চট্টগ্রামে আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের পর নগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। এ ঘটনার পর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযানে নেমেছে এবং নিরাপত্তা তল্লাশি জোরদার করেছে।
মঙ্গলবার রাতে পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত আদালত এলাকা থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। আদালত চত্বরের অদূরে যেখানে সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন, সেই এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি থমথমে ছিল, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
ঘটনার পর সন্ধ্যায় আইনজীবীর হত্যার প্রতিবাদে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কিছু এলাকায় ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ করে, তবে নতুন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশসহ যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে।
হত্যাকাণ্ডের পরিস্থিতি ও তদন্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা তারেক আজিজ জানান, আইনজীবী হত্যায় জড়িতদের ধরতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। কোতোয়ালী থানাসহ নগরীর কয়েকটি এলাকায় ইতিমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে এবং আরও কিছু এলাকায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে মধ্যরাত পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষ ও বিক্ষোভের পরবর্তী পরিস্থিতি সন্ধ্যার পর আদালত এলাকা থেকে কিছু দূরে বান্ডেল সেবক কলোনিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনে তিনটি বসত ঘর, তিনটি দোকান এবং একটি ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়, যার ফলে আনুমানিক তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামে আদালতে আনা হলে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় আদালত পাহাড়ের বিপরীতে সড়কের ওপর আইনজীবী সাইফুল ইসলামের ওপর হামলা হয়। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিক্রিয়া আইনজীবী হত্যার ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তারা অভিযোগ করে যে, ইসকনের সমর্থকরা সাইফুল ইসলামকে আদালত এলাকায় নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হেফাজতের নেতারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়।
বুধবারের কর্মসূচি আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি বুধবার কাজ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সংঘর্ষের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন, যাতে পরিস্থিতি শান্ত থাকে।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামে আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের পর নগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। এ ঘটনার পর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযানে নেমেছে এবং নিরাপত্তা তল্লাশি জোরদার করেছে।
মঙ্গলবার রাতে পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত আদালত এলাকা থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। আদালত চত্বরের অদূরে যেখানে সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন, সেই এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি থমথমে ছিল, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
ঘটনার পর সন্ধ্যায় আইনজীবীর হত্যার প্রতিবাদে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কিছু এলাকায় ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ করে, তবে নতুন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশসহ যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে।
হত্যাকাণ্ডের পরিস্থিতি ও তদন্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা তারেক আজিজ জানান, আইনজীবী হত্যায় জড়িতদের ধরতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। কোতোয়ালী থানাসহ নগরীর কয়েকটি এলাকায় ইতিমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে এবং আরও কিছু এলাকায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে মধ্যরাত পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষ ও বিক্ষোভের পরবর্তী পরিস্থিতি সন্ধ্যার পর আদালত এলাকা থেকে কিছু দূরে বান্ডেল সেবক কলোনিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনে তিনটি বসত ঘর, তিনটি দোকান এবং একটি ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়, যার ফলে আনুমানিক তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামে আদালতে আনা হলে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় আদালত পাহাড়ের বিপরীতে সড়কের ওপর আইনজীবী সাইফুল ইসলামের ওপর হামলা হয়। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিক্রিয়া আইনজীবী হত্যার ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তারা অভিযোগ করে যে, ইসকনের সমর্থকরা সাইফুল ইসলামকে আদালত এলাকায় নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হেফাজতের নেতারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়।
বুধবারের কর্মসূচি আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি বুধবার কাজ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সংঘর্ষের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন, যাতে পরিস্থিতি শান্ত থাকে।