খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক ওয়ার্কশপে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকার কাজ হয়নি। এমন অভিযোগে গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নগরের জোড়াগেট ওয়ার্কশপে অভিযান চালিয়েছে খুলনার দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের একটি দল। এতে নেতৃত্ব দেন দুদক খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ।
অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তারা কাগজপত্রের কাজ ও খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। কতটুকু কাজ হওয়ার কথা ছিল আর কিভাবে হয়েছে সেটিও ফিতা দিয়ে মেপে দেখেন কর্মকর্তারা। টেকনিক্যাল এসব কাজ দেখার জন্য সড়ক বিভাগ ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের সঙ্গে নেয় দুদুক।
অভিযান শেষে উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রকল্পে নানা অনিয়ম হয়েছে, অনেক কাজ একেবারেই হয়নি। ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ১০১ টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকারণ কাজের হিসাব পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রকল্পে কাজ ছিল দুই ভাগেÑ সিভিল ও মেকানিক্যাল। সাতটি প্যাকেজের মধ্যে পাঁচটি মেরামত এবং দুটি ছিল যন্ত্রপাতি সংযোজনের। সিভিলের দুটি আইটেমের মধ্যে একটিও কাজ পাওয়া যায়নি। আর মেকানিক্যাল পাঁচটি আইটেমের মধ্যে চারটির কাজ আংশিক আকারে পাওয়া গেছে। সেগুলোতেও নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে।
দুদক উপপরিচালক বলেন, প্রকল্পে পুরাতন ইটের ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও আবার অন্য ঘরের ফ্লোর থেকে তুলে আনা। আটশ মিটার ওয়ালের স্থলে তৈরি করা হয়েছে মাত্র ২৩২ মিটার। দুর্নীতির আরও অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিক্রির জন্য বাইরে অনেক মালামাল স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সেগুলোর বিক্রি প্রক্রিয়ার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কাজ না করে অর্থ তোলা হয়েছে বলে জানান দুদক উপপরিচালক। এ বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম মাসছুদ্দোহা বলেন, দুদক যেসব বলছেন তার সব ঠিক নয়।
কেননা অনেক কাজ এখনো চলমান রয়েছে। তবে কাজ শেষ করার আগে টাকা কেন তোলা হলো- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়েছে। পুরো টাকা না দিয়ে আংশিক দিলেই হতো।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক ওয়ার্কশপে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকার কাজ হয়নি। এমন অভিযোগে গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নগরের জোড়াগেট ওয়ার্কশপে অভিযান চালিয়েছে খুলনার দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের একটি দল। এতে নেতৃত্ব দেন দুদক খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ।
অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তারা কাগজপত্রের কাজ ও খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। কতটুকু কাজ হওয়ার কথা ছিল আর কিভাবে হয়েছে সেটিও ফিতা দিয়ে মেপে দেখেন কর্মকর্তারা। টেকনিক্যাল এসব কাজ দেখার জন্য সড়ক বিভাগ ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের সঙ্গে নেয় দুদুক।
অভিযান শেষে উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রকল্পে নানা অনিয়ম হয়েছে, অনেক কাজ একেবারেই হয়নি। ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ১০১ টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখ টাকারণ কাজের হিসাব পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রকল্পে কাজ ছিল দুই ভাগেÑ সিভিল ও মেকানিক্যাল। সাতটি প্যাকেজের মধ্যে পাঁচটি মেরামত এবং দুটি ছিল যন্ত্রপাতি সংযোজনের। সিভিলের দুটি আইটেমের মধ্যে একটিও কাজ পাওয়া যায়নি। আর মেকানিক্যাল পাঁচটি আইটেমের মধ্যে চারটির কাজ আংশিক আকারে পাওয়া গেছে। সেগুলোতেও নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে।
দুদক উপপরিচালক বলেন, প্রকল্পে পুরাতন ইটের ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও আবার অন্য ঘরের ফ্লোর থেকে তুলে আনা। আটশ মিটার ওয়ালের স্থলে তৈরি করা হয়েছে মাত্র ২৩২ মিটার। দুর্নীতির আরও অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিক্রির জন্য বাইরে অনেক মালামাল স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সেগুলোর বিক্রি প্রক্রিয়ার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কাজ না করে অর্থ তোলা হয়েছে বলে জানান দুদক উপপরিচালক। এ বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম মাসছুদ্দোহা বলেন, দুদক যেসব বলছেন তার সব ঠিক নয়।
কেননা অনেক কাজ এখনো চলমান রয়েছে। তবে কাজ শেষ করার আগে টাকা কেন তোলা হলো- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়েছে। পুরো টাকা না দিয়ে আংশিক দিলেই হতো।