অযোগ্যদের পদায়ন নিয়ে ক্ষোভ, যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহর পদত্যাগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কমিটি প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুম বিল্লাহ বলেন, “কমিটির আহ্বায়কসহ অনেকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ রয়েছে। অযোগ্য ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। এতে আমি মর্মাহত। আমার নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলাম। আমাদের শক্তিশালী একটি পক্ষ থাকলেও কমিটিতে আমাদের পক্ষের কর্মীদের কাঙ্ক্ষিত পদ দেওয়া হয়নি। যারা আন্দোলনের সময় সামনের সারিতে ছিলেন না, তারা আজ নেতৃত্বের আসনে।”
গতকাল মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে যশোর জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়। আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
কমিটিতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক, জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব, আবদুল্লাহ আল মামুন লিখনকে মুখ্য সংগঠক এবং ফাহিম আল-ফাত্তাহকে মুখপাত্র করা হয়েছে। এছাড়া ১১ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ১২ জন যুগ্ম সদস্যসচিব, ৮ জন সংগঠক ও ৭৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নকে ঘিরে যশোরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। এক পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন রাশেদ খান, অপর পক্ষে মাসুম বিল্লাহ। সদস্যসচিব জেসিনা মুর্শিদ প্রথমে মাসুমের সঙ্গে থাকলেও পরে রাশেদের পক্ষে চলে যান।
কমিটিতে মাসুম বিল্লাহর পক্ষের অনেকে কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ সরাসরি পদবঞ্চিত হয়েছেন। এসব কারণে কমিটির আরও অনেকের পদত্যাগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
মাসুম বিল্লাহর পদত্যাগের পর কমিটির অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা আরও প্রকট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংগঠনের আরও অনেক কর্মী কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খানের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে এই অস্থিরতা আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
অযোগ্যদের পদায়ন নিয়ে ক্ষোভ, যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহর পদত্যাগ
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কমিটি প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুম বিল্লাহ বলেন, “কমিটির আহ্বায়কসহ অনেকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ রয়েছে। অযোগ্য ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। এতে আমি মর্মাহত। আমার নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলাম। আমাদের শক্তিশালী একটি পক্ষ থাকলেও কমিটিতে আমাদের পক্ষের কর্মীদের কাঙ্ক্ষিত পদ দেওয়া হয়নি। যারা আন্দোলনের সময় সামনের সারিতে ছিলেন না, তারা আজ নেতৃত্বের আসনে।”
গতকাল মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে যশোর জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়। আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
কমিটিতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক, জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব, আবদুল্লাহ আল মামুন লিখনকে মুখ্য সংগঠক এবং ফাহিম আল-ফাত্তাহকে মুখপাত্র করা হয়েছে। এছাড়া ১১ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ১২ জন যুগ্ম সদস্যসচিব, ৮ জন সংগঠক ও ৭৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নকে ঘিরে যশোরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। এক পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন রাশেদ খান, অপর পক্ষে মাসুম বিল্লাহ। সদস্যসচিব জেসিনা মুর্শিদ প্রথমে মাসুমের সঙ্গে থাকলেও পরে রাশেদের পক্ষে চলে যান।
কমিটিতে মাসুম বিল্লাহর পক্ষের অনেকে কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ সরাসরি পদবঞ্চিত হয়েছেন। এসব কারণে কমিটির আরও অনেকের পদত্যাগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
মাসুম বিল্লাহর পদত্যাগের পর কমিটির অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা আরও প্রকট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংগঠনের আরও অনেক কর্মী কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খানের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে এই অস্থিরতা আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।