alt

সারাদেশ

পুলিশ ক্যাম্পে পাইপের সাথে হাতকড়া লাগানো ছবি, ভাইরাল কি পরিকল্পিত ?

আতিকুর রহমান আমিন, গাজীপুর : শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে পাইপের সাথে হাতকড়া লাগানো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার খবরটি পরিকল্পিত কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

ঘটনার ভিকটিম আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে করা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে সরকার ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চেয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবী উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি মাসের ১ জানুয়ারি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকর অবস্থা থেকে জনৈক সবুজ সরকার(২৬)কে পুলিশ স্থানীয় চকপাড়া ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পুলিশ ক্যাম্পে আনার পর সবুজ সরকার হৈ চৈ শুরু করলে নাশকতার আশংকায় কর্তব্যরত কনস্টেবল তাকে বারান্দার পাইপের সাথে ডান হাতে হাতকড়া পড়িয়ে আটকে রাখে। তার কাছেই একটি টেবিল ছিলো, যেখানে সবুজের কাছ থেকে জব্দকৃত ফোনটি রাখা ছিলো। পুলিশ কনস্টেবল ওয়াশরুমে যাওয়ার সুযোগে সবুজ বাঁ হাতে টেবিল থেকে তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে দ্রুত সেলফি তোলে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে, আবার মোবাইলটি টেবিলে রেখে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। গণমাধ্যম কর্মীরা এই ছবি দিয়ে সংবাদ করে।

এই খবর পেয়ে ঘটনার শুরু থেকেই ক্যাম্পের বাইরে থাকা চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) মো: আব্দুল কুদ্দুস মৃধা আটক সবুজকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেন। কনস্টেবল রনি ও শাকিল সবুজকে সিএনজি যোগে তার বাড়ি পৌঁছে দেন। সবুজকে পৌঁছে দেয়ার সময় সবুজের সাথে থাকা মোবাইল ও ব্যাগও পৌঁছে দেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সবুজ আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক। তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ করেন। সবুজ আটকের পর বড় কোন মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে দ্রুত ছাড়া পেতে ছবি তোলে ফেসবুকে দিয়ে ভাইরাল হয়। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দ্রুতই ভাইরাল করার ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই একটি বিরোধী মহল এই কাজটি করেন।

একটি গোপন সূত্র জানায়, এ ছাড়া কুদ্দুস চকপাড়া ক্যাম্পে আসার আগে নাজমুল সেখানে যেতে চেয়েছিলেন। নাজমুল ও কুদ্দুসের মধ্যে চকপাড়া ক্যাম্পের দায়িত্ব নেয়া নিয়ে বিরোধ চলমান ছিল। কুদ্দুস ক্লোজড হওয়ার পর নাজমুলকে চকপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ পদে বদলী করা হয়। সূত্র বলছে, কুদ্দুস সমস্যায় পড়ার পর নাজমুল সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদটি বেশি করে প্রচার করায় এবং পরবর্তি সময় নাজমুল ইনচার্জ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে এস আই (উপ পরিদর্শক) নাজমুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, আমি ঘটনার পর দিন শোনেছি। ছবি ভাইরাল করার জন্য কোন কাজ করি নাই। কুদ্দুসের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই।

ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম সবুজ সরকার সংবাদকে বলেন, আমার চাচীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আমাকে বাড়িতে পৌছে দেয়। আমার টাকা ও ব্যাগ পুলিশ ফেরত দিয়ে দিছে। আমার পুলিশের প্রতি কোন অভিযোগ নেই।

গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এনামুল হক মনি সংবাদকে বলেন, সবুজ আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক। সবুজ নিজেই তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

সবুজের এই ঘটনা গণমাধ্যমে আসলে মো: আব্দুল কুদ্দুসকে ক্লোজড করা হয়। এ বিষয়ে এসআই কুদ্দুস মৃধা সংবাদকে বলেন, “দুই পক্ষ মারামারির অবস্থায় চলে গেলে সবুজকে ক্যাম্পে নেয়া হয়। ক্যাম্পের মধ্যে হৈ চৈ করলে তাকে হাতকড়া পড়ায় কর্তব্যরত কনস্টেবল। তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করার কোন নির্দেশ দেয়নি বলেই হাজতে রাখা হয়নি। আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশংকায় সবুজকে নেয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। পুরো ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে ভিকটিমসহ কারো কোন অভিযোগ নেই। আমি নির্দোষ।”

শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জয়নাল আবেদীন সংবাদকে বলেন, “নাজমুল ও কুদ্দুসের মধ্যে আমার জানা মতে কোন বিরোধ নেই। বিষয়টি তদন্ত চলছে তাই কোন বক্তব্য দেয়া সম্ভব নয়।”

গাজীপুর পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক সংবাদকে বলেন, “ভিকটিম কোন অভিযোগ এমনকি সাক্ষী দিতেও নারাজ। বিষয়টি তদন্তাধীন। আমরা তদন্ত করছি। এই ঘটনা পুলিশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মূল ঘটনা বের করবই।”

গত ১ জানুয়ারি শ্রীপুর উপজলোর মাওনা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ সবুজ সরকারকে কনস্টেবল দিয়ে তাদের ক্যাম্পে পাঠায়। সবুজ ক্যাম্পে গিয়ে হৈ চৈ শুরু করলে কর্তব্যরত কনস্টেবল তাকে মটরের একটি পাইপের সাথে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে রাখে। এই হাতকড়ার ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই সবুজের ফেসবুকে আপলোড হয়ে ভাইরাল হয়। পরবর্তী সময় ক্যাম্পের ইনচার্জ কুদ্দুস মৃধা ভিকটিমকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য কনস্টেবলদের নির্দেশ দিলে তারা বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এই ঘটনা গণমাধ্যমে আসলে কুদ্দুসকে ক্লোজড করা হয়। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

শামীমা আক্তার নামে এক নারী শ্রীপুর থানায় সবুজ সরকার গংদের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এই অভিযোগটিরও তদন্ত চলছে।

ছবি

কক্সবাজারে সাগরে আরেক চবি ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১

ছবি

মুরাদনগরে ধর্ষণ: ১২ দিন পর ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা

ছবি

ফেনীতে দুদিনে ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধে ভাঙন

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আধিপত্য দ্বন্দ্বে নিহতের পর ৪০টি ঘরবাড়ি-পসরা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

ছবি

কুলাউড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ ও মুক্তিপণ দাবি, চালক গ্রেপ্তার

সাটুরিয়া থানা থেকে ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানা সড়ক অবরোধ, আটক ৪

পতেঙ্গা সৈকতে চসিকের অভিযানে ১২টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

প্রবল বর্ষণে জনজীবন অচল, ব্যাহত চাষাবাদ

ছবি

দুর্গাপুরে নীল কুঠির ধ্বংসস্তূপে হারাচ্ছে ইতিহাস

ছবি

সিলেট এমসি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম আহম্মদ খান

কুইচ্চা মাছ বিক্রি করে চলে খোকনের সংসার

ছবি

প্রতিনিধি, উলিপুর (কুড়িগ্রাম)

শার্শা সীমান্তে ভারতীয় চিংড়ির রেণু পোনাসহ আটক ১

ছবি

সিরাজগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে জনপ্রিয় খাদ্যশস্য কাউন

বৃত্তি পেল মুনতাহা টাকা পাচ্ছে প্রিয়ন্তী!

নবীনগরে কচু আবাদ করে অনেকে লাভবান

নাশকতার মামলায় সাংবাদিক শিশির কারাগারে

আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মূলহোতা গ্রেপ্তার

ছবি

সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন, ভাঙনের কবলে আবাদি জমি

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ট্রাক চাপায় বাবা ছেলের মৃত্যু

শৈলকুপায় অস্ত্রসহ সাবেক সেনা সদস্য গ্রেপ্তার

বদরগঞ্জ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি

পদ্মা সেতু প্রকল্প রক্ষা বাঁধে ভাঙন বিলীন বসতবাড়ি, দোকানপাট

রাউজানে প্রকৌশলী বকুল হত্যা, মাসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার

সাঘাটায় ২৪০ লিটার মদসহ আটক ৩

ছবি

দোহারে বিএনপি নেতা হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

চুনারুঘাটে মহিলার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বিয়ের দাবিতে ধর্ষকের বাড়িতে তরুণী, অভিযুক্ত পালিয়েছে ইতালি

ছবি

বেতাগীতে সুইসগেট নির্মাণ শেষ না হওয়ায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

সাংবাদিক রুবেল হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকসহ গ্রেপ্তার ২

ছবি

সাতক্ষীরায় বৃষ্টি হলেই শহরে হাঁটুপানি চরম ভোগান্তিতে শহরবাসী

পরলোকে ঘোড়াশাল পৌরসভার সাবেক মেয়রের মা

‘প্রান্তিক পর্যায় থেকে বিদেশে রপ্তানি হবে দেশীয় মাছ’

ছবি

ঝালকাঠিতে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে সুফিয়া কামাল গ্রন্থাগার

বোনারপাড়া-কচুয়াহাট সড়কে সাত বছর যানবাহন চলাচল বন্ধ

tab

সারাদেশ

পুলিশ ক্যাম্পে পাইপের সাথে হাতকড়া লাগানো ছবি, ভাইরাল কি পরিকল্পিত ?

আতিকুর রহমান আমিন, গাজীপুর

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে পাইপের সাথে হাতকড়া লাগানো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার খবরটি পরিকল্পিত কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

ঘটনার ভিকটিম আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে করা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে সরকার ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চেয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবী উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি মাসের ১ জানুয়ারি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকায় একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকর অবস্থা থেকে জনৈক সবুজ সরকার(২৬)কে পুলিশ স্থানীয় চকপাড়া ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পুলিশ ক্যাম্পে আনার পর সবুজ সরকার হৈ চৈ শুরু করলে নাশকতার আশংকায় কর্তব্যরত কনস্টেবল তাকে বারান্দার পাইপের সাথে ডান হাতে হাতকড়া পড়িয়ে আটকে রাখে। তার কাছেই একটি টেবিল ছিলো, যেখানে সবুজের কাছ থেকে জব্দকৃত ফোনটি রাখা ছিলো। পুলিশ কনস্টেবল ওয়াশরুমে যাওয়ার সুযোগে সবুজ বাঁ হাতে টেবিল থেকে তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে দ্রুত সেলফি তোলে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে, আবার মোবাইলটি টেবিলে রেখে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। গণমাধ্যম কর্মীরা এই ছবি দিয়ে সংবাদ করে।

