* অসুস্থ হয়ে ফেনীতে চিকিৎসাধীন, বিচার দাবি পরিবারের
* ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ- প্রধান উপদেষ্টার
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বয়ো:বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে কুমিল্লা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে। তাঁর সাথে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও রোববার রাতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের ঝড় ওঠে। গত রোববার দুপুরে তাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা ইউনিয়নের পাতড্ডা বাজার থেকে তুলে নিয়ে কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে নিয়ে মারধরের একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। এদিকে সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা এবং কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু ও তার পরিবার সাবেক রেলমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি মুজিবুল হক ও তার অনুসারীদের রোষানলের শিকার হয়ে এলাকা ছাড়া হন। সেই থেকে তারা চৌদ্দগ্রামের বাড়ি ছেড়ে ফেনীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তার ছেলে মো. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বিপ্লব জানান, ওই সময় দলের রাজনীতি করা সত্বেও গ্রুপিংয়ের কারণে মুজিবুল হকের অনুসারীরা আমি ও আমার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা দিয়ে হয়রানী করে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর এমপি মুজিবুল হক আমার বাবাকে কাছে টেনে নেন। গত রোববার তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে হেনস্তার শিকার হন। রোববার দুপুরে তাকে পেয়ে স্থানীয় ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি হেনস্থা করে গলায় জুতার মালা দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর তিনি (আবদুল হাই কানু) বর্তমানে অসুস্থ হয়ে ফেনীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশের জন্য জীবনবাজী রেখে তিনি যুদ্ধ করেছেন, এখন জীবনের শেষ বয়সে এসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে (৭৮) গলায় জুতার মালা পরিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করাচ্ছে। ভিডিওতে জনৈক আবুল হাসেমের নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় যুবক মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তা করে এবং তাকে কুমিল্লা ছাড়া হওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এসময় তিনি জুতার মালা সরিয়ে ‘আমি আর এখানে আসব না’ বলেও জানান। এসময় তার ভিডিও ধারণ ও ছবি নেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিরা বলতে থাকেন ‘এক গ্রাম লোকের সামনে মাফ চাইতে পারবেন কিনা? অন্যরা বলতে থাকেন তিনি কুমিল্লা আউট, এলাকা আউট, ছেড়ে দাও।’
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্ত্রী রেহানা বেগম বাড়িতে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে মেরে ফেললেও এতোটা কষ্ট পেতাম না। তাকে যে অপমান করা হয়েছে, এটা আমরা কখনো ভাবতে পারিনি। কতোটা কষ্ট পেয়ে তিনি (কানু) বাড়ি ছেড়েছেন, তা বলার ভাষা আমার নেই।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কখনোই কারো ক্ষতি করিনি, বরং আওয়ামী লীগের এমপির রোষানলে পড়ে ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, হঠাৎ আমাকে একা পেয়ে জোর করে ওরা জুতার মালা গলায় দিয়ে ভিডিও করেন। তারা জামায়াতের রাজনীতি করে, আর আমি আওয়ামী লীগ করি। এখন বিচার কার কাছে চাইব, মামলা দিয়ে আর কি হবে।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বিজয়ের ৫৩ বছরে এমন ঘটনায় আমরা নির্বাক। আমাদের ভাষা একরকম রুদ্ধ। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে আমরা প্রতিবাদ, প্রতিরোধসহ সবকিছুই করব। আমরা চাই মুক্তিযোদ্ধা কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
তবে ঘটনার বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না। এ বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে ফেইসবুক পেইজে বলা হয়, ‘রবিবার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য বলা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মি: হাই হত্যাসহ নয়টি মামলার আসামি। আমরা সকলকে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলি।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তারুজ্জামান জানান, ঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধা কানু মোবাইল ফোনে আমাকে বিষয়টি জানান। রোববার রাতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে আমরা জড়িতদের গ্রেফতারে এলাকায় অভিযান পরিচালনা শুরু করি। জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে এখনো অভিযোগ দেননি। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’ তিনি আরও জানান, এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের একটি নির্দেশনাও আমরা জেনেছি।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি জেনেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। জড়িতরা যে দলের হোক না কেন কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু বা কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
