চট্টগ্রামে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত সফল অভিযানে মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চুরির ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামিরাও রয়েছেন। উদ্ধারকৃত মালামালের বাজারমূল্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা।
ঢাকার এজিএম মো. ফোরকানের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে থ্রি-হুইলারের যন্ত্রাংশ আমদানি করে, যার একটি চালান গত ৮ নভেম্বর এবং আরেকটি ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয়। আনলোডের পর প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মালামাল নিখোঁজ দেখা যায়।
ভুক্তভোগীর দাবি, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানাধীন ফৌজদারহাট এলাকায় গাড়ি থামিয়ে চালক ও হেলপারের সহায়তায় সংঘবদ্ধ চোরচক্র বিশেষ কৌশলে সিলগালা অক্ষত রেখে মালামাল আত্মসাৎ করে।
ভুক্তভোগী এজিএমের দায়েরকৃত মামলাটি প্রথমে সীতাকুণ্ড থানার এসআই গৌর চন্দ্র সাহা তদন্ত করেন। পরে, পিবিআই সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি অধিগ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা।
পিবিআই প্রধান মো. মোস্তফা কামালের তত্ত্বাবধানে এবং পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দীন পিপিএম-সেবা-এর নির্দেশনায় এসআই শাহাদাত হোসেন তদন্তের দায়িত্ব পান। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারি ব্যবহার করে মাত্র ১২ ঘণ্টায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে প্রথমে গ্রেপ্তার হন দুই এজাহারভুক্ত আসামি জাকির হোসেন (৫২) এবং নূর মুহাম্মদ তাসফিন (৩১)। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া কালো রঙের বিভিন্ন সাইজের ১৮৪টি টায়ার। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও দুইজন—মোহাম্মদ নাঈম উদ্দীন নয়ন (২৫) এবং শেখ মো. আবু মুছা পাবেল (৩৪)—কে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, এই চোরচক্র দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মালামাল চুরি করে। চক্রটি সিলগালা অক্ষত রেখে চুরি করার কৌশল রপ্ত করেছে। চুরি করা মালামাল গোপন স্থানে লুকিয়ে রেখে পরে জাল কাগজপত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রি করত।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,জাকির হোসেন: পিতা-আব্দুল লতিফ পাটোয়ারী, কদমতলী, ডবলমুরিং,নূর মুহাম্মদ তাসফিন: পিতা-মৃত আব্দুল ওয়াদুদ, দেওয়ান বাজার, মোহাম্মদ নাঈম উদ্দীন নয়ন: পিতা-মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, চান্দগাঁও, শেখ মো. আবু মুছা পাবেল: পিতা-মৃত মো. হানিফ, বাকলিয়া।
গ্রেপ্তার জাকির হোসেনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা টায়ারগুলো বাদীর প্রতিষ্ঠানের। এগুলোর মধ্যে ৩-২৫-১৬ সাইজের ৮৯টি এবং ২-৭৫-১৪ সাইজের ৯৫টি টায়ার রয়েছে।
অন্য পলাতক আসামিদের ধরতে পিবিআই-এর অভিযান চলছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরো চক্রটি ধরা পড়লে আরও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং নেটওয়ার্কের জাল ভেঙে ফেলা সম্ভব হবে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৪০৭/৪২০/৪১১/৩৪ ধারায় মামলা চলমান রয়েছে।
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত সফল অভিযানে মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চুরির ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামিরাও রয়েছেন। উদ্ধারকৃত মালামালের বাজারমূল্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা।
ঢাকার এজিএম মো. ফোরকানের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে থ্রি-হুইলারের যন্ত্রাংশ আমদানি করে, যার একটি চালান গত ৮ নভেম্বর এবং আরেকটি ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয়। আনলোডের পর প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মালামাল নিখোঁজ দেখা যায়।
ভুক্তভোগীর দাবি, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানাধীন ফৌজদারহাট এলাকায় গাড়ি থামিয়ে চালক ও হেলপারের সহায়তায় সংঘবদ্ধ চোরচক্র বিশেষ কৌশলে সিলগালা অক্ষত রেখে মালামাল আত্মসাৎ করে।
ভুক্তভোগী এজিএমের দায়েরকৃত মামলাটি প্রথমে সীতাকুণ্ড থানার এসআই গৌর চন্দ্র সাহা তদন্ত করেন। পরে, পিবিআই সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি অধিগ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা।
পিবিআই প্রধান মো. মোস্তফা কামালের তত্ত্বাবধানে এবং পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দীন পিপিএম-সেবা-এর নির্দেশনায় এসআই শাহাদাত হোসেন তদন্তের দায়িত্ব পান। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারি ব্যবহার করে মাত্র ১২ ঘণ্টায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে প্রথমে গ্রেপ্তার হন দুই এজাহারভুক্ত আসামি জাকির হোসেন (৫২) এবং নূর মুহাম্মদ তাসফিন (৩১)। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া কালো রঙের বিভিন্ন সাইজের ১৮৪টি টায়ার। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও দুইজন—মোহাম্মদ নাঈম উদ্দীন নয়ন (২৫) এবং শেখ মো. আবু মুছা পাবেল (৩৪)—কে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, এই চোরচক্র দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মালামাল চুরি করে। চক্রটি সিলগালা অক্ষত রেখে চুরি করার কৌশল রপ্ত করেছে। চুরি করা মালামাল গোপন স্থানে লুকিয়ে রেখে পরে জাল কাগজপত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রি করত।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,জাকির হোসেন: পিতা-আব্দুল লতিফ পাটোয়ারী, কদমতলী, ডবলমুরিং,নূর মুহাম্মদ তাসফিন: পিতা-মৃত আব্দুল ওয়াদুদ, দেওয়ান বাজার, মোহাম্মদ নাঈম উদ্দীন নয়ন: পিতা-মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, চান্দগাঁও, শেখ মো. আবু মুছা পাবেল: পিতা-মৃত মো. হানিফ, বাকলিয়া।
গ্রেপ্তার জাকির হোসেনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা টায়ারগুলো বাদীর প্রতিষ্ঠানের। এগুলোর মধ্যে ৩-২৫-১৬ সাইজের ৮৯টি এবং ২-৭৫-১৪ সাইজের ৯৫টি টায়ার রয়েছে।
অন্য পলাতক আসামিদের ধরতে পিবিআই-এর অভিযান চলছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরো চক্রটি ধরা পড়লে আরও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং নেটওয়ার্কের জাল ভেঙে ফেলা সম্ভব হবে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৪০৭/৪২০/৪১১/৩৪ ধারায় মামলা চলমান রয়েছে।