এই খবর পেয়ে ঘটনার শুরু থেকেই ক্যাম্পের বাইরে থাকা চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) মো: আব্দুল কুদ্দুস মৃধা আটক সবুজকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেন। কনস্টেবল রনি ও শাকিল সবুজকে সিএনজি যোগে তার বাড়ি পৌঁছে দেন। সবুজকে পৌঁছে দেয়ার সময় সবুজের সাথে থাকা মোবাইল ও ব্যাগও পৌঁছে দেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সবুজ আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক। তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ করেন। সবুজ আটকের পর বড় কোন মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে দ্রুত ছাড়া পেতে ছবি তোলে ফেসবুকে দিয়ে ভাইরাল হয়। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দ্রুতই ভাইরাল করার ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই একটি বিরোধী মহল এই কাজটি করেন।

একটি গোপন সূত্র জানায়, এ ছাড়া কুদ্দুস চকপাড়া ক্যাম্পে আসার আগে নাজমুল সেখানে যেতে চেয়েছিলেন। নাজমুল ও কুদ্দুসের মধ্যে চকপাড়া ক্যাম্পের দায়িত্ব নেয়া নিয়ে বিরোধ চলমান ছিল। কুদ্দুস ক্লোজড হওয়ার পর নাজমুলকে চকপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ পদে বদলী করা হয়। সূত্র বলছে, কুদ্দুস সমস্যায় পড়ার পর নাজমুল সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদটি বেশি করে প্রচার করায় এবং পরবর্তি সময় নাজমুল ইনচার্জ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে এস আই (উপ পরিদর্শক) নাজমুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, আমি ঘটনার পর দিন শোনেছি। ছবি ভাইরাল করার জন্য কোন কাজ করি নাই। কুদ্দুসের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই।

ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম সবুজ সরকার সংবাদকে বলেন, আমার চাচীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আমাকে বাড়িতে পৌছে দেয়। আমার টাকা ও ব্যাগ পুলিশ ফেরত দিয়ে দিছে। আমার পুলিশের প্রতি কোন অভিযোগ নেই।

গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এনামুল হক মনি সংবাদকে বলেন, সবুজ আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক। সবুজ নিজেই তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

সবুজের এই ঘটনা গণমাধ্যমে আসলে মো: আব্দুল কুদ্দুসকে ক্লোজড করা হয়। এ বিষয়ে এসআই কুদ্দুস মৃধা সংবাদকে বলেন, “দুই পক্ষ মারামারির অবস্থায় চলে গেলে সবুজকে ক্যাম্পে নেয়া হয়। ক্যাম্পের মধ্যে হৈ চৈ করলে তাকে হাতকড়া পড়ায় কর্তব্যরত কনস্টেবল। তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করার কোন নির্দেশ দেয়নি বলেই হাজতে রাখা হয়নি। আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশংকায় সবুজকে নেয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। পুরো ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে ভিকটিমসহ কারো কোন অভিযোগ নেই। আমি নির্দোষ।”

শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জয়নাল আবেদীন সংবাদকে বলেন, “নাজমুল ও কুদ্দুসের মধ্যে আমার জানা মতে কোন বিরোধ নেই। বিষয়টি তদন্ত চলছে তাই কোন বক্তব্য দেয়া সম্ভব নয়।”

গাজীপুর পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক সংবাদকে বলেন, “ভিকটিম কোন অভিযোগ এমনকি সাক্ষী দিতেও নারাজ। বিষয়টি তদন্তাধীন। আমরা তদন্ত করছি। এই ঘটনা পুলিশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মূল ঘটনা বের করবই।”

গত ১ জানুয়ারি শ্রীপুর উপজলোর মাওনা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ সবুজ সরকারকে কনস্টেবল দিয়ে তাদের ক্যাম্পে পাঠায়। সবুজ ক্যাম্পে গিয়ে হৈ চৈ শুরু করলে কর্তব্যরত কনস্টেবল তাকে মটরের একটি পাইপের সাথে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে রাখে। এই হাতকড়ার ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই সবুজের ফেসবুকে আপলোড হয়ে ভাইরাল হয়। পরবর্তী সময় ক্যাম্পের ইনচার্জ কুদ্দুস মৃধা ভিকটিমকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য কনস্টেবলদের নির্দেশ দিলে তারা বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এই ঘটনা গণমাধ্যমে আসলে কুদ্দুসকে ক্লোজড করা হয়। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

শামীমা আক্তার নামে এক নারী শ্রীপুর থানায় সবুজ সরকার গংদের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এই অভিযোগটিরও তদন্ত চলছে।

back to top