* অসুস্থ হয়ে ফেনীতে চিকিৎসাধীন, বিচার দাবি পরিবারের
* ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ- প্রধান উপদেষ্টার
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বয়ো:বৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে কুমিল্লা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে। তাঁর সাথে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও রোববার রাতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের ঝড় ওঠে। গত রোববার দুপুরে তাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা ইউনিয়নের পাতড্ডা বাজার থেকে তুলে নিয়ে কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে নিয়ে মারধরের একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। এদিকে সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা এবং কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু ও তার পরিবার সাবেক রেলমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি মুজিবুল হক ও তার অনুসারীদের রোষানলের শিকার হয়ে এলাকা ছাড়া হন। সেই থেকে তারা চৌদ্দগ্রামের বাড়ি ছেড়ে ফেনীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তার ছেলে মো. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বিপ্লব জানান, ওই সময় দলের রাজনীতি করা সত্বেও গ্রুপিংয়ের কারণে মুজিবুল হকের অনুসারীরা আমি ও আমার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা দিয়ে হয়রানী করে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর এমপি মুজিবুল হক আমার বাবাকে কাছে টেনে নেন। গত রোববার তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে হেনস্তার শিকার হন। রোববার দুপুরে তাকে পেয়ে স্থানীয় ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি হেনস্থা করে গলায় জুতার মালা দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর তিনি (আবদুল হাই কানু) বর্তমানে অসুস্থ হয়ে ফেনীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশের জন্য জীবনবাজী রেখে তিনি যুদ্ধ করেছেন, এখন জীবনের শেষ বয়সে এসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে (৭৮) গলায় জুতার মালা পরিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করাচ্ছে। ভিডিওতে জনৈক আবুল হাসেমের নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় যুবক মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তা করে এবং তাকে কুমিল্লা ছাড়া হওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এসময় তিনি জুতার মালা সরিয়ে ‘আমি আর এখানে আসব না’ বলেও জানান। এসময় তার ভিডিও ধারণ ও ছবি নেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিরা বলতে থাকেন ‘এক গ্রাম লোকের সামনে মাফ চাইতে পারবেন কিনা? অন্যরা বলতে থাকেন তিনি কুমিল্লা আউট, এলাকা আউট, ছেড়ে দাও।’
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্ত্রী রেহানা বেগম বাড়িতে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে মেরে ফেললেও এতোটা কষ্ট পেতাম না। তাকে যে অপমান করা হয়েছে, এটা আমরা কখনো ভাবতে পারিনি। কতোটা কষ্ট পেয়ে তিনি (কানু) বাড়ি ছেড়েছেন, তা বলার ভাষা আমার নেই।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কখনোই কারো ক্ষতি করিনি, বরং আওয়ামী লীগের এমপির রোষানলে পড়ে ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, হঠাৎ আমাকে একা পেয়ে জোর করে ওরা জুতার মালা গলায় দিয়ে ভিডিও করেন। তারা জামায়াতের রাজনীতি করে, আর আমি আওয়ামী লীগ করি। এখন বিচার কার কাছে চাইব, মামলা দিয়ে আর কি হবে।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বিজয়ের ৫৩ বছরে এমন ঘটনায় আমরা নির্বাক। আমাদের ভাষা একরকম রুদ্ধ। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে আমরা প্রতিবাদ, প্রতিরোধসহ সবকিছুই করব। আমরা চাই মুক্তিযোদ্ধা কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
তবে ঘটনার বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় জামায়াতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না। এ বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে ফেইসবুক পেইজে বলা হয়, ‘রবিবার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য বলা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মি: হাই হত্যাসহ নয়টি মামলার আসামি। আমরা সকলকে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলি।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তারুজ্জামান জানান, ঘটনার পর মুক্তিযোদ্ধা কানু মোবাইল ফোনে আমাকে বিষয়টি জানান। রোববার রাতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে আমরা জড়িতদের গ্রেফতারে এলাকায় অভিযান পরিচালনা শুরু করি। জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে এখনো অভিযোগ দেননি। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’ তিনি আরও জানান, এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের একটি নির্দেশনাও আমরা জেনেছি।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি জেনেছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। জড়িতরা যে দলের হোক না কেন কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু বা কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে।