alt

সারাদেশ

খুনিদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত: সারজিস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

৫ অগাস্টের পূর্বে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম, আমরা এখনো সেই খুনিদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য এবং তাদের সকল প্রকার পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে আমরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি বলেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পিটিআই অডিটোরিয়ামে শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৫ শহীদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে স্বজনহারারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম তাদের সান্ত্বনা দেন।

অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, আমরা যতই সান্ত্বনা দিই, আর্থিক সহযোগিতা দিই, একজন সন্তানের অভাব, একজন জীবনসঙ্গীর অভাব, একজন ভাইয়ের অভাব- কোনোদিনও পূরণ করতে পারব না। এই যে এত বড় হত্যাকাণ্ড- তার পরও এই বাংলাদেশে ওই খুনিদের নাম আবার উচ্চারিত হয়। তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে আবার কথা বলা হয়। এরা একেকজন প্যাথলজিক্যাল কিলার। বিগত ১৬ বছরে তারা বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে খুন করেছে।

তিনি বলেন, নতুন করে এই বাংলাদেশে ওই পোশাক পরে কিছু পুলিশ সদস্য আবার একটি দলের হয়ে কাজ করছে। দয়া করে ওই পোশাকটা খুলে রেখে চলে যান। আমরা যেহেতু জীবন দিতে শিখে গিয়েছি। আপনাদের স্পষ্ট করে বলি, এই দেশে কোনো দালাল ও তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না। শহীদ ভাইদের নিয়ে এখনো মামলা ব্যবসা হচ্ছে। আমরা আর এগুলো দেখতে চাই না।

স্বজন হারানোদের উদ্দেশে সারজিস বলেন, আপনাদের শক্ত হতে হবে। এই খুনগুলোর বিচার বাংলাদেশে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কথা বলে যাব। যে কেউ যদি আপনাদের নিয়ে ছেলেখেলা করার চেষ্টা করে- কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা বাংলাদেশে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আপনাদের যেকোনো সহযোগিতার জন্য পুরো বাংলাদেশ আপনাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত হয়ত সেভাবে পাশে দাঁড়াতে পারিনি। যেকোনো প্রয়োজনে শুধু আমাদের জানাবেন। জীবনের মায়া আমরা অনেক আগে ভুলে গিয়েছি।

সারজিস বলেন, পুলিশের গুলির সামনে জুলাই-আগস্টে আমাদের অনেকে বুক পেতেছিল। আপনাদের যা কিছু প্রয়োজন, সবকিছু দিয়ে আপনাদের পাশে থাকব।কেউ যদি খুনি হাসিনার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, আমরা একসাথে নেমে আবার তাদের প্রতিহত করব।

তিনি বলেন, দেড় থেকে দুই বছর বয়স হবে, সেই শিশু আমাকে বলছে- ‘আমার ভাই কোথায়?’ একজন বাবা একটা ছবি দেখালেন, তার সন্তানের পেটে গুলি করা হয়েছে। আমরা হাজার চেষ্টা করি ইমোশন চেপে রাখার, পারি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ, যারা এগুলোর সাথে সম্পৃক্ত ছিল, প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিচার নিশ্চিত করুন। দিন শেষে পদ-পদবি কিছু থাকবে না। নিজের প্রতি সৎ থাকার চেয়ে শান্তির কিছু হতে পারে না।

ছবি

দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, পরিস্থিতি বুধবার পর্যন্ত থাকতে পারে

সিলেটে রিসোর্টে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ ৩০০ জন আসামী

সিলেটে সরকারি জায়গা দখল নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১০

ছবি

সাবেক জেলা প্রশাসক, জেলা জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

গোয়েন্দা পরিচয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে চট্টগ্রামে আটক ১২

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি

ছবি

বিদেশি পর্যটক টানতে টেকনাফে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে

ছবি

পাহাড় থেকে শিশুসহ অপহৃত ১৫ জন উদ্ধার, আটক ২

ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে গুলি করে হত্যা

শেরপুরে জয় বাংলা লেখায় ছাত্রলীগ কর্মী আটক

ছবি

লক্ষ্মীপুরে নারকেলের ছোবড়ার পণ্যসামগ্রী যাচ্ছে বিদেশে

কেশবপুরে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু

দৌলতদিয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

সরিষাবাড়ীতে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

সমন্বয়কের বাড়ির দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়ে হুমকি

ছবি

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল শাহজাদপুর

হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর

ছবি

গাজীপুরে ট্রেনের ধাক্কায় দুই ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে পা হারালেন এক ব্যক্তি

ছবি

টঙ্গীতে কারখানার খাবার খেয়ে দেড় শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

টেকনাফে আগাম কাঁচা আম, লাভবান হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি

ছবি

ফরিদপুর সদরের গুচ্ছগ্রামে ডাকাতদের হানা, গণপিটুনিতে একজন নিহত

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে গিয়ে কলেজছাত্র নিহত

ছবি

হালদার চরের ভাণ্ডারী মুলার খ্যাতি দেশজুড়ে প্রতিটি মুলার ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি

ছবি

ভালো নেই ভাড়ার দহ বিলের অতিথি পাখিরা

ফটিকছড়িতে বনের ৫২ শতক জায়গা উদ্ধার

ছবি

আমতলী আদালতে বিচারক নেই ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ

ভোলায় নৌকা ডুবে জেলে নিখোঁজ

ছবি

বান্দরবানে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা

সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

নাটোরে মাছের ওষুধ ও খাবারের কারখানায় অভিযান

মেঘনায় ২ বাল্কহেডসহ ৮ জন আটক

কবর থেকে ট্রাক চালকের মরদেহ উত্তোলন

ঘোড়াঘাটে অগ্নিকাণ্ডে ২ বসতঘর ভস্মীভূত

দশমিনায় চোখ হারানো সাইদুল পেলেন সহায়ত

ছবি

জলাবদ্ধতায় ৩ বছর ধরে অনাবাদি আড়াই শতাধিক বিঘা জমি

tab

সারাদেশ

খুনিদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত: সারজিস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

৫ অগাস্টের পূর্বে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম, আমরা এখনো সেই খুনিদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য এবং তাদের সকল প্রকার পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে আমরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি বলেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পিটিআই অডিটোরিয়ামে শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৫ শহীদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে স্বজনহারারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম তাদের সান্ত্বনা দেন।

অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, আমরা যতই সান্ত্বনা দিই, আর্থিক সহযোগিতা দিই, একজন সন্তানের অভাব, একজন জীবনসঙ্গীর অভাব, একজন ভাইয়ের অভাব- কোনোদিনও পূরণ করতে পারব না। এই যে এত বড় হত্যাকাণ্ড- তার পরও এই বাংলাদেশে ওই খুনিদের নাম আবার উচ্চারিত হয়। তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে আবার কথা বলা হয়। এরা একেকজন প্যাথলজিক্যাল কিলার। বিগত ১৬ বছরে তারা বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে খুন করেছে।

তিনি বলেন, নতুন করে এই বাংলাদেশে ওই পোশাক পরে কিছু পুলিশ সদস্য আবার একটি দলের হয়ে কাজ করছে। দয়া করে ওই পোশাকটা খুলে রেখে চলে যান। আমরা যেহেতু জীবন দিতে শিখে গিয়েছি। আপনাদের স্পষ্ট করে বলি, এই দেশে কোনো দালাল ও তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না। শহীদ ভাইদের নিয়ে এখনো মামলা ব্যবসা হচ্ছে। আমরা আর এগুলো দেখতে চাই না।

স্বজন হারানোদের উদ্দেশে সারজিস বলেন, আপনাদের শক্ত হতে হবে। এই খুনগুলোর বিচার বাংলাদেশে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কথা বলে যাব। যে কেউ যদি আপনাদের নিয়ে ছেলেখেলা করার চেষ্টা করে- কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা বাংলাদেশে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আপনাদের যেকোনো সহযোগিতার জন্য পুরো বাংলাদেশ আপনাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত হয়ত সেভাবে পাশে দাঁড়াতে পারিনি। যেকোনো প্রয়োজনে শুধু আমাদের জানাবেন। জীবনের মায়া আমরা অনেক আগে ভুলে গিয়েছি।

সারজিস বলেন, পুলিশের গুলির সামনে জুলাই-আগস্টে আমাদের অনেকে বুক পেতেছিল। আপনাদের যা কিছু প্রয়োজন, সবকিছু দিয়ে আপনাদের পাশে থাকব।কেউ যদি খুনি হাসিনার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, আমরা একসাথে নেমে আবার তাদের প্রতিহত করব।

তিনি বলেন, দেড় থেকে দুই বছর বয়স হবে, সেই শিশু আমাকে বলছে- ‘আমার ভাই কোথায়?’ একজন বাবা একটা ছবি দেখালেন, তার সন্তানের পেটে গুলি করা হয়েছে। আমরা হাজার চেষ্টা করি ইমোশন চেপে রাখার, পারি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ, যারা এগুলোর সাথে সম্পৃক্ত ছিল, প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিচার নিশ্চিত করুন। দিন শেষে পদ-পদবি কিছু থাকবে না। নিজের প্রতি সৎ থাকার চেয়ে শান্তির কিছু হতে পারে না।

back to top