চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হলেও কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ ও পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশের ওপর হামলায় থানার ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন এবং তিন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রামে জামিন আবেদন নাকচ, চিন্ময়ের কারাগারে প্রেরণ
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে চিন্ময় দাশকে সোমবার ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়।
বরিশাল ও ফেনীতে সড়ক অবরোধ
বরিশালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা চিন্ময়ের মুক্তির দাবি জানায়, যা যানজট সৃষ্টি করে। ফেনীতে একাধিক স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও চিন্ময়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে ভিত্তিহীন দাবি করা হয়।
সিলেট ও টাঙ্গাইলে সমাবেশ
সিলেটে সনাতনী ছাত্র সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। টাঙ্গাইলে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে চিন্ময় দাশের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নারায়ণগঞ্জেও বিক্ষোভ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেন।
ফরিদপুরে পুলিশের বাধা
ফরিদপুরে চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সনাতনীরা পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। প্রেসক্লাব থেকে মিছিল বের করার পর পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সারাদেশে এই বিক্ষোভের পেছনে চিন্ময় দাশের গ্রেপ্তার ও তার মুক্তির দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন শুরু হলেও, বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, চিন্ময়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ভিত্তিহীন এবং এটি সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর চাপ প্রয়োগের একটি প্রচেষ্টা।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হলেও কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ ও পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশের ওপর হামলায় থানার ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন এবং তিন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রামে জামিন আবেদন নাকচ, চিন্ময়ের কারাগারে প্রেরণ
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে চিন্ময় দাশকে সোমবার ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়।
বরিশাল ও ফেনীতে সড়ক অবরোধ
বরিশালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা চিন্ময়ের মুক্তির দাবি জানায়, যা যানজট সৃষ্টি করে। ফেনীতে একাধিক স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও চিন্ময়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে ভিত্তিহীন দাবি করা হয়।
সিলেট ও টাঙ্গাইলে সমাবেশ
সিলেটে সনাতনী ছাত্র সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। টাঙ্গাইলে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে চিন্ময় দাশের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নারায়ণগঞ্জেও বিক্ষোভ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেন।
ফরিদপুরে পুলিশের বাধা
ফরিদপুরে চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সনাতনীরা পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। প্রেসক্লাব থেকে মিছিল বের করার পর পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সারাদেশে এই বিক্ষোভের পেছনে চিন্ময় দাশের গ্রেপ্তার ও তার মুক্তির দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন শুরু হলেও, বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, চিন্ময়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ভিত্তিহীন এবং এটি সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর চাপ প্রয়োগের একটি প্রচেষ্টা।