাথরের টুকরো ছুঁড়তে থাকেন। তাদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ছিল।
প্রথম আলোর অফিসের নিচতলায় ‘জুসবার’ নামের একটি দোকানের কর্মী ইমন বলেন, হামলাকারীরা বয়সে তরুণ। তাদের মুখে মাস্ক পরা ছিল। দুই মিনিটের মধ্যে প্রথম আলোর অফিসে হামলা-ভাঙচুর করে চলে যায়।
জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডোনিস তালুকদার বলেন, প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার সময় রেজাউল বাকী সড়কে প্রচুর লোকজনের আনাগোনা ছিল। কিন্ত কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা ভাঙচুর চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি প্রথম আলোর কর্মীদের জানানো হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন জানান, আটটি মোটরসাইকেলে এসে হামলাকারীরা এ হামলা চালায়। সঙ্গে করে আনা ব্যাগ ভর্তি পাথরের টুকরা নিক্ষেপ করে প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর করে।
তিনি বলেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করতে জোর চেষ্টা চ্লছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা প্রথম আলোসহ অন্য সংবাদমাধ্যমের অফিসগুলোত নজরদারিতে রেখেছি।
হামলার আশঙ্কা থাকার পরও কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ঘটনাটি ঘটে গেল।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
বগুড়ায় দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়কের দোতলা ভবনে এ হামলা চালানো হয়।
হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়ে এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশকে জানানো হলেও তারা নিরাপত্তার জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন প্রথম আলোর বগুড়ার নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার পারভেজ।
আনোয়ার পারভেজ বলেন, তারা রোববার থেকেই হামলার আশঙ্কায় ছিলেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করেছিলেন তারা। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে তারা কাঙ্খিত সহযোগিতা পাননি।
তিনি আরও বলেন, তিনি সচরাচর রাত ১১টা পর্যন্ত অফিসে থাকেন। কিন্তু সোমবার হামলা আশঙ্কায় পৌনে ৯টার দিকেই বাসাতে চলে যান। পরে জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির এক নেতা ফোন করে তাকে জানান তাদের অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিল ৷ তারা পাথর নিক্ষেপ করে ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও কাঁচের দেয়াল ভেঙে ফেলেছে। এ ব্যাপারে তারা প্রথম আলোর হেড অফিসে অবগত করেছেন। অফিসের নির্দেশনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন তারা।
হামলাকারীদের শনাক্ত করতে রাতেই সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেখানে দেখা গেছে, সোমবার রাত ১০টা ৩৩ মিনিটে আটটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় ২২-২৪ জন ব্যক্তি প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে এসে থামেন। মোটরসাইকেল থেকে নেমেই তারা কার্যালয় লক্ষ্য করে বড় বড় পাথরের টুকরো ছুঁড়তে থাকেন। তাদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ছিল।
প্রথম আলোর অফিসের নিচতলায় ‘জুসবার’ নামের একটি দোকানের কর্মী ইমন বলেন, হামলাকারীরা বয়সে তরুণ। তাদের মুখে মাস্ক পরা ছিল। দুই মিনিটের মধ্যে প্রথম আলোর অফিসে হামলা-ভাঙচুর করে চলে যায়।
জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডোনিস তালুকদার বলেন, প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার সময় রেজাউল বাকী সড়কে প্রচুর লোকজনের আনাগোনা ছিল। কিন্ত কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা ভাঙচুর চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি প্রথম আলোর কর্মীদের জানানো হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন জানান, আটটি মোটরসাইকেলে এসে হামলাকারীরা এ হামলা চালায়। সঙ্গে করে আনা ব্যাগ ভর্তি পাথরের টুকরা নিক্ষেপ করে প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর করে।
তিনি বলেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করতে জোর চেষ্টা চ্লছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা প্রথম আলোসহ অন্য সংবাদমাধ্যমের অফিসগুলোত নজরদারিতে রেখেছি।
হামলার আশঙ্কা থাকার পরও কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ঘটনাটি ঘটে গেল।
আরও পড়ুন: