বুধবার বিশ্ব ইজতেমা মাঠে স্বহিংতায় চার জন নয় তিন জন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে থমথমে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের সামনে কামার পাড়া সড়ক বন্ধ করে পুরো মাঠের নিয়ন্ত্রণে থাকা সেনাবাহিনী আজ বেলা ১২ টায় সড়ক থেকে তাদের ব্যারিকেড তুলে নিয়েছে। টঙ্গীতে নিহতের ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ থেকে মামলা হয়নি। সার্বিক বিষয়ে আজ দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছে সাদপন্থিরা। একই সময় প্রেস ব্রিফিং করতে মিডিয়া ডেকেছে জুবায়ের পন্থিরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ইজতেমা মাঠের এই চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, গতকাল বুধবার টঙ্গীতে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে স্বহিংসতায় তিন জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও বিবদমান দুই পক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিহত আমিনুল হক উরফে বাচ্চুর নাম কোথাও আমিনুল হক আবার কোথাও বাচ্চু বলে বলা হয়েছে। একটি নামকে খন্ডিত করে দুটি নাম ভুলে বলায় নিহতের সংখ্যা তিনের ক্ষেত্রে চার বলা হয়েছে।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত শুরায়ী নেজামের (জুবায়ের পন্থী) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান সংবাদকে বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিহত আমিনুল হক উরফে বাচ্চুর নাম ভুলে দুই বার উচ্চারণ করায় একজনকে দুই জন বলা হয়েছে। আসলে আমিনুল হক ও বাচ্চু একই ব্যক্তি, দুই ব্যক্তি নয়। ফলে নিহতের সংখ্যা চার নয় তিন।
ঘটনাস্থল এলাকা টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ইজতেমাায় সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন।
সাদপন্থীদের গ্রুপে তিনজন নিহতের কথাও বলা হয়েছে।
তবে নিহতরা কোন পন্থী তা দুই পক্ষ দাবী করলেও সরকারী ভাবে স্পষ্ট কোন মন্তব্য করা হয়নি। এসব ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। মামলা হওয়ার পর বাদীর সাথে কথা বলে নিহতরা কোন পন্থি ছিলেন তা জানা যাবে।
নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত উসমান মিয়ার ছেলে আমিনুল হক উরফে বাচ্চু মিয়া(৭০)। ঢাকার দক্ষিন খানের বেড়াইদ এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০), আরেকজন হলেন বগুড়া জেলার তাজুল ইসলাম (৭০)।
এদিকে গতকাল রাতে রেখে যাওয়া মালামাল নিতে জুবায়ের পন্থি বেশ কিছু লোক ইজতেমা মাঠে এসেছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে শুরায়ে নেজামের( জুবায়ের পন্থি) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান সংবাদকে বলেন, আমাদের কেউ মাঠে নেই। তবে মাঠের টিনসেড মসজিদ আমরা ও তুরাগের পশ্চিম পাড়ে বেলাল মসজিদ সাদপন্থিরা সারা বছর ব্যবহার করতে পারবে বলে সরকারি সিদ্ধান্ত আছে। তাই আমরা মাঠে নেই মসজিদে আছি।
এবিষয়ে মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার এনএম নাসির উদ্দিন বলেন সংবাদকে বলেন, মাঠ সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। মালামাল নেয়ার জন্য জুবায়ের পন্থিদের কেউ আসতে পারেন। যেহেতু তারা বেশ কিছু বেশ কিছুদিন এখানে অবস্থান করেছিলেন তাদের মালামাল তারা নিয়ে যেতে পারবেন এমনটা সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বেলা ১২ টায় সরেজমিন দেখা যায়, ইজতেমা মাঠের প্রধান ফটকের সামনে টঙ্গী কামার পাড়া বন্ধ সড়ক খোলে দিয়েছে সেনাবাহিনী। এর আগে গতকাল দুপুর থেকে জলকামান সহ দাঙা প্রতিরোধের সরকারি সরঞ্জাম সড়কে দৃশ্যমান ছিল। তবে মাঠের ভেতরে ও বাইরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছে।
এদিকে আজ দুপুরে ঢাকার গুলশানে জুবায়ের পন্থিরা কিছু মিডিয়াকে প্রকৃত তথ্য জানাতে ডেকেছেন বলে তাদের গ্রুপে বলা হয়েছে।
অপরদিকে সাদপন্থীদের সাংবাদিক সম্মেলন আজ বেলা আড়াইটায়। সাদপন্থীরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, টঙ্গীর ঘটনার আসল উদ্দেশ্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্ত করার তথ্য প্রদান করছেন এবং প্রকৃত অপরাধীদেরকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন এই বিষয়ে সঠিক তথ্য ও টঙ্গী ময়দান আবারো সরকারের পক্ষ থেকে জুবায়ের পন্থিদের বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমরা নিজামুদ্দিনের মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য আজ ১৯শে ডিসেম্বর এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করছি। আজ দুপুর আড়াইটায় ঢাকার মিরপুর-১ এর কিয়াংশী চাইনিজ রেস্টুরেন্টে (১৮ দক্ষিণ বিশীল, দারুস সালাম রোড) এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের (সাদপন্থি) বিশেষ মিডিয়া সমন্বয়ক তৌহিদুর রহমান সোহেল সংবাদকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
বুধবার বিশ্ব ইজতেমা মাঠে স্বহিংতায় চার জন নয় তিন জন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে থমথমে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের সামনে কামার পাড়া সড়ক বন্ধ করে পুরো মাঠের নিয়ন্ত্রণে থাকা সেনাবাহিনী আজ বেলা ১২ টায় সড়ক থেকে তাদের ব্যারিকেড তুলে নিয়েছে। টঙ্গীতে নিহতের ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ থেকে মামলা হয়নি। সার্বিক বিষয়ে আজ দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছে সাদপন্থিরা। একই সময় প্রেস ব্রিফিং করতে মিডিয়া ডেকেছে জুবায়ের পন্থিরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ইজতেমা মাঠের এই চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, গতকাল বুধবার টঙ্গীতে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে স্বহিংসতায় তিন জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও বিবদমান দুই পক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিহত আমিনুল হক উরফে বাচ্চুর নাম কোথাও আমিনুল হক আবার কোথাও বাচ্চু বলে বলা হয়েছে। একটি নামকে খন্ডিত করে দুটি নাম ভুলে বলায় নিহতের সংখ্যা তিনের ক্ষেত্রে চার বলা হয়েছে।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত শুরায়ী নেজামের (জুবায়ের পন্থী) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান সংবাদকে বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিহত আমিনুল হক উরফে বাচ্চুর নাম ভুলে দুই বার উচ্চারণ করায় একজনকে দুই জন বলা হয়েছে। আসলে আমিনুল হক ও বাচ্চু একই ব্যক্তি, দুই ব্যক্তি নয়। ফলে নিহতের সংখ্যা চার নয় তিন।
ঘটনাস্থল এলাকা টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ইজতেমাায় সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন।
সাদপন্থীদের গ্রুপে তিনজন নিহতের কথাও বলা হয়েছে।
তবে নিহতরা কোন পন্থী তা দুই পক্ষ দাবী করলেও সরকারী ভাবে স্পষ্ট কোন মন্তব্য করা হয়নি। এসব ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। মামলা হওয়ার পর বাদীর সাথে কথা বলে নিহতরা কোন পন্থি ছিলেন তা জানা যাবে।
নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত উসমান মিয়ার ছেলে আমিনুল হক উরফে বাচ্চু মিয়া(৭০)। ঢাকার দক্ষিন খানের বেড়াইদ এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০), আরেকজন হলেন বগুড়া জেলার তাজুল ইসলাম (৭০)।
এদিকে গতকাল রাতে রেখে যাওয়া মালামাল নিতে জুবায়ের পন্থি বেশ কিছু লোক ইজতেমা মাঠে এসেছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে শুরায়ে নেজামের( জুবায়ের পন্থি) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান সংবাদকে বলেন, আমাদের কেউ মাঠে নেই। তবে মাঠের টিনসেড মসজিদ আমরা ও তুরাগের পশ্চিম পাড়ে বেলাল মসজিদ সাদপন্থিরা সারা বছর ব্যবহার করতে পারবে বলে সরকারি সিদ্ধান্ত আছে। তাই আমরা মাঠে নেই মসজিদে আছি।
এবিষয়ে মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার এনএম নাসির উদ্দিন বলেন সংবাদকে বলেন, মাঠ সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। মালামাল নেয়ার জন্য জুবায়ের পন্থিদের কেউ আসতে পারেন। যেহেতু তারা বেশ কিছু বেশ কিছুদিন এখানে অবস্থান করেছিলেন তাদের মালামাল তারা নিয়ে যেতে পারবেন এমনটা সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বেলা ১২ টায় সরেজমিন দেখা যায়, ইজতেমা মাঠের প্রধান ফটকের সামনে টঙ্গী কামার পাড়া বন্ধ সড়ক খোলে দিয়েছে সেনাবাহিনী। এর আগে গতকাল দুপুর থেকে জলকামান সহ দাঙা প্রতিরোধের সরকারি সরঞ্জাম সড়কে দৃশ্যমান ছিল। তবে মাঠের ভেতরে ও বাইরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছে।
এদিকে আজ দুপুরে ঢাকার গুলশানে জুবায়ের পন্থিরা কিছু মিডিয়াকে প্রকৃত তথ্য জানাতে ডেকেছেন বলে তাদের গ্রুপে বলা হয়েছে।
অপরদিকে সাদপন্থীদের সাংবাদিক সম্মেলন আজ বেলা আড়াইটায়। সাদপন্থীরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, টঙ্গীর ঘটনার আসল উদ্দেশ্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্ত করার তথ্য প্রদান করছেন এবং প্রকৃত অপরাধীদেরকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন এই বিষয়ে সঠিক তথ্য ও টঙ্গী ময়দান আবারো সরকারের পক্ষ থেকে জুবায়ের পন্থিদের বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমরা নিজামুদ্দিনের মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য আজ ১৯শে ডিসেম্বর এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করছি। আজ দুপুর আড়াইটায় ঢাকার মিরপুর-১ এর কিয়াংশী চাইনিজ রেস্টুরেন্টে (১৮ দক্ষিণ বিশীল, দারুস সালাম রোড) এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের (সাদপন্থি) বিশেষ মিডিয়া সমন্বয়ক তৌহিদুর রহমান সোহেল সংবাদকে এই তথ্য জানিয়েছেন।