দীর্ঘদিন ধরে নিত্যপণ্যের বাজারে কোনো একটা পণ্যের দাম কিছুটা কমতে না কমতেই আরেকটা পণ্যের দাম বাড়ে। আমনের ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারেই কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ী বলছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন চালের দাম সবচেয়ে বেশি।’ ‘কাস্টমারের কাছে পারফেক্ট রেটটা চাই, কাস্টমার হঠাৎ ভয় খায়া বলে উঠে আরে ভাই রেট এতো বেশি!’
বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম, দুই সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। নতুন বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। নতুন আলু-মুড়িকাটা পেঁয়াজসহ শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে দাম।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর অন্যতম চালের পাইকারী আড়ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বিআর-২৮ জাতের চাল কেজি টাকা, মিনকেট নামক চাল কেজি টাকা আর নাজির জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ টাকায়।
ওই বাজারের চালের পাইকারি দোকান মেসার্স জিহাদ রাইচ এজেন্সির মো. রিপন সংবাদকে বলেন, ‘বিআর-২৮ পুরাতন ৬১ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট কেজি ৭২-৭৪-৭৬ টাকা। মিনিকেট চালের দাম বাড়ছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা আর পুরান বিআর-২৮টা বাড়ছে ৩-৪ টাকা। শুনলাম, মিনিকেট ধানের বস্তা হয়েছে ১৮৩০ টাকা, ৭৮ টাকা বেচলে মিল মালিকদের নাকি সমান সমান হবে। আসলে ধানের বাজারটা বেশি, ওদিকে আবা ভাবতাছে আলুর কেজি ৭০ টাকা আসলে কি হয়েছে জিনিস’টা আমরা নিজেরাও বুঝতাছি না। ধানের বাজার হঠাৎ করে এইভাবে বাড়বে কেই চিন্তাই করতে পারে নাই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন চালের দাম সবচেয়ে বেশি।’
চালের আমদানি হওয়ার পরও দামে প্রভাব পড়ছেনা কেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া থেকে যে চাল এসেছে তা মোটা, গায়ে মোটা।’
ওই পাইকারি আড়তের মেসার্স বাংলাদেশ রাইস এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী মো. শরীফ এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদকে বলেন, ‘নাজিরশাল মিনিকেট চালের দাম বেশি। শেষ ১৫ দিনে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা আর বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়ছে। চালের রেট হুর হুর করে বাড়ছে। ১৫ দিন আগে মিনিকেট চালের রেট ছিল কেজি ৬৮-৬৯ টাকা এটাই এখন ৭৬-৭৭ টাকায় চলে গেছে। ১৫ দিন আগে নাজির বিক্রি ৭২-৭৩টাকা এখন কেনই পড়ে ১৯-৮০ টাকা। কাস্টমারের কাছে পারফেক্ট রেটটা চাই, কাস্টমার হঠাৎ ভয় খায়া বলে উঠে আরে ভাই রেট এতো বেশি ক্যান!? ১০ দিন আগে তো কিনলাম আর এখন এতো বেশি। আমরা নিজেরাই ভুক্তভোগী, এমন অবস্থা।’ এতো দাম বাড়ার কারণ কী? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মিলারদের জিগালে খালি বলে ধানের দাম বেশি।’
মো. শরীরের দোকানেই চাল কিনতে এসেছেন মো. শাহাদৎ। সংবাদকে বলেন, ‘সব দাম বেশি। চালের দাম কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়ে গেছে।..... আপনিও যা দেখতাছেন আমিও তাই দেখতাছি...।’ বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা আর সোনালি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়।
এক প্রশ্নের জবাবে এই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মুরগি বিক্রেতা সাহিন সংবাদকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে ছিল কেজি ২১০ টাকা। তার আগের সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকা।’ এ সময় পাশের মুরগি বিক্রেতা আবদুর রশিদ সংবাদকে বলেন, ‘এখন প্রতিদিন বাড়বো গত পরশু দিন সোনালি মুরগি আনছি (কিনছি) কেজি ৩২০ টাকা দিয়া আর আজক্যা রাইতে আনছি (কিনছি) ৩৪৫ টাকা দিয়া। বিক্রি করছি ৩৬০ টাকা। এখন চাহিদা বেড়ে গেছে আর উৎপাদনও কম।’
সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে শীতের সবজির দাম। বাজার ও মানভেদে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পুরাতন আলু ৬০ টাকা। এছাড়া করলা-বরবটি-ধুন্দল-ঝিঙা-কচুরলতি-কচুরমুখী-ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটোল-উচ্ছে ৭০ টাকা, বেগুন-শিম ৫০-৬০ টাকা আর টমেটো ১০০ টাকায়। প্রতিপিস লাউ-চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
কিছুটা কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বাজারভেদে ও মানভেদে (পাবনা জেলায় উৎপাদিত) দেশি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা আর নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে নিত্যপণ্যের বাজারে কোনো একটা পণ্যের দাম কিছুটা কমতে না কমতেই আরেকটা পণ্যের দাম বাড়ে। আমনের ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারেই কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ী বলছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন চালের দাম সবচেয়ে বেশি।’ ‘কাস্টমারের কাছে পারফেক্ট রেটটা চাই, কাস্টমার হঠাৎ ভয় খায়া বলে উঠে আরে ভাই রেট এতো বেশি!’
বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম, দুই সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। নতুন বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। নতুন আলু-মুড়িকাটা পেঁয়াজসহ শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে দাম।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর অন্যতম চালের পাইকারী আড়ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বিআর-২৮ জাতের চাল কেজি টাকা, মিনকেট নামক চাল কেজি টাকা আর নাজির জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ টাকায়।
ওই বাজারের চালের পাইকারি দোকান মেসার্স জিহাদ রাইচ এজেন্সির মো. রিপন সংবাদকে বলেন, ‘বিআর-২৮ পুরাতন ৬১ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট কেজি ৭২-৭৪-৭৬ টাকা। মিনিকেট চালের দাম বাড়ছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা আর পুরান বিআর-২৮টা বাড়ছে ৩-৪ টাকা। শুনলাম, মিনিকেট ধানের বস্তা হয়েছে ১৮৩০ টাকা, ৭৮ টাকা বেচলে মিল মালিকদের নাকি সমান সমান হবে। আসলে ধানের বাজারটা বেশি, ওদিকে আবা ভাবতাছে আলুর কেজি ৭০ টাকা আসলে কি হয়েছে জিনিস’টা আমরা নিজেরাও বুঝতাছি না। ধানের বাজার হঠাৎ করে এইভাবে বাড়বে কেই চিন্তাই করতে পারে নাই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন চালের দাম সবচেয়ে বেশি।’
চালের আমদানি হওয়ার পরও দামে প্রভাব পড়ছেনা কেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া থেকে যে চাল এসেছে তা মোটা, গায়ে মোটা।’
ওই পাইকারি আড়তের মেসার্স বাংলাদেশ রাইস এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী মো. শরীফ এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদকে বলেন, ‘নাজিরশাল মিনিকেট চালের দাম বেশি। শেষ ১৫ দিনে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা আর বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়ছে। চালের রেট হুর হুর করে বাড়ছে। ১৫ দিন আগে মিনিকেট চালের রেট ছিল কেজি ৬৮-৬৯ টাকা এটাই এখন ৭৬-৭৭ টাকায় চলে গেছে। ১৫ দিন আগে নাজির বিক্রি ৭২-৭৩টাকা এখন কেনই পড়ে ১৯-৮০ টাকা। কাস্টমারের কাছে পারফেক্ট রেটটা চাই, কাস্টমার হঠাৎ ভয় খায়া বলে উঠে আরে ভাই রেট এতো বেশি ক্যান!? ১০ দিন আগে তো কিনলাম আর এখন এতো বেশি। আমরা নিজেরাই ভুক্তভোগী, এমন অবস্থা।’ এতো দাম বাড়ার কারণ কী? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মিলারদের জিগালে খালি বলে ধানের দাম বেশি।’
মো. শরীরের দোকানেই চাল কিনতে এসেছেন মো. শাহাদৎ। সংবাদকে বলেন, ‘সব দাম বেশি। চালের দাম কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়ে গেছে।..... আপনিও যা দেখতাছেন আমিও তাই দেখতাছি...।’ বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা আর সোনালি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়।
এক প্রশ্নের জবাবে এই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মুরগি বিক্রেতা সাহিন সংবাদকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে ছিল কেজি ২১০ টাকা। তার আগের সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকা।’ এ সময় পাশের মুরগি বিক্রেতা আবদুর রশিদ সংবাদকে বলেন, ‘এখন প্রতিদিন বাড়বো গত পরশু দিন সোনালি মুরগি আনছি (কিনছি) কেজি ৩২০ টাকা দিয়া আর আজক্যা রাইতে আনছি (কিনছি) ৩৪৫ টাকা দিয়া। বিক্রি করছি ৩৬০ টাকা। এখন চাহিদা বেড়ে গেছে আর উৎপাদনও কম।’
সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে শীতের সবজির দাম। বাজার ও মানভেদে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পুরাতন আলু ৬০ টাকা। এছাড়া করলা-বরবটি-ধুন্দল-ঝিঙা-কচুরলতি-কচুরমুখী-ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটোল-উচ্ছে ৭০ টাকা, বেগুন-শিম ৫০-৬০ টাকা আর টমেটো ১০০ টাকায়। প্রতিপিস লাউ-চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
কিছুটা কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বাজারভেদে ও মানভেদে (পাবনা জেলায় উৎপাদিত) দেশি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা আর নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।